পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন সদ্য অব্যাহতি পাওয়া এসপি বাবুল আক্তার। স্ত্রী খুনের পর গোয়েন্দা কার্যালয়ে টানা কয়েক ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ এবং সর্বশেষ চাকরি থেকে অব্যাহতি- সবকিছু মিলিয়ে মানসিক টেনশনে কাটাচ্ছেন তিনি। কখনো কখনো কয়েক ঘন্টার জন্য লাপাত্তা হয়ে যান। স্ত্রী হত্যার পর থেকে অবস্থান করছেন ঢাকার খিলগাঁওয়ের শ্বশুরের বাসায়। সেখানে নানা-নানীর কাছে রয়েছে তার দুই শিশু সন্তানও। বাসার একটি কক্ষে চুপচাপ সময় কাটান। কারো সাথে কথা বলেন না। এমনকি ফোনও রিসিভ করেন না।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাবুল আক্তারকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে রাত ৮টায় কথা হয় বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে। এ সময় তিনি জানান, বাবুল আক্তার তার (মোশারফ হোসেন) বাসায়ই রয়েছেন।
জানতে চাওয়া হলে মোশারফ হোসেন বলেন, তার জানা মতে, চাকরি ফিরে পেতে আর কোন আইনি লড়াইয়ের চেষ্টা করবেন না বাবুল আক্তার। তিনি আরো বলেন, তার সাথে আর কথা বলে কি লাভ? বাবুলতো আর এখন চাকরিতে নেই।
এদিকে একটি সূত্র জানায়, চাকরি থেকে অব্যাহতি পাবার পর আইনজীবীদের শরণাপন্ন হয়েছিলেন বাবুল। চাকরি ফিরে পেতে তিনি সিনিয়র আইনজীবীসহ পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করেন। কিন্তু তাদের কাছ থেকে আশাব্যঞ্জক সাড়া না পেয়ে বাবুল আক্তার হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন।
গত মঙ্গলবার চাকরি থেকে বাবুল আক্তারকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, বাবুল আক্তারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো। যদিও বাবুল ও তার শ্বশুর এর আগে বলেছিলেন, স্বেচ্ছায় নয়, বাধ্য হয়ে তিনি পদত্যাগপত্রে সই করেছিলেন।
গত ৫ জুন সকালে চট্টগ্রামের নিজাম রোডে সন্ত্রাসীরা গুলি ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে। ঘটনার সময় মিতু পায়ে হেঁটে সন্তানকে স্কুলে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন। এর মাত্র কয়েকদিন আগে ঢাকায় পুলিশ সদর দপ্তরে বদলি হয়ে আসেন বাবুল। চট্টগ্রামে জঙ্গি বিরোধী অভিযানে সাহসী ভূমিকা রেখেছিলেন এসপি বাবুল। স্ত্রী খুনের পর ধারণা করা হচ্ছিলো প্রতিশোধ নিতেই জঙ্গিরা বাবুলের স্ত্রীকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় তিনজনের বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। ঘটনার পর বাবুল আক্তারের শ্বশুরের বাসার সামনে পুলিশ প্রহরা বসানো হয়। নিরাপত্তা বাড়ানো হয় বাবুলেরও। হঠাৎই জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে গত ২৪ জুন গভীর রাতে খিলগাঁওয়ের ভূঁইয়াপাড়ার শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবুলকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। পাল্টে যায় প্রেক্ষাপট। ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর আবার তাকে শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়। ওই জিজ্ঞাসাবাদের সময় পদত্যাগপত্রে সই করেন বাবুল। প্রায় দেড় মাস সেই পদত্যাগপত্র পুলিশ সদর দপ্তরে থাকার পর মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এর আগে ৩ আগস্ট বাবুল আক্তার তাঁর কর্মস্থল পুলিশ সদর দপ্তরে গিয়ে লিখিতভাবে কাজে যোগ দিতে চান। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তাকে জানিয়ে দেন, তাঁকে আর কাজে যোগদান করতে দেওয়া সম্ভব নয়। পরদিন ৪ আগস্ট বাবুল পুলিশ সদর দপ্তরে ডিআইজি (প্রশাসন) বরাবর লিখিতভাবে যোগদানপত্রও জমা দিয়েছিলেন। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার বাবুল আক্তারকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর পর বাবুল আক্তারের পরিণতি কি হয় সেটাই দেখার বিষয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।