পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে : এ বছর কোরবানির ঈদের জন্য নরসিংদী জেলার মানুষ কম বেশি ৬১ হাজার কোরবানির পশু লালন-পালন করেছে। এর মধ্যে ২৫ হাজার গরু, ৩৩ হাজার ছাগল এবং ৩ হাজার মহিষ রয়েছে। নরসিংদী জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তারা জানিয়েছে, নরসিংদী জেলার ৬টি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের আনাচে-কানাচে সাধারণ চাষিসহ খামারিরা প্রতিবছরই কোরবানির ঈদের জন্য ব্যাপকভাবে পশু লালন-পালন করে। এ বছর সাড়ে ৮ হাজার খামার ও ব্যক্তি মিলিয়ে ৬১ হাজার পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছে। এসব পশুদের মধ্যে ৯০ ভাগই দেশীয় জাতের পশু। লালন-পালনকৃত এসব পশুদের মধ্যে ১২০ কেজি থেকে ১ হাজার কেজি পর্যন্ত ওজনের গরু রয়েছে। এর মধ্যে নরসিংদীর মাধবদী এলাকায় পাকিজা গ্রুপের মমটেক্স-২ নামে একটি কারখানায় লালন-পালন করা হয়েছে ২ শতাধিক গরু। এই কারখানায় তৈরি গরুর মধ্যে বেশির ভাগই ৫শ’ থেকে ১ হাজার কেজি পর্যন্ত ওজনের গরু পালন করা হয়েছে। নরসিংদী সদর প্রাণিসম্পদ বিভাগের ভেট ডা. কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন, এই কারখানার কয়েকটি গরু ১৪ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা করে বিক্রি করা হয়েছে। একই দাম হাঁকা হয়েছে আরো কয়েকটি গরুর। এসব গরু বেশির ভাগই বিক্রি হয়ে থাকে ঢাকার অভিজাত এলাকায়। এছাড়া নরসিংদীর আলীজান জুট মিলে মামুনুর রশিদ নামে একজন কর্মকর্তা লালন-পালন করেছেন কম বেশি ২শ’ গরু। শিবপুরের ইটাখোলায় কিবরিয়া নামে এক ব্যক্তি ৬০টি গরু লালন-পালন করেছেন। একইভাবে আহমেদ সেজাদ নামে একজন ব্যক্তি লালন-পালন করেছেন ৫৮টি গরু। মাহবুবুর রহমান পালন করেছেন ২০টি গরু। চরমধূয়া গ্রামে আজিজ ডেইরি ফার্মে পালন করা হয়েছে ৩৩টি গরু। একইভাবে সারা জেলায় খামার ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কম বেশি ৬১ হাজার কোরবানির পশু লালন-পালন করা হয়েছে। এ সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী বছর কোরবানির পশু পালনের সংখ্যা আরো বেড়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন নরসিংদী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।