Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

টিসিবির ট্রাকে দীর্ঘ লাইন

রাজধানীতে দাম বেড়েছে প্রতিটি পণ্যের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০৫ এএম

আসন্ন রমজান ও লকডাউনের অজুহাতে বাজারে প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। নিরুপায় হয়ে মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের মানুষ ভিড় করছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর ট্রাক সেলের সামনে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় (ইনকিলাব অফিসের সামনের রাস্তা, মতিঝিল, বনশ্রী, রামপুরা, ঝিগাতলা, আগারগাঁও, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী) টিসিবির খোলা ট্রাককে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষকে পণ্য কিনতে দীর্ঘ লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১০০টি খোলা ট্রাকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানালেন টিসিবির কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, রাজধানী ছাড়াও সারা দেশে প্রায় ৫০০টি এলাকায় পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা রয়েছে। সকাল থেকে দুপুরের মধ্যেই এক ট্রাক পণ্য বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। তাদের প্রতিদিনের পণ্যের স্টকের তুলনায় ক্রেতার সংখ্যা অনেক বেশি। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে টিসিবির খোলা ট্রাক থেকে বিক্রি করা পণ্যের মূল্য বাজারের পণ্যের চেয়ে কম। চিনি কেজি ৫৫ টাকা, মশুর ডাল কেজি ৫৫ টাকা, সয়াবিন তেল লিটার ১০০ টাকা, পেঁয়াজ কেজি ২০ টাকা, ছোলা কেজি ৫৫ টাকা এবং খেজুর কেজি ৮০ টাকা হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে।

লকডাউনের পাশাপাশি আসন্ন রমজানের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য কেনাকাটা শুরু করেছে ক্রেতারা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার বাজারে বিভিন্ন বাজারে মানভেদে সব ধরনের চাল, সয়াবিন তেল, মশুর ডাল, পেঁয়াজ, খেজুর, আলু, দেশি রসুন, আদার দাম বেশি দেখা গেছে।
কারওয়ান বাজারে নাজিরশাইল ও মিনিকেট চাল ৬২ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ৬০ থেকে ৬২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাইজাম প্রতি কেজিতে ২ থেকে ৪ টাকা বেড়ে ৫৪ থেকে ৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোটা চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ২ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত। খোলা সয়াবিন তেল লিটারে ৫ টাকা বেড়ে ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি ৫ লিটারে ১০ টাকা বেড়ে আজ বিক্রি হচ্ছে-৬৪০ থেকে ৬৬০ টাকায়। মানভেদে প্রতি কেজি মশুর ডালের দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৭৫ থেকে ৯০ টাকা।

এদিকে লকডাউন ও রোজাকে কেন্দ্র করে সড়ক, নৌ ও রেলপথে কৃষিপণ্য পরিবহন স্বাভাবিক রাখতে সংশ্লিষ্ট বিভাগে চিঠি পাঠিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদফতর। এছাড়া, রেলপথ ও সরকারি পরিবহন বিটিআরসির মাধ্যমে কৃষিপণ্য পরিবহন সচল রাখা হবে বলে জানিয়েছে অধিদফতর।
পণ্য পরিবহনের বিষয়ে কৃষি-বিপণন অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. ইউসুফ গণমাধ্যমকে বলেছেন, গত বছর লকডাউনের সময় কৃষক তাদের উৎপাদিত পণ্য অনেক কষ্টে বিক্রি করতে পারলেও ন্যায্যমূল্য পায়নি। অথচ বাজার থেকে ক্রেতারা বেশি দাম দিয়ে পণ্য কিনেছেন।

ঢাকার যাত্রাবাড়ি, নিউমার্কেট, হাতিরপুল, কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের ভিড় দেখে বাজারে পণ্যের চাহিদা বেড়ে গেছে। এই সুযোগে পাইকারি বাজার থেকেই অতিরিক্ত পরিমাণে পণ্য কিনে মজুদ করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। আর পাইকারি ব্যবসায়ীরাও পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। অথচ, বাজার ঘুরে খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে পণ্যের যথেষ্ট মজুদ দেখা গেছে।

এদিকে, রমজান উপলক্ষে বাজার নিয়ন্ত্রণে টিসিবি পহেলা এপ্রিল থেকে খোলা বাজারে ট্রাক ও ডিলারের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে। বাজারের চেয়ে কম দামের কারণে তেল, চিনি, পেঁয়াজ, ছোলা, ডাল কেনার জন্য টিসিবির ট্রাকের কাছে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। সারা দেশে ঢাকা শহরে ১০০ স্থানে, চট্টগ্রামে ২০ স্থানে এবং দেশের অন্যান্য স্থান মিলিয়ে মোট ৫০০ স্থানে টিসিবির পণ্য বিক্রি চলবে ৬ মে পর্যন্ত। টিসিবির খোলা ট্রাক থেকে একজন ক্রেতা একবারে ২ থেকে ৪ কেজি চিনি, ২ কেজি মশুর ডাল, ২ থেকে ৫ লিটার সয়াবিন তেল, ছোলা ২ থেকে ৩ কেজি এবং ১ কেজি খেজুর কিনতে পারছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: টিসিবি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ