পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
স্টাফ রিপোর্টার, নরসিংদী থেকে ঃ ১০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী করিমপুর বাজারের একটি কোরবানী পশুর হাট কলমের এক খোঁচায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে ৩ কিলোমিটার দূরে পঞ্চবটি গ্রামে। রাতের আঁধারে গোপন চুক্তির মাধ্যমে নরসিংদী উপজেলা প্রশাসন জনস্বার্থের কথা চিন্তা না করে অন্যত্র সরিয়ে ফেলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, ৩ লাখ ৮১ হাজার টাকার বাজার এবার ইজারা দিয়েছে মাত্র ৯১ হাজার টাকায়। এ ক্ষেত্রে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা। আর এই ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। ফলে হাজার হাজার মানুষকে কোরবানীর পশু ক্রয়ের জন্য দীর্ঘপথ পাড়ি দিতে হবে। শিকার হতে হবে দুর্ভোগের।
জানা গেছে, প্রায় ১০০ বছর পূর্বে নরসিংদীর চরাঞ্চলের করিমপুর খেলার মাঠে এই কোরবানীর পশুর হাটটি স্থাপন করা হয়। সেই থেকে ১০০ বছর ধরে ৩০টি গ্রামসহ নরসিংদীর বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ কমিরপুর বাজারে গিয়ে কোরবানীর পশু ক্রয় করে। দীর্ঘ ১০০ বছরের ভিতরে এ বাজার সংগঠন এবং এর আইন-শৃংখলায় কোন প্রকার ব্যত্যয় ঘটেছে বলে জানা যায়নি। এরপরও হঠাৎ করে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে পরামর্শ না করে দীর্ঘ দিনের ঐতিহ্যবাহী একটি বাজারকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে যে পঞ্চবটিতে বাজার স্থানান্তর করা হয়েছে সেখানকার দূরত্ব করিমপুর থেকে ৩ কিলোমিটার। একটি রাস্তা ছাড়া সকল পথই পায়ে হেঁটে কিংবা নৌকা করে যেতে হবে। এই খবর প্রচারিত হবার পর এলাকার লোকজনের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়। লোকজনের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে বাজার স্থানান্তরের পিছনে কোন দুরভিসন্ধি বা দুর্নীতি রয়েছে। যদি জনস্বার্থের কথা বিবেচনা করা হতো তবে কোন ক্রমেই করিমপুর থেকে বাজার স্থানান্তরের প্রশ্ন উঠতো না।
শুধু তাই নয়, করিমপুরে থাকাকালে গতবছর বাজারে ডাক উঠেছিল ৩ লাখ ৯১ হাজার টাকা। সেক্ষেত্রে এবছর পঞ্চবটিতে বাজার ইজারা দেয়া হয়েছে মাত্র ৯১ হাজার টাকা। এতে সরকারের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা। অর্থাৎ এ বাজারটি স্থানান্তরের কারণে জনগণ যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তেমনই সরকারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লাভবান হয়েছে কোন একজন ব্যক্তি বা একটি গোষ্ঠী। এলাকার সমাজসেবী বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ গোলাম কিবরিয়া জানিয়েছেন, এই বাজার স্থানান্তরের পিছনে একটি স্বার্থান্বেষী মহলের দুরভিসন্ধি রয়েছে। রয়েছে দুর্নীতি। তিনি জানান, বাজার পূর্বের জায়গায় বহাল না রাখলে এলাকার লোকজন নিয়ে তিনি আন্দোলনে নামবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।