পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি যাওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার অর্থ যথাযথ বৈধ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের কাছে ফেরত দিতে আবারো আশ্বাস দিয়েছে ফিলিপাইন। গত ফেব্রুয়ারিতে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ওই অর্থ ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের মাধ্যমে হাতিয়ে একটি হ্যাকার চক্র।
ফিলিপাইনের অর্থসচিব কার্লোস জি ডোমিনগাইজ এক বৈঠকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জন গোমেজকে বলেন, আমরা আপনাকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, ম্যানিলার সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সব বিভাগ, বিচার বিভাগ, পররাষ্ট্র বিভাগ, অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কমিশনসহ সবাই শতভাগ আপনাদের সঙ্গে রয়েছে...আপনাকে সহায়তার জন্য আমরা যে কোনো কিছু করতে পারি।
ফিলিপাইনের এই অর্থসচিব বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে বলেন, বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য এসব কিছু করা হবে বৈধ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে; যাতে ভবিষ্যতে কেউ এই অর্থের বিষয়ে ন্যায়সঙ্গত দাবি করতে না পারে। ফিলিপাইনের অর্থ বিভাগের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কার্লোস জি ডোমিনগাইজ বলেন, আমাদের একটি বৈধ প্রক্রিয়া আছে, যেটিকে শ্রদ্ধা জানাতে হবে; এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে, যাতে কেউ বলতে না পারে যে (বাংলাদেশকে) পুরস্কৃত করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে যাতে কেউ চ্যালেঞ্জ জানাতে না পারে।
উল্লেখ্য, গত ৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিস্টেমে ঢুকে হ্যাকাররা ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কের অ্যাকাউন্টে থাকা প্রায় এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এর মধ্যে ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকের কয়েকটি অ্যাকাউন্টে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার অর্থ সরিয়ে নেয় হ্যাকাররা। লেনদেনে অস্বাভাবিকতা ধরা পড়ায় অধিকাংশ পেমেন্ট আটকে দেয় নিউ ইয়র্ক ফেডারেল। এছাড়া শ্রীলঙ্কায় একটি কোম্পানির অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয় আরো ২ কোটি ডলার। তবে ওই কোম্পানির নামের বানানে গড়মিল পাওয়া যাওয়ায় বাকি পেমেন্টও আটকে দেওয়া হয়।
রিভার্জ থেকে চুরি যাওয়া অর্থের মধ্যে ১৫ মিলিয়ন ডলার ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষের কাছে ফেরত দিয়েছে দেশটির ক্যাসিনো ব্যবসায়ী কিম অং। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভে সঞ্চিত বাংলাদেশের ওই অর্থের মধ্যে প্রায় দুই কোটি ১৫ লাখ ডলার কিম অংয়ের ক্যাসিনোতে ঢুকেছিল। এর আগেও কয়েক ধাপে কিম অং অর্থ ফেরত দিয়েছেন। সেই অর্থ দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের তরফ থেকে ওই টাকা পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হলেই চুরি করা অর্থ ফিরিয়ে দেবে ফিলিপাইন। এর আগেও বাংলাদেশের চুরি যাওয়া রিজার্ভ ফেরতে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিল ফিলিপাইন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।