Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাটুরিয়া-শিমুলিয়ায় ঘরমুখো জনস্রোত

ফেরিঘাট ও নাব্য সঙ্কটে যাত্রীদের দুর্ভোগ

প্রকাশের সময় : ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : আজ থেকে শুরু হয়েছে ঈদের ছুটি। এ কারণে গতকাল দুপুরের পর থেকেই দেশের প্রধান দুই ফেরি রুটে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং শিমুলিয়া-কাওরাকান্দিতে ঘরমুখো মানুষের ঢল নামে। তবে দৌলতদিয়ায় পদ্মার অব্যাহত ভাঙনে ঘাট সমস্যা এবং শিমুলিয়া-কাওরাকান্দি রুটে নাব্য সংকটে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। উভয় রুটের দু’পাশেই পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে শত শত যানবাহন।
আমাদের আরিচা ও শিবচর উপজেলা সংবাদদাতা জানান, পদ্মায় বিলীন হয়ে যাওয়া দৌলতদিয়া ৩ নং ঘাট বৃহস্পতিবার রাত ১টায় পুনঃ স্থাপনের পর মাত্র আড়াই ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ৩টার দিকে আবার নদী ভাঙনের কবলে পড়ে বন্ধ হয়ে যায়। গতকাল বিকেল চারটার দিকে ঘাটটি পুনঃস্থাপন করে আবার চালু করা হয়। একমাস পর চালু হওয়া ১ নং ঘাট নিয়ে সচল ৪ নং ঘাটসহ বর্তমানে তিনটি ঘাট চালু রয়েছে। ২ নং ঘাট এখনও চালু করা সম্ভব হয়নি। এভাবেই পদ্মার ভাঙা-গড়ার খেলা চলছে দৌলতদিয়া ঘাটে। ফলে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচলের বিপর্যয় আদৌ কাটবে কিনা সন্দেহ সংশ্লিষ্টদের। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই পাটুরিয়া ঘাটে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের ঢল নেমেছে। পাশাপাশি যানবাহনের চাপ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। উভয় ঘাটে সহ¯্রাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ উক্ত নৌরুটে ঈদের আগে ফেরি পারাপার বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঈদে যাত্রীদের নির্বিঘেœ বাড়ি ফেরা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
এবার ঈদের দিন পাটুরিয়া ঘাটে ঈদের জামাত আদায়ের সম্ভাবনার কথা বলছেন অনেকে। উল্লেখ্য, পাটুরিয়া ঘাট চালু হওয়ার আগে আরিচায় এ রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-পরিবহন ও সংরক্ষণ ঊর্ধ্বতন উপ-পরিচালক মো. আব্দুস সালাম জানান, ভাঙনের কারণে  গত শনিবার দৌলতদিয়া ২ নং ঘাটের প্রায় ১৩০ ফুট এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। গত সোমবার ৩নং ঘাটটিও নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে যায়। পুনঃ স্থাপনপূর্বক বৃহস্পতিবার রাত ১টায় ৩ নং ঘাটটি চালু করা হয়। তা আড়াই ঘণ্টা পর আবার নদী ভাঙনের কবলে পড়ে বন্ধ হয়ে যায়। বিকেল ৪টায় উক্ত ঘাটটি পুনঃরায় চালু করা হয়। সচল ৪নং ঘাটসহ মোট তিনটি বর্তমানে চালু আছে। ২নং ঘাটটি এখনও চালু করা সম্ভব হয়নি। তবে বৃহস্পতিবার রাতেই চালু করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এভাবেই দৌলতদিয়া ঘাটে পদ্মার ভাঙনের খেলা চলছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই পাটুরিয়া ঘাটে ছিল লঞ্চে উপচেপড়া ভিড়। ফেরিতেও শত শত যাত্রী পার হচ্ছে। পাটুরিয়ায় ফেরি পারের উদ্দেশ্যে যানবাহনের ক্রমাগত চাপ বৃদ্ধি  পাচ্ছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পাটুরিয়া ঘাটে তিন শতাধিক যানবাহন ফেরি পারের অপেক্ষায় ছিল। অপরদিকে দৌলতদিয়া ঘাটে কোরবানির পশুবাহী ট্রাকসহ পাঁচ শতাধিক যানবাহন ফেরি পারের অপেক্ষায় রয়েছে বলে বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান। এ সংখ্যা রাতের মধ্যে দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা জানিয়েছে।    
বিআইডব্লিউটিসি’র ম্যানেজার (মেরিন) আব্দুস সাত্তার জানান, এ বহরে যুক্ত হওয়া ১৮টি ফেরির মধ্যে ৮টি রো-রো, ৩টি কে-টাইপ, ৪টি ইউটিলিটি ফেরি চলাচল করছে। এর মধ্যে ২টি ইউটিলিটি ফেরি হাসনাহেনা ও মাধবীলতা স্থানীয় ভাসমান কারখানায় মেরামতে রয়েছে। রো-রো ফেরি খানজাহান আলী নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ড থেকে মেরামত শেষে দু’একদিনের মধ্যে বহরে যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি’র এজিএম জিল্লুর রহমান জানান, ফেরি এবং ঘাট সচল থাকলে এবারও ঈদে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে বিগত দিনের মতো ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহন পারাপার নির্বিঘেœ করা সম্ভব হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাটুরিয়া-শিমুলিয়ায় ঘরমুখো জনস্রোত
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ