পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খোলার দাবি নিয়ে ব্যবসায়ীরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে। তবে রাজধানীর গুলিস্তানে বিক্ষোভ করতে গিয়ে পুলিশের সাথে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার দাবিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন রাইড শেয়ারিং মোটরসাইকেল চালকরা।
জানা গেছে, গতকাল সকালে গুলিস্তান এলাকায় ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২ এর সামনে ঢাকা রেডিমেড গার্মেন্টস ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির ব্যানারে দোকানিরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। এরপর তারা বিআরটিসি কাউন্টারের সামনের সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে দোকানিরা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। একপর্যায়ে পুলিশ তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে। পরে দোকানিরা ওই এলাকা ছেড়ে চলে যান।
সিটি প্লাজার দোকানি মাহামুদুল হাসান বলেন, করোনার কারণে লকডাউনের কথা বলা হলেও কার্যত ঢাকায় জীবনযাত্রা স্বাভাবিক। গণপরিবহন চলছে। বইমেলা চলছে। কাঁচাবাজার খোলা। মানুষ নিয়মিত অফিস করছেন। কেবল স্বাস্থ্যবিধির কথা বলে তাদের দোকান বন্ধ রাখা হয়েছে। এর প্রতিবাদে তারা রাস্তায় নেমেছেন। এছাড়া গতকাল দুপুরে মিরপুর-১০ নম্বর শাহ আলী প্লাজারের সামনে দুইশ’ ব্যবসায়ী একত্রিত হন। এ সময় তারা বিক্ষোভ করতে চাইলে পুলিশের বাধায় তা পন্ড হয়ে যায়।
কাফরুল থানার এসআই মোহাম্মদ মজিবুর রহমান বলেন, ব্যবসায়ীরা মার্কেট খোলার জন্য মানববন্ধন করতে শাহ আলী প্লাজার পূর্ব পাশের রাস্তায় অবস্থান নেন। সরকারি নির্দেশনায় সভা-সমাবেশ, মানববন্ধন করার নিষেধাজ্ঞা থাকায় আমরা তাদের ব্যানার কেড়ে নিয়ে সরিয়ে দিতে বাধ্য হই।
এছাড়া লকডাউন তুলে নিয়ে শপিংমল খুলে দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্কের ব্যবসায়ীরা। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শপিংমলের সামনে প্রগতি সরণিতে এ মানববন্ধন হয়। মানববন্ধনে ব্যবসায়ীরা অবিলম্বে শপিংমল খুলে দেয়ার দাবি জানান। টানা তৃতীয় দিনের মত গতকাল বসুন্ধরা ও ইস্টার্ন প্লাজা শপিং কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের সামনের সড়কে ব্যবসায়ী-কর্মচারীদের বাধার মুখে ক্ষণিকের জন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ এসে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং তাদের সড়ক অবরোধ থেকে নিবৃত্ত করে। এ সময় তারা সুশৃঙ্খলভাবে ব্যানার নিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। ইস্টার্ন প্লাজার সামনে ব্যবসায়ী-কর্মচারীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। নিউমার্কেট, গাউছিয়া, এলিফ্যান্ট রোড, সাইন স্টোরিসহ বিভিন্ন মার্কেটের সামনে কর্মসূচি না থাকলেও অসংখ্য দোকান মালিক ও কর্মচারীদের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তবে বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের ব্যবসায়ীরা বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের সামনের সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
মোটরবাইক চালকদের বিক্ষোভ : লকডাউনের মধ্যে শহরগুলোতে গণপরিবহন চালুর পর রাইড শেয়ারিংয়ে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে মোটরবাইক চালকরা। গতকাল মগবাজার, বেইলি রোড, শ্যামলী, এয়ারপোর্ট, তেজগাঁও, খিলক্ষেত, মিরপুর, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তারা বিক্ষোভ করে। এসময় তারা সড়ক অবরোধের চেষ্টা করে। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। শেয়ারে বাইক চালক বা রাইডারদের অভিযোগ, মোটরসাইকেলে দু’জন চলতে তাদের বাধা দেয়া হচ্ছে, পুলিশ মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এ কারণে নিষেধাজ্ঞা তুলে দিতে বিক্ষোভ করেছে বাইক চালকরা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান বলেন, তারা বেশ কিছু দাবি দিয়ে বিক্ষোভ করেছে। তাদের দাবি আমরা শুনেছি। তবে তারা বেশিক্ষণ সড়কে অবস্থান করেননি। আধাঘণ্টা থেকে চলে গেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।