পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র নির্বাচনে মা-ছেলে বিজয়ী হয়েছেন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মরহুম মেয়র আনিসুল হকের সহধর্মিনী ও বিজেএমইএ’র বর্তমান সভাপতি ড. রুবানা হক এবং ছেলে নাভিদুল হক পরিচালক পদে বিজয়ী হয়েছেন। ফলে সংগঠনের পরবর্তী পরিষদে পরিচালক পদে একসঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন মা-ছেলে। সংগঠনটির ইতিহাসে এমন ঘটনা এই প্রথম। দেশের ব্যবসায়িক সংগঠনের পরিচালনা পরিষদে প্রথমে বাবা সভাপতি, পরে মা সভাপতি এখন ছেলে পরিচালক। আর একসঙ্গে মা-ছেলে একই পরিষদে দায়িত্ব পালন। এমন ঘটনা বিরল। সূত্র মতে, ড. রুবানা হক ২০১৯ সালের এপ্রিলে বিজিএমইএ’র সভাপতির দায়িত্ব নেন। তিনিই এই সংগঠনের প্রথম নারী সভাপতি। রুবানা হকের স্বামী আনিসুল হক ২০০৪ সালের মার্চ থেকে ২০০৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বিজিএমইএ’র সভাপতি ছিলেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মরহুম মেয়র আনিসুল হকের ছেলে নাভিদুল হক বাংলাদেশ পোশাক রফতানিকারক ও মালিক সমিতির (বিজিএমইএ) ২০২১-২৩ মেয়াদের পরিচালক পদে জয় লাভ করেছেন। এই নির্বাচনে আনিসুল হকের সহধর্মিনী ড. রুবানা হকও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন। গত রোববার ঢাকা-চট্টগ্রামে একযোগে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণ শেষে রাত সাড়ে ১২টার দিকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড।
প্রকাশিত ফলাফলে দেখে গেছে, পরিচালক পদে বিজিএমইএ’র বর্তমান সভাপতি রুবানা হক দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১ হাজার ১৫৭টি ভোট পেয়ে এবং তার ছেলে নাভিদুল হক ৯৫০ ভোট পেয়ে ১৭তম অবস্থানে পরিচালক হিসেবে জয় লাভ করেছেন। তারা উভয়ে ঢাকা অঞ্চল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচনে মা-ছেলে প্যানেল ‘ফোরাম’ থেকে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন। এক সময় এই প্যানেলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মেয়র আনিসুল হক। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে ফোরামের নেতৃত্বে আসেন রুবানা হক। এই প্যানেল থেকে তিনি বিজিএমই’র সভাপতি হিসেবে জয় লাভ করেন। আনিসুল হক ২০০৫-২০০৬ সালে বিজিএমই’র সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালে ঢাকা উত্তর সিটির প্রথম মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন।
বিজিএমইএ’র একই পরিষদে প্রথমবারের মতো মা-ছেলে দায়িত্ব নেয়ার বিষয়ে ড. রুবানা হক বলেন, নিজের যোগ্যতায় ছেলে পরিচালক হয়েছে। বাবা আনিসুল হকের আদর্শে মানুষ হিসেবে আমাদের সন্তান আমাদের চেয়েও অনেক যোগ্য। মা হিসেবে আমি আশা করি, আমার ছেলে তার শিক্ষা, দক্ষতা, যোগ্যতা আর সততা দিয়ে বিজিএমইএ’র পরিষদে কাজ করবে। তার সে স্পিরিট আছে। আমাদের থেকেও সে অনেক বেশি সফল হবে।
বিজিএমইএ’র নবনির্বাচিত পরিচালক নাভিদুল হক বলেন, একই পরিষদে মা’র সঙ্গে দায়িত্ব পালন ভিন্ন অভিজ্ঞতা হবে। আগেও একসঙ্গে একই প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছি। তবে এখন দু’জন ভিন্ন ভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করছি। তাই নতুনত্ব আছে, থাকবে।
মায়ের সঙ্গে কাজ করা চ্যালেঞ্জিং হবে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সব ক্ষেত্রেই আমার বাবা-মা’র কাজ দিয়েই আমাকে সবাই বিচার করে। এটি আমার প্রতিদিনকার চ্যালেঞ্জ। কোনো দিনই আমি তাঁদের কাছাকাছি যেতে পারব না। বাবা-মা সভাপতি ছিলেন তাই তাদের নাম, সম্মান যেন ঊজ্জ্বল রাখতে পারি সেটাই নতুন চ্যালেঞ্জ।
নাভিদুল হক বলেন, সবার ভালোবাসা এবং বাবা-মা’র কারণেই আমি আজকের অবস্থানে আসতে পেরেছি বলে বিশ্বাস করি। তবে এটিও সত্য যে, আমি কিছু কাজ করেছি। আমাকে আমার যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হয়েছে। সংগঠনের পরিচালক পদে গেলে পোশাকশিল্পের জন্য কিছু করতে পারব, সেটি নিশ্চিত হওয়ার পরই কিন্তু মা আমার নাম প্রস্তাব করেছেন। মা’র হাত ধরেই নতুন জার্নি শুরু হবে। সবার মন জয় করতে পেরেছে বলেই মা সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। এর আগে বাবাও একইভাবে সবার মন জয় করে কাজ করেছেন। আমিও যাতে সবার মন জয় করে কাজ করতে পারি সে জন্য সবার দোয়া কামনা করছি।
উল্লেখ্য, নির্বাচনে বিজয়ী পরিচালকেরা আগামী ১৬ এপ্রিল সভাপতি ও সাতজন সহসভাপতি নির্বাচিত করবেন। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০ এপ্রিল আগামী দুই বছরের নতুন কমিটি বিজিএমইএ’র দায়িত্ব নেবে।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।