পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ক্যান্সার রোধক এ্যান্থোমায়োনিজ ও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ হালকা বেগুনি রঙের নতুন একটি মিষ্টি আলুর উদ্ভাবন করেছে কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট। এছাড়া একই ধরনের রঙ ও গুণ সম্পন্ন আরেকটি গোল আলুর গবেষণা উদ্ভাবন প্রক্রিয়া এখন শেষ পর্যায়ে।
সূত্রে জানা যায়, নতুন উদ্ভাবিত মিষ্টি আলুর নাম দেওয়া হয়েছে ‘বারি মিষ্টি আলু -১৭’। কয়েক বছরের গবেষণা ও মাঠ পর্যায়ে পরীক্ষার পর এটিকে চাষাবাদ ও উৎপাদন পর্যায়ে অবমুক্তির ছাড় দিয়েছে জাতীয় বীজ বোর্ড। বোর্ডের দায়িত্বে থাকা কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বলাই হাজরা ছাড় পত্রে স্বাক্ষর করেন।
এই গবেষণার সাথে জড়িত বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, দেশে গোল আলু চাষের ব্যাপক প্রচলন থাকলেও মিষ্টি আলু চাষের তেমন প্রচলন নেই। অথচ মালয়েশিয়া , থাইল্যান্ড, শ্রীলংকা, পাকিস্তান, মধ্য এশিয়াসহ সার্কভুক্ত সব দেশেই রয়েছে মিষ্টি আলুর চাহিদা।
বাংলাদেশ কৃষি তথ্য পরিসংখ্যান ব্যুরোর হাল নাগাদ তথ্য অনুযায়ী দেশে এখন মাত্র ২৬ হাজার হেক্টর জমিতে দেশীয় প্রজাতির মিষ্টি আলুর চাষ হয়ে থাকে। উৎপাদন হয় মাত্র ২ লাখ ৬৩ হাজার মেট্রিক টন আলু। হেলায় ফেলায় চাষাবাদের জন্য প্রতি হেক্টরে গড়ে উৎপাদন হয় মাত্র ১০ দমমিক ৮৩ মেট্রিক টন। যেখানে একই পরিমাণ জমিতে গোল আলুর উৎপাদন হয় ১৯ মেট্রিক টন।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সারাদেশের ৬৪ জেলাতেই কমবেশি মিষ্টি আলুর চাষ হলেও সবচেয়ে বেশি ভোলা জেলায় ৪৮০০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলুর চাষ হয়ে থাকে। এরপর চট্টগ্রামে ৪৪০০, জামালপুরে ৩৩০০ এবং বগুড়ায় ১৪০০ হেক্টরে মিষ্টি আলুর চাষ হয়ে থাকে। তবে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জুলফিকার হায়দার প্রধান জানান, তাদের উদ্ভাবিত মিষ্টি আলুর বীজ ব্যবহার এবং চাষাবাদের গাইড লাইন ফলো করলে মিষ্টি আলুর গড় উৎপাদন তিনগুণ বেশি হবে।
নব উদ্ভাবিত মিষ্টি আলু বারি -১৭ সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা প্রমাণিত ক্যান্সার রোধক উপাদানে সমৃদ্ধ। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে যা দরিদ্র শ্রেণির শিশুদের রাত কানা রোগ প্রতিরোধেও সহায়ক। শর্করা কম থাকায় ডায়াবেটিস রোগীরাও এটা খেতে পারবেন। তার মতে দেশে সাধারণত মিষ্টি আলুর ব্যবহার সেদ্ধ করে খাওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। স্টিক চিপস বা স্টার্চ আকারে বাজারজাত করার পদক্ষেপ নিলে এটা গোল আলুর মতই জনপ্রিয় এমনকি রফতানি যোগ্য পণ্য হয়ে উঠবে। তবে একই গুণ সমৃদ্ধ নতুন গোল আলু উদ্ভাবন সম্পর্কে তিনি বলেন, এটি গবেষণার শেষ ধাপে। আশা করছি মাঠ পর্যায়ের পরীক্ষা শেষে এর নাম করনের শেষ হলে আগামী বছর এটাও জাতীয় বীজ বোর্ডের ছাড়পত্র পেয়ে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।