Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

দুই মন্ত্রীর পদত্যাগের প্রয়োজন নেই আইনমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ আইনি প্রক্রিয়ায় বাজেয়াপ্তের কথা ভাবছে সরকার
স্টাফ রিপোর্টার : উচ্চ আদালতের রায়ে শপথ ভঙ্গকারী খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের পদত্যাগের প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। গতকাল বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান মন্ত্রী। দুই মন্ত্রীর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, রায়ে তিনি যতটুকু দেখেছেন তাতে দুই মন্ত্রীর বিষয়ে সাতজন বিচারপতির মধ্যে চারজন বলেছেন যে তাঁরা শপথ ভঙ্গ করেছেন। অন্য তিনজন বিচারপতি শপথ ভঙ্গের বিষয়টি তাঁদের রায়ে উল্লেখ করেননি। সংখ্যাগরিষ্ঠ রায়ে দুই মন্ত্রী শপথ ভঙ্গ করেছেন উল্লেখ করলেও এই শপথ ভঙ্গের দায়ে মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ বা অপসারণের বিষয়ে রায়ে কিছু বলা হয়নি। তিনি বলেন, আদালত অবমাননার দ- এবং শপথভঙ্গ করায় তাঁদের মন্ত্রিত্ব থাকবে, না কি থাকবে না এই নিয়ে বিদ্যমান আইনে কিছু উল্লেখ নেই। রায়েও কিছু বলা হয়নি এই বিষয়ে। এটি একটি নতুন বাস্তবতা। এ অবস্থায় তাঁদের পদত্যাগ বা অপসারণের প্রয়োজন আছে বলে আইনমন্ত্রী মনে করেন না। নৈতিকতার দিক থেকে খাদ্যমন্ত্রী ও ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর কী করা উচিত জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, নৈতিকতার বিষয়টি একান্তই তাঁদের নিজস্ব ব্যাপার।
যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের যে দাবি উঠেছে সে বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়াতেই ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভাবছে সরকার। এজন্য নতুন একটি আইন প্রণয়ন করা হবে। জনগণের দাবি পূরণে যে পদক্ষেপই নেয়া হোক তা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আইসিটি আইনের মধ্যে একটি সুযোগ করা যেতে পারে বা নতুন আইন করা যেতে পারে। আইনটি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্যই করা হচ্ছে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে আনিসুল হক বলেন, আমি বাজেয়াপ্ত করার কথা বলিনি, বাজেয়াপ্ত করা হবে কি না- তা কোর্ট নির্ধারণ করবে।
যেসব যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদ- কার্যকর হয়েছে, মুসলিম আইনে তাদের সম্পত্তি সন্তানদের মালিকানায় চলে যাওয়ায় আইন সংশোধনের বদলে নতুন আইন করাই ‘শ্রেয়’ হবে বলে মত দেন মন্ত্রী। জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র শিবির নিষিদ্ধ হচ্ছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইসিটি অ্যাক্ট ১৯৭৩ সংশোধন করা হচ্ছে। জামায়াত সংগঠন হিসেবে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। জামায়াতের বিচার করতে উপযুক্ত আইন করতে হবে। ওই আইনের খসড়া মন্ত্রিসভার অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছেন বলে জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে একটি কেন্দ্রীয় সচিবালয় রয়েছে। এছাড়া আর কোনও সচিবালয় নেই। তবে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য পৃথক কার্যালয় আছে। বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় করতে হলে, তার জন্য একটি প্রস্তাব করতে হবে। মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হতে হবে এবং তা সংসদে তুলে আইন পাস করতে হবে। আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দুই মন্ত্রীর পদত্যাগের প্রয়োজন নেই আইনমন্ত্রী
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ