পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : মেধাবী ছাত্রী ফাতিমা জিনাত অজ্ঞাত চক্ষু রোগে আক্রান্ত হয়েছে। তার চোখ দিয়ে ঝরছে রক্ত। চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হয়ে মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো উন্নতি না হওয়ায় মনোবল হারিয়ে ফেলছে সে। এ অবস্থায় তার লেখাপড়ায় দেখা দিয়েছে অনিশ্চিয়তা, অন্যদিকে পরিবারও ভুগছেন দুশ্চিন্তায়।
জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট আমতলী সরকারি কলেজে উচ্চতর গণিতের ক্লাস চলাকালীন সময় হঠাৎ ফাতিমা জিনাতের ডান চোখ থেকে রক্ত ঝরতে থাকে। তখন সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ক্লাস চলাকালীন পাশের মেয়েটি তা দেখে চিৎকার করে ওঠে। তাৎক্ষণিক জিনাতকে পটুয়াখালীর বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালে নেয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু ইনস্টিটিউট, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় চক্ষু বিভাগে এবং মহাপরিচালক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হকের (চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও ফ্যাকো সার্জারি) স্মরণাপন্ন হন।
একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরও জিনাতের চোখের কোনো উন্নতি হয়নি, এমনকি চিকিৎসকরা তার চোখ কি ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত হয়েছে তাও শনাক্ত করতে পারেননি বলে জানান জিনাতের বাবা মো. মামুন হাসান।
তিনি বলেন, দুই ছেলেমেয়ের মধ্যে জিনাতই বড়। জিনাত ৫ম ও ৮ম শ্রেণিতে জিপিএ-৫ সহ বৃত্তি পেয়েছে। দৈনিক ৪/৫ বার চোখ দিয়ে কান্নার ন্যায় রক্ত ঝড়ে। তার স্থায়িত্বকাল ১-২ সেকেন্ড।
বর্তমানে জিনাত আমতলী সরকারি ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী। বাড়ি পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী গ্রামে।
জিনাতের বাবা আরো বলেন, গত ৪ আগস্ট থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত এক মাস তিন দিনের মধ্যে মাত্র তিন দিন তার চোখ থেকে রক্ত ঝরেনি। বাকি কোনোদিন পাঁচবার, কখনো সাতবার আবার সর্বোচ্চ ১০ বার করেও হঠাৎ হঠাৎ রক্ত ঝরেছে।
প্রথমদিকে রক্ত ঝরার সময় জিনাত খেয়াল করতে পারত না, যে রক্ত ঝরছে। অন্য কেউ দেখে তাকে জানালে সে ভয়ে কখনো কখনো জ্ঞান হারিয়ে ফেলতো। আর এখন রক্ত ঝরার সময় সে চোখে যন্ত্রণা অনুভব করে। রক্ত যখন আসে তখন চোখের নিচ দিয়ে ব্যথা মাথার দিকে ওঠে। চোখের মনির ভিতরে ও মাথায় ব্যথা অনুভব করে। নাক-মুখ গরম হয়ে যায়। মনে হয় যেন তাপ বের হচ্ছে।
মেয়ের অসুস্থতার ব্যাপারে জিনাতের বাবা বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
প্রসঙ্গত; এ পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে কয়েকজনের চোখ দিয়ে রক্ত ঝরার খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। ২০১৬ সালের ১১ আগস্ট ভারতের আসামের লাখিমপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রতীম দর্জির চার বছর বয়সি ছেলে সাগর দর্জির চোখ থেকে রক্ত পড়ার খবর প্রকাশ করে দেশটিভির সংবাদ মাধ্যম। এছাড়া ভারতের উত্তর প্রদেশের টুইঙ্কেল দেও ভিদির চোখ দিয়ে রক্ত পড়ার খবর এবং যুক্তরাজ্যে ২০১৩ সালে মেরিন হারভিস নামে এক তরুণীর চোখ থেকে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। সূত্র : ওয়েবসাইট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।