পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়ছে
আরিচা ও গোয়ালন্দ সংবাদদাতা : ফারাক্কার বিরূপ প্রভাবে পদ্মায় তীব্র ভাঙন ও প্রবল স্রোতের কারণে বিপর্যস্ত পাটুরিয়া- দৌলতদিয়া ফেরি সার্ভিসের গতকাল (বুধবার) পর্যন্ত তেমন কোন উন্নতি হয়নি। দৌলতদিয়া মোট চারটি ঘাটের মধ্যে মাত্র দু’টি ঘাট চালু করা সম্ভব হয়েছে।
ফলে এ ঘাটে যানজটের তুলনায় ফেরি জট দেখা দিচ্ছে। ঘাট পন্টুন স্বল্পতায় লোড-আনলোড ও ফেরি চলাচলে দ্বিগুণেরও বেশী সময় লাগছে। বিকল্প পথে অধিক সংখ্যক দূরপাল্লার বাস ও অন্যান্য যানবাহন চলাচল শুরু করায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় অপেক্ষমাণ যানবাহনের সংখ্যাও কমে এসেছে। ফেরি ও লঞ্চে বাসের যাত্রী পারাপারা বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে ঈদুল আযহার ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ বৃদ্ধি পাবে। গতকাল বুধবার বিকেল থেকে ঘুরমুখো ঈদ যাত্রীদের চাপ শুরু হয়েছে। ঘাটে যানজট, ফেরি ও লঞ্চ পারাপার নির্বিঘœ করতে স্থানীয় প্রশাসনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেও ফেরি সার্ভিসের অচলাবস্থা তেমন কোন উন্নতি হয়নি। এতে এ দু’টি ঘাটে ঈদে ঘরমুখো মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগের আশংকা থেকেই যাচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি’র আরিচা আঞ্চলিক অফিস সূত্র জানায়, দৌলতদিয়ার চারটি ঘাট চালু করা না গেলে ফেরি সার্ভিসের অচলাবস্থা কাটবে না। মোট ১৮টি ফেরির প্রায় সবক’টিই এখন সচল। ফেরি চলাচলে বেশী সময় লাগলেও ঈদের চাপ সামাল দেয়া সম্ভব বলে ঘাটে কর্মরত কর্মকর্তারা জানান।
বিআইডব্লিটিসি’র নির্বাহী প্রকৌশলী এনামুল হক অপু গতকাল জানান, এ রুটে চলাচলরত মোট ১৮টি ফেরির মধ্যে ২টি রো-রো, ২টি ইউটিলিটি ফেরি পাটুরিয়া ভাসমান কারখানায় মেরামতে ছিল। আজ (বুধবার) তিনটি ফেরি মেরামত শেষে বহরে যুক্ত হয়েছে। এছাড়া ‘হাসনাহেনা’ নামের ইউটিলিটি ফেরির মেরামত বুধবার রাতের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
দূরপাল্লার কোচ চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহনের ঘাট চেকার আশোক আলী জানান, ফেরিতে পারাপারে বেশী সময় বসে থাকার কারণে যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। ফলে অধিকাংশ বাস এখন বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু হয়ে চলাচল করছে।
দ্রুতি পরিবহনের ঘাট চেকার আব্দুল আওয়াল জানান, তাদের কয়েকটি বাস ফেরি পারাপারে চলাচল করতো। এমন পরিস্থিতিতে এসব বাসের সব যাত্রী এখন লঞ্চে পারাপার হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে।
ফেরি পারাপারের অনেক কোচ ও বাস পদ্মার দু’পাড়ে রেখে যাত্রী ফেরি ও লঞ্চে পারাপার করা হচ্ছে।
পাটুরিয়ায় কর্মরত বিভিন্ন পরিবহনের কয়েকজন ঘাট চেকার অভিযোগ করে বলেন, ভিআইপি যানবাহনের অজুহাতে সিরিয়াল ভঙ্গ করে কিছু সংখ্যক বাস বুকিং দেয়া হচ্ছে। এতে ঘাটে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হচ্ছে। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ফেরি টার্মিনাল সুপারিনটেনডেন্ট রবিউল হাসান তাহেরী জানান, সম্পূর্ণ সিরিয়াল পদ্ধতিতে সকল যানবাহনের ফেরি বুকিং দেয়া হচ্ছে। শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ, আন্তর্জাতিক যানবাহন (বাস) ও কোরবানীর পশুবাহী যানবাহন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বুকিং দেয়া হয়।
বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, দৌলতদিয়া ঘাট স্বল্পতার কারণে ফেরিতে যানবাহন লোড-আনলোড চলাকালীন ঘাটে আসা কোন কোন ফেরিকে ক্ষেত্র বিশেষ ২০/৩০ মিনিট ভাসমান অবস্থায় থাকতে বাধ্য হয়।
এতে প্রায়শই ঘাটে ফেরি জটের সৃষ্টি হচ্ছে। বুধবার সন্ধ্যায় দু’পাড়ে পাঁচ শতাধিক যানবাহন ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় ছিল।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় বুধবার বিকেলে পাটুরিয়া ঘাটে স্থানীয় প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলায় নিয়োজিত সংস্থা, বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তারা জরুরী বৈঠক বসে।
অচল ফেরি ঘাটে দেরি
নজরুল ইসলাম, রাজবাড়ী থেকে ঃ দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ নৌ-পথ রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া। এই নৌরুট দিয়ে প্রতিদিন একুশ জেলার চার থেকে সাড়ে চার হাজার ছোট বড় যানবাহন পারাপার হয়। ঈদে সেই পরিমাণ বেড়ে হয় দ্বিগুণ। দৌলতদিয়া ঘাটটি স্থাপিত হয় ১৯৭৩ সালে। সেই সময়কার কিছু ফেরি এখনও চলছে এই রুটে যা প্রতিদিনই নষ্ট হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ কোন রকমে মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করলেও বার বার নষ্ট হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক বাণিজ্য মোঃ সফিকুল ইসলাম জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে আঠারটি ফেরি থাকলেও বর্তমানে সচল রয়েছে তেরটি ফেরি আর নষ্ট রয়েছে পাঁচটি ফেরি। নষ্ট ফেরিগুলো সাময়িক ভাবে মেরামত হচ্ছে আবার দুই চারদিন চলার পর বিকল হচ্ছে। এর উপর রয়েছে পদ্মায় প্রবল স্রোত। স্রোতের কারণে ফেরিগুলো ঘাটে আসতে সময় লাগছে দ্বিগুণ। এই রুটে চলমান তেরটি ফেরির মধ্যে ফেরি কাবেরী এবং গোলাম মওলা স্রোত থাকলেও সবঘাটে ভিড়তে পারছে, বাকি ফেরিগুলো ভিড়তে সমস্যা হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়ছে ঈদে ঘরমুখো মানুষ এবং ঢাকামুখী কোরবানির পশুবাহী গাড়ি ও যানবাহন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।