Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চিলমারীতে কর্মসূচি উদ্বোধনে -প্রধানমন্ত্রী মঙ্গা শব্দটা যেন শুনতে না হয় এজন্য কাজ চলছে

প্রকাশের সময় : ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৪৫ পিএম, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

‘শেখের বেটি হাসিনা হামাক ১০ ট্যাকায় চাউল খোওয়াইবে। এটা হামরা কল্পনাতেও আনবার পাই নাই।’


শফিকুল ইসলাম বেবু, চিলমারী থেকে ফিরে : এই কুড়িগ্রাম শুনলে মঙ্গা শুনতে হয়। বৃহত্তর রংপুরে মঙ্গা শব্দটা আর মুখে বা কানে যেন শুনতে না হয় এজন্য কাজ শুরু করা হয়েছে। এই অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ হবে না। মঙ্গা থাকবে না। সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। দেশের যারা হতদরিদ্র কিনে খাওয়ার সামর্থ নাই তাদেরকে ১০ টাকা কেজি দরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হচ্ছে। সমস্ত বাংলাদেশে যে মাসে কাজ থাকে না সেই সব সময়ে বছরে ৫ বার চাল বিতরণ করা হবে। জাতির পিতার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন করা হয়েছে। বাংলাদেশের একটি মানুষও না খেয়ে মরবে না। যারা গৃহহারা হয়েছে ঘর নাই, তারা ঘর পারে। কেউ বিনা চিকিৎসায় মরবে না। সকল ছেলেমেয়ে লেখাপড়ার সুযোগ পাবে। বুধবার কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি’ উদ্বোধন করতে এসে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
“শেখের বেটি হাসিনা হামাক ১০ ট্যাকায় চাউল খোওয়াইবে। এটা হামরা কল্পনাতেও আনবার পাই নাই। হামার দুঃখের দিন তো শ্যাষ হয়া গেইল বাহে।” প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৩০ কেজি চাল পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে ফাতেমা বেগম (৬৫) এ অভিব্যক্তি ব্যক্ত করেন।
হতদরিদ্র মানুষের মাঝে প্রতিকেজি ১০ টাকা দরের ৩০ কেজি করে চাল বিতরণের মধ্যদিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে খাদ্যবান্ধব এ কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন। একে একে ফাতেমা বেগম, হালিমা বেগম, শ্রীমতি বাসন্তি রাণী, শ্রীমতি মালতি রাণী, জিয়ারা খাতুন, রশিদা খাতুন, আঃ হক, আজিজুল হক, জাহাঙ্গীর আলম, আবু বকর সিদ্দিক, আলিফ উদ্দিন, আমজাদ হোসেন, মোস্তফা আলী, আঃ খালেক ও ফরিদ উদ্দিন প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে এ চাল পেয়ে আনন্দে উদ্বেলিত। মালতি রাণীর স্বামী ভবেশ চন্দ্র দাস জোড়গাছ মাঝিপাড়ার অধিবাসী। জমি-জমা নেই। মাছ ধরতে পারলে জোটে খাবার, না হলে উপোস। তিন মেয়ে ও দুই ছেলেকে নিয়ে টানাটানির সংসার। ১০ টাকার রেশন কার্ড পেয়ে সে আনন্দে উদ্বেলিত। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে গিয়ে তারা বলেন, আল্লাহ যেন তাকে (শেখ হাসিনা) দীর্ঘজীবী করেন। এরকম নানা অনুভূতির কথা জানান, উদ্বোধনী দিনে খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় রেশন কার্ডধারী ৬৪ জন উপকারভোগী।
প্রধানমন্ত্রী সকাল ১১টায় সভাস্থলে উপস্থিত হন। এর আগে তিনি হেলিকপ্টারযোগে চিলমারী হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন। ব্যাপক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যদিয়ে এক কিলোমিটার দূরে সভাস্থলে আসেন। এসময় পথে পথে হাজার হাজার মানুষ তাকে এক নজর দেখার জন্য ভিড় জমায়। হাত নেড়ে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানায়। থানাহাট এ,ইউ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নির্ধারিত আমন্ত্রিত অতিথি ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেয়নি নিরাপত্তা বিভাগের লোকজন। সূধী সমাবেশে প্রায় ১০ হাজার মানুষের সংকুলান হলেও লক্ষাধিক মানুষ বাইরে উদগ্রীব হয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শোনেন। প্রচ- রোদ উপেক্ষা করে মাইকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে পেলেও এক নজর দেখতে না পাওয়ার বেদনা তাদেরকে ক্ষুব্ধ করে। ভোর থেকে রৌমারী, রাজিবপুর, উলিপুর, নাগেশ্বরী, ফুলবাড়ী, ভুরুঙ্গামারী, বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়া, রাজারহাট ও কুড়িগ্রাম থেকে হাজার হাজার মানুষ প্রধানমন্ত্রীকে এক নজর দেখতে অপেক্ষা করে। তারা সভাস্থলে যেতে না পারলেও চিলমারীর শহরের পথে পথে খ- খ- মিছিল করে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানায়। প্রধানমন্ত্রী সোয়া ১২টা থেকে পৌনে ১টা পর্যন্ত প্রায় ৩০ মিনিট ধরে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান শেষে দুপুর পৌনে ২টার দিকে তিনি হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দেন।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, সারা দেশ ঘুরে দেখেছি। দেখেছি মানুষের দুঃখ-দুর্দশা। ছিয়ানব্বই সালে সরকার গঠনের পর বাংলাদেশের মানুষের উন্নতি হয়েছে। আমাকে বাংলার মানুষ সুযোগ দিলে দেশে সব দুখী মানুষের মুখে খাদ্য তুলে দিতে চাই। মানুষ যেন না খেয়ে কষ্ট না পায় এজন্য সামাজিক নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। কুড়িগ্রামে দীর্ঘস্থায়ী বন্যা ও নদী ভাঙনে যারা গৃহহারা হয়েছে। তাদের জমি দিবো। ঘরবাড়ি দিবো। যারা দরিদ্র-ক্ষুধার্ত তাদের মুখে অন্ন তুলে দেবার ব্যবস্থা করবো।
একদিকে আমরা দেশের দুর্ভিক্ষ দূর করার চেষ্টা করছি। অপরদিকে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, সৃষ্টি করেছে বিএনপি-জামায়াতসহ জোট সরকার। পরপর কয়েকটি সন্ত্রাসী ঘটনার পর মাত্র ১০ ঘণ্টার মধ্যে আমরা জঙ্গিদের প্রতিহত করে উদ্ধার কার্যক্রম সফল করেছি। ইসলামে কোথাও মানুষ খুন করার কথা বলা নাই। যারা মানুষ খুন করে তারা ইসলামের লোক হতে পরে না। এদের সম্পর্কে সজাগ হতে হবে। এজন্য জনমত তৈরি করতে হবে। আমাদের যুব সমাজ আমাদের সম্পদ তারা যাতে বিপথে না যায়, মাদকাশক্ত না হয় এজন্য বাবা-মা, শিক্ষক, নির্বাচিত প্রতিনিধি সকলের কাছে আবেদন আপনাদের সন্তানরা কে কোথায় যায় সে ব্যাপারে নজর রাখুন। তাদের কথা শুনুন।
বিএনপি ভারতের কাছে ছিটমহল বিনিময় ও সীমানা নির্ধারণের কথা উচ্চারণ করার সাহস পায়নি। কিন্তু আমরা শান্তিপূর্ণভাবে স্থল সীমানা চুক্তি বাস্তবায়ন করি। আমরা ছিটমহল বিনিময় করেছি। সার বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি। বাংলাদেশের জন্য এটি ঐতিহাসিক ঘটনা। আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে বিশাল সমুদ্র এলাকা বাড়িয়েছি।
যারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছে তাদের বিচার করেছি। ’৭১ সালে যারা নির্যাতন, হত্যা ও লুটপাট করেছে সেসব যুদ্ধাপরাধীদের রায় কার্যকর করা হয়েছে। বাংলাদেশ কলঙ্কমুক্ত হচ্ছে।
আমরা আমাদের প্রজন্মকে শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে চাই। আমারা বিনামূল্যে বই তুলে দিচ্ছি। বাবা-মাকে আর কষ্ট করতে হবে না। এছাড়াও শিক্ষা সহায়তা ফান্ড তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় একটি কলেজ ও একটি স্কুলকে সরকারিকরণ করেছি। শিক্ষার্থীদের আধুনিক শিক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে হবে। দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা হয়েছে। এখন সবার হাতে হাতে মোবাইল চলে গেছে। মানুষ ইন্টারনেটের মাধ্যমে সারা বিশ্বকে জানতে পারছে। সরকার ইউনিয়ন পর্যায় ডিজিটাল তথ্য সেবার মাধ্যমে সেবা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া হয়েছে। চিকিৎসা সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্য বিনা খরচে কমিউনিটি ক্লিনিক কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, চিলমারী বন্দরের পুরনো ঐহিত্য ফিরে আনার জন্য কাজ করা হবে। চিলমারী থেকে পায়রা সমুদ্র বন্দর পর্যন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করা হবে। কুড়িগ্রামের ১৬টি নদীর নাব্যতা দূর করার জন্য ড্রেজিং করা হবে। এজন্য সমীক্ষার কাজ চলছে। এছাড়াও দ্বিতীয় ধরলা ব্রিজ ও রাস্তা নির্মাণে কাজ করা হচ্ছে। রেল সংযোগ আরো উন্নত করা হবে।
২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত-দ্রারিদ্যমুক্ত দেশ গড়ে তুলবো। এজন্য স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করতে যাচ্ছি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে দিতে। আওয়ামী লীগের হাতকে শক্তিশালী করুন। আ’লীগের পতাকাতলে সমবেত হোন।
খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোঃ কামরুল ইসলাম এমপি’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বিশেষ অতিথি কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এমপি, সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, চিলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও চিলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত আলী সরকার বীর বিক্রম প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য দেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব এএম বদরুদ্দোজা। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেনÑ কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সাংসদ এ কেএম মাঈদুল ইসলাম মুকুল, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সাংসদ রুহুল আমিন, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্রশাসক মোঃ জাফর আলী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্র কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্রশাসক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, রংপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক, কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক খান মোঃ নুরুল আমিন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তবারক উল্লাহ্, চিলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুছ সরকার প্রমুখ।
আওয়ামী লীগের সভাপতি ম-লীর সদস্য ও কৃষি মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি, ’৭৪-এর চিলমারীর আলোচিত জালপড়া সেই বাসন্তির কথা উল্লেখ করে বলেনÑ এটি ছিল একটি ষড়যন্ত্র। কারণ মানসিক প্রতিবন্ধী বানন্তিকে জাল পড়িয়ে তৎকালিন বঙ্গবন্ধু সরকারকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করে। কু-চক্রী মহলের সে ষড়যন্ত্র সফল হয়নি।
সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর বলেন, ‘মুই বাহে তোমার মানুষ, বাড়ী মোর নীলফামারী।’ মোর হিংষা হয়, এক বছরে প্রধানমন্ত্রী কুড়িগ্রামে দু’বার আসল। আর আমি গত আট বছরে একবারও নীলফামারীতে নিতে পারি নাই প্রধানমন্ত্রীকে। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুড়িগ্রামের মানুষকে ভালবাসে। মঙ্গা দূর করাই ছিল তার লক্ষ্য। কুড়িগ্রাম তথা রংপুর অঞ্চলের মঙ্গা এখন যাদুঘরে। এ কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। আওয়ামী লীগের প্রতিশ্রুতি ছিল ১০ টাকায় চাল খাওয়াবে। খালেদা বলেছিলেন জনগণের সাথে ঠাট্টা। তাই তিনি খাদ্য মন্ত্রীকে অনুরোধ করেন ১০ টাকার একটি রেশন কার্ড খালেদা জিয়াকে পৌঁছে দেয়ার জন্য। তাহলে তিনি বুঝবেন হাসিনা মিথ্যা বলেন না।
সভাপতির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোঃ কামরুল ইসলাম এমপি বলেন, বর্তমান সরকারের নেয়া সামাজিক নিরাপত্তা ব্যাস্টনীর অন্যান্য কর্মসূচির সাথে যোগ হল খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি। ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ।’ এই শ্লোগান সামনে রেখে দরিদ্র মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার কাজ চলছে। বাংলাদেশ এখন খাদ্য রপ্তানী করে। আমরা নেপালসহ বিভিন্ন দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগে খাদ্য সহায়তা পাঠিয়েছি।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, জয়বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বলে বক্তব্য শেষ করেন। তারপর আবার বলেন, আমি এরশাদের দল জাতীয় পার্টি করি। আমার দলের প্রেসিডেন্ট এরশাদ। এরশাদ দীর্ঘজীবী হোক। এসময় উপস্থিত সবাই হেসে ওঠে।



 

Show all comments
  • AK Ferdous ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১১:৩৫ এএম says : 0
    দেখার অপেক্ষায় আছি.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চিলমারীতে কর্মসূচি উদ্বোধনে -প্রধানমন্ত্রী মঙ্গা শব্দটা যেন শুনতে না হয় এজন্য কাজ চলছে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ