Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গণপরিবহনে ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে নেটিজেনদের তীব্র ক্ষোভ

শাহেদ নুর | প্রকাশের সময় : ১ এপ্রিল, ২০২১, ১১:২৮ পিএম

দেশে বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আগামীকাল বুধবার (৩১ মার্চ) থেকে সারাদেশে গণপরিবহনের অর্ধেক সিটে যাত্রী নিয়ে চলাচলের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর প্রেক্ষাপটে পরিবহনের ভাড়া ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী দুই সপ্তাহ পর্যন্ত এ আদেশ বহাল থাকবে।

বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন নেটিজেনরা।

সাংবাদিক ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ লিখেন, ‘গণপরিবহন ব্যবহারকারী সাধারণত নিম্নবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণী। করোনার কারণে এই শ্রেণীর লোকই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিপুল পরিমাণ মানুষ কর্মহীন হয়েছে। অনেকের কর্ম থাকলেও বেতনহীন বা অর্ধ বেতনে দিনাতিপাত করছে। গত বছর সামাজিক দুরত্বের অযুহাতে গণপরিবহণে যে ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছেল, পরবর্তীকালে পরিবহন মালিকরা সামাজিক দুরত্ব উঠিয়ে দিলেও ভাড়া এডজাস্ট করেনি অনেকক্ষেত্রেই।
এরমধ্যে চলতি বছর রমজান মাস আসার আগেই বিনা কারণে সকল ধরণের নিত্যপণ্যের দাম একধাপ বৃদ্ধি করা হয়েছে। রমজানে তা আরো বাড়বে। ফলে নগরীর কর্মহীন, বেতনহীন বা অর্ধবেতনের গণপরিবহন ব্যবহারকারীরা অনেক কষ্টে নিজেদের মানিয়ে নেয়ার সংগ্রাম করছে। এরমধ্যেই সরকার আবারো গণ পরিবহণের ভাড়া ৬০% বৃদ্ধি করলো। এর প্রভাব শুধু গণপরিবহন নয়, সকল ক্ষেত্রেই পড়বে। ফলে রমজানের মূল্যবৃদ্ধি, গণ পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি ও এরফলে অন্যান্য ব্যয় বৃদ্ধি নগরীর নিম্নবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ কীভাবে সামাল দেবে সে ভাবনা সরকার করেনি। পরিবহণ মালিকরা সরকারী, বেসরকারী দলের নেতা, মন্ত্রী, আমলা। তারা তাদের লসে গাড়ি চালাতে রাজি নয়। তাই সরকারকে দিয়ে তাদের লস পুষিয়ে নিলো। কিন্তু জনগণ কিভাবে এই বাড়তি ভাড়া দেবে- তা ভাবনার কেউ নেই। ফলে এ শ্রেণীর মানুষগুলোর আগামী দিন যে দুর্বিষহ হতে যাচ্ছে তা বলায় বাহুল্য।’

‘সারাবছর ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী নিয়ে চলাচলের পরেও মাত্র ২ সপ্তাহ যারা যাত্রীদের স্বাভাবিক ভাড়া রাখতে পারে না, তাদেরকে ব্যবসা করার সুযোগ না দেওয়াই উচিত’ বলে মনে করে আয়নাল হক।

ক্ষোভ প্রকাশ করে এমডি শাহিনুর ইসলাম লিখেন, ‘বর্ধিত ভাড়া কে প্রদান করবে? বর্ধিত ভাড়ার অনুমোদন যেই সংস্থা করবে, তাদের দিয়ে প্রয়োজনে ভূর্তকি প্রদান করে হলেও বর্ধিত ভাড়া প্রদান করা উচিত! এতো ধরণের পরিবহন সংগঠন থাকতে সব দায় কেন সাধারণ জনগণ কে নিতে হবে?’

শেখ হালিমের প্রশ্ন, ‘যাত্রী বহন করবে অর্ধেক, ভাড়া দিতে হবে ৬০% বেশি। এটা কি ন্যায্য সিদ্ধান্ত হলো?’

পরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে এমডি আবদুল করিম লিখেন, ‘প্রতিটা সিটেই যাত্রী উঠাবে। করোনার কোন বালাই থাকবে না। থাকবে না কোন সামাজিক দূরত্ব। থাকবে না মাস্ক বা স্যানিটাইজার। শুধুমাত্র সাধারণ মানুষদের আর্থিক ভোগান্তি। .......... রা সব লুটে পুটে খা....’

ফারহানা মাহমুদ লিখেন, ‘হরতালে বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়ার পর দিন থেকেই ৬০% বাস ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত! চমৎকার! অতি চমৎকার উপহার!’

দুঃখ প্রকাশ করে এইচআর চয়ন লিখেন, ‘এদেশে গরীব ক্ষমতাহীন মানুষদের বেঁচে থাকার কোন অধিকার নাই।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গণপরিবহনে ভাড়া বৃদ্ধি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ