পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ওরা আমার অপহৃত স্বামীকে মেরে ফেলবে। ওরা নিষ্ঠুর ওদের চোখের পর্দা নেই। ইরাকে অপহরণকারী চক্রের হাতে অপহৃত প্রবাসী স্বামী নূরুল ইসলামকে উদ্ধারের আশায় দফায় দফায় ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়েও তাকে অবমুক্ত সম্ভব হয়নি। বাগদাদে অপহরণকারী চক্রের হাত অনেক লম্বা। ইরাকস্থ প্রবাসী কর্মী নূরুল ইসলামকে উদ্ধারে বাগদাদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এবং স্থানীয় প্রশাসনের কোনো সহায়তা মিলছে না। আজ বৃহস্পতিবার রাতে অপহৃত নূরুল ইসলামের স্ত্রী মেহেরপুরের বেড়ের মাঠ উত্তর পাড়ার গৃহবধু মিনারা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে ইনকিলাবের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন। এ ব্যাপারে গত ১৬ মার্চ মেহেরপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে, আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় ১১টায় ইরাকের আয়াদি গ্রুপের অর্ধশত প্রবাসী কর্মী কয়েক কোটি টাকা নিয়ে উধাও হওয়া প্রচারক চক্রদের গ্রেফতার ও টাকা উদ্ধারের দাবিতে বাগদাদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। দূতাবাসের কোনো সহায়তা না পেয়ে তারা নিরাশ মনে কর্মস্থলে ফিরে গেছে। বাগদাদ থেকে নির্ভরযোগ্য সূত্র এতথ্য জানিয়েছে। এ ব্যাপারে দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ও কাউন্সেলর (শ্রম কল্যাণ) মো. রেজাউল কবীরের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরে কথা বলেন বলে জানান।
অপহৃত নূরুল ইসলামের বাবা মো.রমজান আলী ইরাকস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর (শ্রম কল্যাণ) রেজাউল কবীরের কাছে তার সন্তানকে উদ্ধার করে দেশে প্রেরণের আকুতি জানিয়ে লিখিত চিঠি দেন। দূতাবাস অদ্যবাধি অপহৃত নূরুল ইসলামকে উদ্ধারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। ইরাকে অপহরণকারী চক্রের মূল হোতারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে । ইরাকের বাগদাদ থেকে বাংলাদেশী ইরাক প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. মাসুদ রানা শাহীন আজ রাতে ইনকিলাবকে এতথ্য জানান। তিনি বলেন, কয়েক মাস আগে অপহরণকারী চক্ররা টাঙ্গাইলের নয়ন, মুন্সিগঞ্জের আইএস, ও দিনাজপুরের রাশেদকে অপহরণ করে কুর্দিস্থান বডার ও বাগদাদের কারবালায় নিয়ে জিম্মি করে তাদের উপর নির্যাতন নিপীড়ণ চালায় । সাড়ে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে নয়ন ও রাশেদ ছাড়া পায়। অপহৃত আইএসকে এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহায়তা চেয়ে কেউ কোনো দিন সাড়া পায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।