পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মহামারি করোনার মধ্যে ২০২০ সালে ২৮ হাজার নিরাপদ উড্ডয়ন ঘণ্টা অর্জন করেছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। গতকাল ঢাকা সেনানিবাসের ফ্যালকন হলে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ৪৪তম বার্ষিক কমান্ড সেফটি সেমিনারে এ তথ্য জানান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে এ অর্জনে বিমান বাহিনী সদস্যদের প্রশংসা করেছেন বাহিনীর প্রধান।
বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত বলেন, ২০২০ সাল ছিল বিমান বাহিনীর জন্য একটি ঘটনাবহুল বছর। বিমান বাহিনী বিভিন্ন ‘অপারেশনাল উড্ডয়নের’ পাশাপাশি করোনাকালে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে চিকিৎসাসামগ্রী আনা, মালদ্বীপ ও লেবাননে চিকিৎসাসামগ্রী পরিবহন, আটকে পড়া বাংলাদেশিদের যুক্তরাজ্য ও মালদ্বীপ হতে বাংলাদেশে আনাসহ নানা দায়িত্ব অত্যন্ত সফলভাবে পরিচালনা করে।
বিমান বাহিনী প্রধান উল্লেখ করেন, আগের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে বিভিন্ন দুর্ঘটনা রোধ ও “সুরক্ষা সংস্কৃতি” বিকাশ সম্ভব। এ বিষয়ে ২০২০ সালে সাইবেরিয়া ও আলাস্কা হয়ে সুদূর কানাডায় বিমান বাহিনীর সি-১৩০বি বিমান পরিচালনা একটি মূল্যবান অভিজ্ঞতা। তিনি বলেন, “সম্মিলিত প্রয়াস” নিরাপদ উড্ডয়নের চাবিকাঠি। সবাইকে আরও সতর্ক ও সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণের অধিকারী হতে হবে। সব নিয়মনীতি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। বিমান বাহিনী সার্বিকভাবে এ্যানালগ ব্যবস্থা থেকে ডিজিটাল ব্যবস্থায় উত্তরণ করছে। তাই উড্ডয়ন নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আপোষহীন মান অর্জনের লক্ষ্যে সর্বস্তরের জনবলের মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ প্রদানের ওপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন। ২০২১ সালে অক্টোবরে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য “৭ম আন্তর্জাতিক উড্ডয়ন নিরাপত্তা সেমিনার” সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে যথাযথভাবে প্রস্তুতি নিতে আহবান জানান বিমান বাহিনীর প্রধান। তিনি ৪৪তম কমান্ড সেফটি সেমিনারের মাধ্যমে বিমান বাহিনীর সদস্যদের পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মধ্য দিয়ে উড্ডয়ন নিরাপত্তার মান উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
২০২০ সালে সর্বাধিক নিরাপদ উড্ডয়ন ঘণ্টা অর্জনের জন্য বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ‘আন্তঃঘাঁটি ফ্লাইট সেফটি ট্রফি’ এবং ১১ নং বহর ‘আন্তঃস্কোয়াড্রন খাদেমুল বাশার ফ্লাইট সেফটি ট্রফি’ লাভ করে। অনুষ্ঠানে বিমান সদর ও বিমান বাহিনীর ঘাঁটি ‘বাশার’ এবং ঘাঁটি ‘বঙ্গবন্ধু’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিমানসেনারা উপস্থিত ছিলেন। বিমান বাহিনীর অন্যান্য ঘাঁটি সমূহের সদস্যগণ ভিডিও টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।-আইএসপিআর
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।