পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাহেদ খোকন, গোহাটী (ভারত) থেকে : ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ সাউন্ড সিস্টেমের বিশালকায় স্পিকারগুলোতে একসাথে বেজে উঠলো বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত। পত পত করে উড়ছে গর্বের লাল-সবুজ পতাকা। পোডিয়ামের চারিদিকে ক্যামেরার ফ্ল্যাশে চোখ খোলা দায়। জোনাকির আলোর মত স্টেডিয়ামের গ্যালারি থেকেও ক্ষণে ক্ষণে জ্বলে উঠছে মুঠোফোনের ক্যামেরার লাইটগুলোও। উপলক্ষ্য একটি ইতিহাসকে ফ্রেমবন্দী করা। তবে যার হাত ধরে ইতিহাসে নাম লেখালো বাংলাদেশ তার চোখ থেকে অঝর ধারায় ঝরছে অশ্রু, আনন্দ অশ্রু, গর্বের অশ্রু- তিনি মাবিয়া আক্তার সীমান্ত। যার হাত ধরে এবারের এসএস গেমসে প্রথম স্বর্ণ পদক পেলো বাংলাদেশ। শুধু কী নিজেই কেঁদেছেন? কাঁদিয়েছেন সেই স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে থাকা বাংলাদেশিদের, বাঙালিদের। আর টিভি সেটের সামনে বসে যারা এই ইতিহাসের সাক্ষি হয়েছেন তারাও কি অশ্রু লুকোবার পথ পেয়েছেন? মনে হয় না।
ঢাকা থেকে ৩০৯ কিলোমিটার দূরে ভারতের আসাম রাজ্যের গৌহাটির ভোগেশ্বরী ফুকানানি ইনডোর স্টেডিয়ামে গতকাল স্ন্যাচ ও ক্লিন অ্যান্ড জার্ক মিলিয়ে ১৪৯ কেজি তোলেন সীমান্ত। স্ন্যাচে ৬৭ কেজি ও কিনন অ্যান্ড জার্কে ৮২ কেজি তোলেন তিনি। শ্রীলঙ্কার আয়েশা বিনোদানী (১৩৮ কেজি) ও নেপালের জুন মায়া চান্তিয়ালকে (১২৫ কেজি) পেছনে ফেলে ইতিহাসে নাম লেখালেন সীমান্ত।
সীমান্তে যখন বুঁদ এই ইনডোর তখন গুয়াহাটির ড. জাকির হোসেন অ্যাকুয়াটিক কমপ্লেক্সের সুইমিং পুলে রাজত্ব করে বেড়িয়েছেন আরেক বাংলাদেশি মাহফুজা আক্তার শীলা। একই দিনে স্বর্ণালী আভায় দিনটিকে রাঙিয়েছেন বাংলাদেশের এই সাঁতারু। এসএ গেমসের সাঁতারে ১০ বছর ধরে চলা সোনার পদকের খরা দূর করলেন মেয়েদের ১০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে সোনা জিতে। সময় নিয়েছেন মাত্র ১ মিনিট ১৭.৮৬ সেকেন্ডে সাঁতার শেষ করেন মাহফুজা ২০০৬ সালে সর্বশেষ সাঁতার থেকে সোনার পদক পেয়েছিল বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, এই প্রথম কোন বাংরাদেশি নারী সাঁতারু পেলেন এসএ গেমস স্বর্ণ পদক! এসএ গেমসের গত ১১ আসর মিলিয়ে বাংলাদেশের জেতা ৬৩টি সোনার পদকের মধ্যে ১৫টিই এসেছিল সাঁতার থেকে। কিন্তু ২০১০ সালের আসরে নিজেদের পুলেই সোনা পায়নি বাংলাদেশ; ৬টি রূপা ও ১০টি ব্রোঞ্জ জিতেছিল সাঁতারুরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।