Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রামুর বাঁকখালী নদীতে একটি সামুদ্রিক প্রাণী নিয়ে কৌতুহল

প্রকাশের সময় : ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

শামসুল হক শারেক, কক্সবাজার অফিস : রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ এলাকায় বাঁকখালী নদীতে একটি বিশাল সামুদ্রিক প্রাণী নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের আগ থেকে বিকাল পর্যন্ত ওই মাছটি কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের বাঁকখালী নদীর বাদুইজ্জাকুম নামক স্থানে ভাসছিল। সারাদিন কয়েক মিনিট পরপর এর দেহের একাংশ পানির উপরে তুলে এনে খেলা করার এ দৃশ্য দেখতে নদীর দু’পাড়ে ভিড় করে শত শত নারী-পুরুষ।
ওই এলাকার বাসিন্দা সংবাদকর্মী এম আবদুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, কালো রংয়ের মাছটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫/২০ ফুট হতে পারে। এলাকাবাসীর ধারণা এটি সাগরের বড় কোন জাতের মাছ হতে পারে। কেউ কেউ বলছেন এটি হাঙর জাতীয় সামূদ্রিক প্রাণী।
কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতের কারণে বাঁকখালী নদী এখন পানিতে একাকার। এই সুযোগে মাছটি বঙ্গোপসাগর থেকে বাঁকখালী নদীর উজানে গিয়ে আটকে গেছে। বাঁকখালী এখন পানিতে টইটুম্বর হলেও বৃষ্টি শেষে পানির গভীরতা কমে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কয়েকজন জেলে জাল নিয়ে ওই মাছটি ধরার জন্য গেলেও ভয়ে নামার সাহস পাননি। কারণ হিসেবে জানা গেছে, এক বছর পূর্বে বাঁকখালী নদীর বাদুইজ্জাকুম নামক এ স্থানে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে প্রাণ হারায় নাফিসা ও নাঈমা নামের দুই মাদরাসা ছাত্রী। ফলে স্থানটি কিছুটা আতঙ্কের। এর উপর বড় আকারের অপরিচিত সামুদ্রিক প্রাণীটি ধরতে তারা সাহস করছেনা। তার পরেও স্থানীয় কয়েকজন জেলে মাছটি ধরার জন্য চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলে জানা গেছে।
কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে জানান, মাছটি সাইজে অনেক বড়। এটি জাল দিয়ে ধরাও কষ্টসাধ্য হবে। তিনি আরো জানান, মাছটি এর আগে লোকজন বাঁকখালী নদীর শিকলঘাট এলাকায় দেখেছিলো। এখন ওখানে ঠাঁই নিয়েছে।
এলাকার কয়েকজন প্রবীন ব্যক্তি জানান, বাঁকখালী নদীর ২২ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে কাউয়ারখোপ বাদুইজ্জাকুম এলাকাটি হচ্ছে সবচেয়ে গভীর। এ কারণে বিশাল সামূদ্রিক প্রাণিটি নদীর এ গভীর স্থানকে বেছে নিয়েছে বলে তাদের ধারণা।
এদিকে গতকাল দুপুরের দিকে রামু শিকলঘাট এলাকাসহ কয়েকটি স্থানে বাঁকখালীর পাড়ের কয়েকটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে নদীতে ওই অপরিচিত প্রাণিটি জলপরি বলে জানাজানি হলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কয়েকটি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ছুটি দেয়া হয় বলেও জানাগেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রামুর বাঁকখালী নদীতে একটি সামুদ্রিক প্রাণী নিয়ে কৌতুহল
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ