পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা, যশোর : যশোরের পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান বিপিএম পিপিএম (বার) গতকাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আরো ১১ জঙ্গির পোস্টার প্রকাশ করেছেন।
এর আগে ৫ জঙ্গিও ছবিসহ প্রথম পোস্টার প্রকাশ করে পুলিশ। তিনি বলেছেন, তাদের শনাক্ত ছাড়াও পরিবার-পরিজন কোনো গ্রুপের সঙ্গে কানেকশন তার সব তথ্য-উপাত্ত এখন পুলিশের হাতে। কোনোরূপ ছাড় দেয়া হবে না। পুলিশ হন্যে হয়ে তাদের খুঁজছে। ১১ জনের মধ্যে চার ভাইবোনসহ ৬ জন একই পরিবারের সদস্য। এদের মধ্যে তিন ভাইবোনকে বিভিন্ন সময়ে পুলিশ আটক করলেও এরা সরকারি কৌঁসুলির নীরবতায় আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে পালিয়েছে। তারা মিশর প্রবাসির সন্তান। এসপি বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ও কাজকর্মে ত্রুটিবিচ্যুতি থাকতে পারে, কিন্তু আমরা কখনোই দেশ ও জাতির শত্রু যারা, তাদের ব্যাপারে বিন্দুমাত্র আপোস করি না। তিনি আবারো যশোরের মাটি থেকে মাদক, অপরাধ, জঙ্গি সন্ত্রাসীর আস্তানা মূলোৎপাটনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
পুলিশের প্রকাশিত পোস্টারের জঙ্গিরা হলো, একই পরিবারের ৬ সদস্য যশোর শহরের পুরাতন কসবা কদমতলা এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে তানজিব ওরফে আশরাফুল, তার ভাই তানজির আহমেদ, বোন মাছুমা আক্তার ও মাকসুদা খাতুন, মাকসুদার স্বামী শাকির আহম্মেদ ও মাসুমার স্বামী নাজমুল হাসান এবং অপর ৫ জন হলো, রাজধানীর উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর রোডের ১৭ নম্বর বাড়ির মুসাব্বির ওরফে প্রকাশ ওরফে তন্ময় (৩০) এবং ঢাকার আশকোনা দক্ষিণখান ৪০১ কলেজ রোডের হারেজ আলী (২৭) যশোরের মণিরামপুরের জিএম নাজিমউদ্দিন ওরফে নকশা নাজিম, চাঁচড়া বেড়বাড়ি এলাকার মহিউদ্দিন এবং শার্শার মেহেদি হাসান ওরফে জিম ওরফে হুসাইন। নিষিদ্ধ সংগঠন হিযুবত তাহরীরের এই সদস্যের সন্ধান চেয়ে এ পোস্টার প্রকাশ করা হয়েছে। পোস্টারে স্থান পাওয়া ১১ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা ও সাধারণ ডায়েরি (জিডি) রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান আরও জানান, যশোর শহরের পুরাতন কসবা কদমতলা এলাকার মিশর প্রবাসী আবদুল আজিজের ছেলে হিযবুত তাহরীরের আঞ্চলিক কমান্ডার তানজিব ওরফে আশরাফুল (২০) বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে দায়ের হওয়া সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলা তদন্ত করতে গিয়ে এই ১১ জনের জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া গেছে। জঙ্গিদের সন্ধান চেয়ে যশোর পুলিশের পক্ষ থেকে পোস্টার ছাপানো হয়েছে। উল্লিখিত একই পরিবারের ছয় জঙ্গির মধ্যে তানজিব হিযবুত তাহরীরের মোশরেক পদে আছেন। বাকিরা একই সংগঠনের কর্মী। আশরাফুলের দুই ভগ্নিপতি এবং ঢাকা থেকে হারেজ ও মুসাবির নামে আরও দুজন প্রশিক্ষক ওই বাড়িতে হিযবুত তাহরীরের সদস্যদের প্রশিক্ষক দিতেন। জঙ্গি সংশ্লিষ্ট পরিবারের চার ভাইবোনের মধ্যে তানজিব, তানজির ও মাছুমাকে পুলিশ আটক করে আদালতে সোপর্দ করে। কিন্তু পরবর্তীতে তারা জামিনে মুক্ত হয়ে পলাতক রয়েছেন। আদালতে সরকারি কৌঁসুলি জামিন আবেদনের বিরোধিতা না করায় তাদেরকে জামিন দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ সুপার আদালতের নথি দেখে প্রমাণ পেয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।