Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৬৮ কারাগারের বন্দিদের ডাটাবেজ সংরক্ষণ করা হয়েছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, যেসব ক্রিমিনাল দেশ ও নাম পরিবর্তন করে তাদের শনাক্ত করতে ডাটাবেজ সংরক্ষণ করা হয়েছে। দেশে ৬৮ কারাগারে আটক বন্দীদের সব তথ্য ওই ডাটাবেজে রয়েছে। অপরাধ কমানোর জন্য এটি তৈরি করা হয়েছে। এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে কোন আসামি বাইরে যাচ্ছে, কে ভেতরে থাকছে সব তথ্যই জানা যাবে। গতকাল রোববার দুপুরে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের সদর দফতরে ‘র‌্যাব-প্রিজন ইনমেট ডাটাবেজ’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী অথবা অন্য কেউ যাতে ভুয়া পাসপোর্ট তৈরি করতে না পারেন, এ জন্য তাদের পরিচয়পত্রও বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করে তা ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অভিযোগ রয়েছে, সরকরি কর্মকর্তাদের নামেও ভুয়া পাসপোর্ট তৈরি করা হয়। এগুলো যেন না হয় সে জন্য ভবিষ্যতে সরকারি অফিসগুলোতেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিচয়পত্র ও বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করে ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে। এতে কর্মকর্তা-কর্মচারী অথবা অন্য কেউ ফেইক (ভুয়া) পাসপোর্ট তৈরি করতে পারবেন না।
তিনি বলেন, এই ডাটাবেজ তৈরির কারণে কোনো অপরাধী নাম অথবা দেশ পাল্টাতে পারবে না। ডাটাবেজ ইমিগ্রেশনের সঙ্গেও যুক্ত করা হবে। যাতে কোনো অপরাধী বিদেশে পালিয়ে সে দেশে অপরাধ করে ফের যেন দেশে প্রবেশ করতে না পারে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, এর একটি সফল উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলো। এটার জন্য র‌্যাব কয়েক বছর ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। র‌্যাব ও প্রিজন কর্তৃপক্ষ শেষ পর্যন্ত ক্রিমিনাল ডাটাবেজটি করতে সমর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, এই ডাটাবেজের সঙ্গে আইজি প্রিজন এখন সম্পৃক্ত হচ্ছেন। ভবিষ্যতে পাসপোর্টের ডিজিও হবেন। তার অধীনে এক কোটি ২৮ লাখেরও বেশি এমআরপি পাসপোর্ট প্রিন্ট হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও হবে। এ ছাড়া ন্যাশনাল আইডির সঙ্গে এই ডাটাবেজ যুক্ত হয়েছে। সবাই এই ডাটাবেজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একজন ব্যক্তির সম্পর্কে তথ্য নিতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে আইজি (প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফখার উদ্দিন বলেন, অনেক সময় এক আসামি কোর্টে হাজিরা দিতে বের হয়। কিন্তু পরে দেখা যায়, জেলখানায় প্রবেশ করে অন্য একজন। ডাটাবেজের কারণে এটা আর সম্ভব হবে না। কোন আসামি জেলখানা থেকে বের হচ্ছেন, আর কে ভেতরে প্রবেশ করছেন সব তথ্য এই ডাটাবেজে থাকবে। তাদের ফিঙ্গারপ্রিন্টও নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন সময় আসামিরা অপরাধ করে ভিন্ন ভিন্ন নাম ব্যবহার করে থাকে। এবার তা করা সম্ভব হবে না। অনেক সময় দেখা যায়, ছোটভাই অপরাধ করছে, কিন্তু ছোটভাই উপার্জনক্ষম হওয়ায় পরিবার নাম পরিবর্তন করে বড়ভাইকে জেলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। জাতীয় পরিচয়পত্র ডাটাবেজে যুক্ত হওয়ায় এবার কেউ ভুয়া নাম ব্যবহার করতে পারবে না।
র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, এই ডাটাবেজের মাধ্যমে দেশের ৬৮টি জেলের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন হলো। এর মাধ্যমে ভুয়া ও বিভিন্ন নাম দিয়ে আটক হওয়া জঙ্গিদের শনাক্ত করা যাবে। তাদের গতিবিধিও লক্ষ করা যাবে। তারা কখন জেল থেকে বের হচ্ছেন, কখন জামিন পাচ্ছে; সবকিছুই র‌্যাব সদর দফতর ও প্রিজন মনিটরিং করতে পারবে। এতে জাতীয় নিরাপত্তা আরও সুসংহত হবে।
ডাটাবেজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক, বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাসুদ রেজওয়ান এবং র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান জিয়াসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধাণগণ উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, এর একটি সফল উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলো আজ। এটার জন্য র‌্যাব কয়েক বছর ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। র‌্যাব ও প্রিজন কর্তৃপক্ষ শেষ পর্যন্ত ক্রিমিনাল ডেটাবেইসটি করতে সমর্থ হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ৬৮ কারাগারের বন্দিদের ডাটাবেজ সংরক্ষণ করা হয়েছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ