পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিলেটের বিয়ানীবাজারের গজুকাটা সীমান্ত এলাকায় ব্রিটিশ আমলে তৈরি একটি মসজিদ পুনঃনির্মাণে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের বাধা দেয়ার ঘটনায় প্রতিবাদে সরব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে বিএসএফের এই হস্তক্ষেপের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় তুলেছেন বাংলাদেশি নেটিজেনরা।
ব্রিটিশ আমলে তৈরি ওই মসজিদটি পুনঃনির্মাণের কাজ শুরু করতে গিয়ে মঙ্গলবার থেকে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে বিজিবি এবং বিএসএফ। সীমান্ত এলাকায় কয়েকটি বাঙ্কার তৈরি করে অবস্থান নিয়েছে বিএসএফ। প্রতিবাদে বিজিবিও শক্তিবৃদ্ধি করেছে।
গজুকাটা গ্রামের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদটি সীমান্ত এলাকার ১৩৫৭ নং পিলারের ভেতরে বাংলাদেশ অংশে অবস্থিত। এসব ঘটনার প্রেক্ষাপটে আটকে গেছে মসজিদটি পুনঃনির্মাণ কাজ।
বিএসএফের বাধা দেয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুকে পারভেজ আলম লিখেছেন, ‘‘আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে তারা হস্তক্ষেপ করে অথচ আমরা তাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীকে এনে জামাই আদর করব, এটা কেমন যুক্তি? আসলে আমাদের সরকার জনগণের মতামতকে ৪ পয়সার দামও দেয় না, কারণ তাদের ক্ষমতায় থাকতে জনগণের দরকার হয় না, আর আমরাও সব কিছু চুপচাপ মেনে নেযই কেন? উন্নয়ন দিয়ে কি হবে যদি স্বাধীনতাটাই না থাকে, যদি অন্যদের হস্তক্ষেপে দেশ চলে।’’
মোঃ ইকবাল লিখেছেন, ‘‘দেশের এক ইঞ্চিও না ছাড়ার শপথ নিয়েছিলেন ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা। তাঁরা সেই শপথ আমাদেরকে পাঠ করিয়ে গেছেন। আমরা সেই শপথ রক্ষার্থে সবসময় প্রস্তুত আছি ইনশাআল্লাহ!
আমরা হারবনা, হারবনা
তোমার মাটির একটি কণাও ছাড়বনা
আমরা পাঁজর দিয়ে দূর্গ ঘাটি গড়তে জানি
তোমার ভয় নেই মা
আমরা প্রতিবাদ করতে জানি।’’
রবিউল ইসলামের মন্তব্য, ‘‘তিনি এসে মন্দির পরিদর্শন করবেন, তাই আপাতত মসজিদ নির্মাণ বন্ধ। একটা নিঃকন্টক জায়গায় মসজিদ পুনঃনির্মাণ করতে বাঁধা দেয়ার আর কোন কারণ খুজে পাচ্ছি না। ভিআইপি অতিথি রাগ করে যদি সফর বাতিল করেন, এজন্য রাষ্টীয়ভাবে শক্ত প্রতিবাদও করা যাচ্ছে না। অতিথির সফরের প্রতিবাদ করাকে যারা ঈমানী দায়িত্ব বলছে, মসজিদ নির্মাণে বাঁধা দেয়ার প্রতিবাদ করাকে তারা ঈমানী দায়িত্ব মনে করছে না! অথচ সফরের প্রতিবাদ বাদ দিয়ে, মসজিদের ইসু নিয়ে জোরালো প্রতিবাদ দরকার ছিল। আপনি কার কাছে কি আশা করবেন?’’
আমিনুল ইসলাম লিখেছেন, ‘‘বিজিবির উচিত হবে, ২০০১ সালের এপ্রিলের শিক্ষাটা বিএসএফকে আবার দেওয়া। কিন্তু বিজিবি তা পারবেনা,কারণ আ'লীগ ভারতের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয় ক্ষমতায় থাকার জন্যে এটা বিএসএফ ভালো করেই জানে।আজ, দেশের সার্বভৌমত্ব অরক্ষিত!’’
রাইহান কবির লিখেছৈন, ‘‘বাংলাদেশের সীমান্তে মসজিদ স্থাপন করুক আর মন্দির স্থাপন করুক ভারতের এত অনুভূতি কেন...? মিনিমাম কমনসেন্স টুকু নেই,,, অন্যের ভুখন্ডে তারা যা মন চায় করুক। এখানে গায়ে পড়া ভাব নিয়ে যুদ্ধংদেহী মনোভাব কেন...?এটা কোন সিষ্টাচার বা ভদ্রতার ভেতর পড়ে...?’’
মোঃ মনির লিখেছেন, ‘‘নতজানু পররাষ্ট্রনীতি বাদ দিয়ে, উচিত হবে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে বিজিবি যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া, প্রয়োজনে বিএসএফের যে কোন আগ্রাসী ভূমিকার উপযুক্ত জবাব দেয়া। এটাই আশা করে দেশবাসী।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।