পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
৫০ বছরে দেশের এগিয়ে যাওয়ার সব অর্জনে নারীর অবদান পুরুষের সাথে সমানে সমান। বঞ্চনার তিক্ত অতীত পেরিয়ে, এই সময়ে নারীর ক্ষমতায়নে অনেকদূর এগিয়েছে বাংলাদেশ। সমাজের সব স্তরে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ায় আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর অবদান বেশি দৃশ্যমান। শিক্ষা ও ক্ষমতায়নে দেশের নারীদের অবস্থান এখন বিশ্বে রোল মডেল।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশ। এ সময়ে যা কিছু অর্জন, তাতে সমান-সমান অবদান নারী-পুরুষের। নারীরাই এখন দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। কৃষি এবং পোশাকশিল্প খাতে নারীর অবদান সবচেয়ে বেশি। সম্প্রতি প্রকাশিত এক জরিপ বলছে, দেশের রফতানি শিল্পে ৯০ ভাগই নারী শ্রমে অর্জিত। শুধু কৃষি ক্ষেত্রে কাজ করছে ৬০ শতাংশ নারী। শিক্ষা-চিকিৎসাসহ বেশ কিছু পেশায় পুরুষদেরও ছাড়িয়ে গেছে নারীরা। ৭০ এর দশকে শ্রমবাজারে ৫ ভাগ নারীর অংশগ্রহণ এখন ঠেকেছে ৩৬ ভাগে।
অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, এখন বাংলাদেশের নারীরা উদ্যোক্তা হচ্ছেন। বড় বড় ব্যবসা করছেন। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাও আছেন। তারা বিভিন্ন ধরণের পেশায় আছেন। যেগুলোকে এক সময় মনে করা হতো পুরুষের পেশা।
নারী শিক্ষাকে উৎসাহিত করতে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত চালু হয়েছে উপবৃত্তি কার্যক্রম। প্রাথমিক শিক্ষায় মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে মেয়েদের হার প্রায় ৫১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকেও প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী নারী। তবে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে নারীর হার কিছুটা কম, ৩৮ শতাংশ। স্বাস্থ্যখাতেও নারীর অংশগ্রহণ এখন অর্ধেকেরও বেশি।
নারীর ক্ষমতায়নের দিক থেকে বিশ্বে রোল মডেল বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা, স্পিকারসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নেতৃত্বে রয়েছেন নারী। তবে এই চিত্র কি দেশের সব নারীর ক্ষমতায়নের প্রতিচ্ছবি?
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের হলো আংশিক। এটা সবার জন্য হয়নি। সবার জন্য যদি না হয় তবে আমি বলবো, আমাদের যে বড় লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, কাউকে পিছনে ফেলে রাখা যাবে না, সেখানে অনেক নারী এখনও পিছিয়ে আছে।
অর্জনে নারীর সমতা থাকলেও পারিবারিক বা সমাজের অধিকারের বেলায় নেই তা। আর এটিই নারীর এগিয়ে যাওয়ার পথে বড় অন্তরায়। একই সঙ্গে নারীর নিরাপত্তার অভাবও বড় বাধা। এজন্য বিভিন্ন সময়ে নারীর প্রতি সহিংসতায় ম্লান হচ্ছে অনেক অর্জন।
শাহীন আনাম বলেন, বাইরে যেয়ে নারী কাজ করবে, আমি বলবো তার নিরাপত্তার জায়গা খুবই দুর্বল। আর তাছাড়া ঘরেও নারীকে অনেক কাজ করতে হয়, তার কাজ কেউ ভাগ করে নিচ্ছে না। তাই কর্মক্ষেত্রে সে যতটা মন দিয়ে কাজ করা দরকার পারছে না। তাই আস্তে আস্তে তার পারফর্মেন্স কমে আসে সে তার কেরিয়ার আর এগিয়ে নিতে পারে না।
সরকারি-বেসরকারি চাকরি ও ব্যবসায় নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে ব্যাপকভাবে। পুলিশ, প্রশাসন, বিচারবিভাগ, সামরিক বাহিনী ও সাংবাদিকতাসহ চ্যালেঞ্জিং সব ক্ষেত্রেই নারীর অবস্থান সুদৃঢ়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।