Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ছবিটি অবন্তিকা নয় দিলরুবা লীনার

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ মার্চ, ২০২১, ১২:০০ এএম

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করেছে পিকে হালদারের বান্ধবী ও সহযোগী অবন্তিকা বড়ালের বিরুদ্ধে। তাকে গ্রেফতার এবং জিজ্ঞাসাবাদও করেছে। একাধিক মামলায় গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন অবন্তিকা। অথচ সংবাদ মাধ্যমে ছবি প্রকাশ হচ্ছে রোদ-চশমা পরিহিত লীনা দিলরুবার। গুগলে অবন্তিকা হালদারের নাম লিখে তল্লাশী দিলেও ভেসে উঠছে লীনার ছবি। ঘটনায় হতভম্ব লীনা ঢাকার ধানমন্ডি থানায় জিডিও করেছেন। তাতেও কাজ হয়নি। এখনও অবন্তিকার পরিবর্তে দিলরুবা লীনার ছবিই ছাপা হচ্ছে। এই ছবি বিভ্রাটে বিব্রত লীনা। কেন এমনটি হচ্ছে- সেটি জানা গেলো তত্ত¡-তালাশের পরই। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন দিলরুবা লীনা।

তিনি জানান, লীনা দিলরুবা গত ১৭-১৮ জানুয়ারি জানতে পারেন ‘অবন্তিকা’ নামে তার একটি ছবি সংবাদ মাধ্যমে ব্যবহৃত হচ্ছে। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে লীনার সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। বিভিন্ন পত্রিকা এবং পোর্টালে ছবিসহ তার নিয়মিত লেখা প্রকাশ হয় তার। একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও লেখক পরিচয়েই তিনি পরিচিত। মাস কয়েক আগে অবন্তিকা বড়াল সম্পর্কিত একটি নিউজের পাশেই ছবিসহ লীনার একটি লেখা প্রকাশ হয়। এই অবন্তিকা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পিকে হালদার) হালদারের সহযোগী। গত ৮ জানুয়ারি দুদক মামলা করে পিকের বিরুদ্ধে। ঘটনার সঙ্গে অবন্তিকা বড়ালেরও সম্পৃক্ততা রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করা হয় ১৫ জানুয়ারি।
অবন্তিকার খবরে লীনা দিলরুবা নিজের ছবি দেখে আঁতকে ওঠেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ওই সংবাদপত্রে যোগাযোগ করেন। ছবিটি সরেও যায়। স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন লীনা। তবে এই স্বস্তি ছিলো সাময়িক। কয়েকদিন পর এক বন্ধুর বাসায় গিয়েছিলেন লীনা। হঠাৎ জানতে পারেন মার্কিন প্রবাসী মিলি সুলতানা তার ছবি দিয়ে অবন্তিকা বড়াল সম্পর্কে একটি খবর পোস্ট দিয়েছেন। মিলির ফলোয়ার সংখ্যা লক্ষাধিক। তিনি ও তার বন্ধুরা মিলির সঙ্গে উপর্যুপরি যোগাযোগ করতে থাকেন, ততক্ষণে ওই পোস্ট লাইক- শেয়ারে সয়লাব হয়ে যায়। লীনা দিলররুবা তাকে অনুরোধ জানান দুঃখ প্রকাশ করে আরেকটি পোস্ট দিতে। এই ছবির কারণে তিনি কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাও বলেন। জবাবে ইনবক্সে মিলি সুলতানা বলেন, ছবিটি ব্যবহার করেছে একটা পত্রিকা। আমি সেখান থেকে নিয়েছি। আপনাকে চিনি না বলে ভুল–বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। আমি বিষয়টা যখনই জেনেছি, তখনই ছবি রিমুভ করেছি। এখানে অন্য কোনো ইনটেনশন ছিল না।
ছবিটি তখন সরে যায়। কিন্তু ভোগান্তি লীনার পিছু ছাড়লো না। কয়েকদিন পর একটি ইলেকট্রনিক মিডিয়ার খবরে অবন্তিকা বড়ালের পরিবর্তে তার ছবি প্রচার করে। এই খবর লীনা জানতে পারেন নিজের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মুখে।
বিব্রত, বিরক্ত দিলরুবা লীনা গত ২২ জানুয়ারি ঢাকার ধানমন্ডি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডি লেখেন, ‘বিডিনিউজ ২৪-এ আমি সাহিত্য পাতায় নিয়মিতভাবে লেখালেখি করি। সেখান থেকে আমার ছবি কপি করে বিভিন্ন মিডিয়ায় ব্যবহার করে আমার মান ক্ষুন্ন করছে। তারা ভবিষ্যতে আমাকে আরও ক্ষতির মুখোমুখি করতে পারে-আশঙ্কায় বিষয়টি ভবিষ্যতের জন্য ডায়েরি করা প্রয়োজন বলে অনুভব করছি।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দিলরুবা লীনা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ