পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, মৃত্যুঞ্জয়ী বঙ্গবন্ধু এখনও আমাদের পথ-নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আমাদেরকে ভৌগোলিক মুক্তি দিয়েছেন, এখন আমরা তার দেখানো পথেই অর্থনৈতিক মুক্তি পেয়েছি। বিশ্বাস, আস্থা ও অর্জনের মাসে আমাদের শপথ হোক এগিয়ে যাওয়ার। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে অপচয় বন্ধ করার তাগিদ দিয়ে অর্থমন্ত্রী সক্ষমতার সবটুকু কাজে লাগানোর আহবান জানান।
গতকাল জনতা ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান কার্যালয় ভবনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মরণে তৈরি ‘মুজিব কর্নার’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে উঠে আসে আর্থিক খাতসহ দেশের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও পথ নকশার নানা দিক।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, মার্চ মাস আমাদের আস্থার মাস, অর্জনের মাস, বিশ্বাসের মাস। এ মাসে জাতির জনকের জন্ম, এ মাসে আমরা গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছি। এ মাসে জাতির জনক ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন, যা বিশ্বের সর্বকালের সেরা ভাষণ। অর্থমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ আমাদের স্বাধীনতার ও অর্থনৈতিক মুক্তির ভাষণ। অনেকে ভুল করে বলেন, ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি’ বঙ্গবন্ধু। কিন্তু বাস্তবে তিনি হাজার নয়, ‘সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি’।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এটা সেলিব্রেশন মাস, এ মাসে জনতা হোক জনতার। এ মাসে আমাদের শপথ হোক আয় বাড়ানোর, অপচয় ও দুর্নীতি কমানোর।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আরও বেশ কয়েক বছর জনমিতিক সুবিধা ভোগ করবে বাংলাদেশ। এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে টেকসই করতে হবে উন্নয়ন-অগ্রগতি। এ সময়, কোন কোন অঞ্চলকে কীভাবে দ্রুত উন্নয়নের তালিকায় নেয়া যায়; সে ব্যাপারে প্রস্তাব পেলে তা আসছে বাজেটে অন্তর্ভুক্তির আশ্বাস দেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, জাতির পিতার দেয়া নাম জনতা ব্যাংক। এ ব্যাংককে হতে হবে জনতার, এজন্য আরও কাজ করতে হবে। মূলধন ঘাটতির দিকে নজর দিতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেয়া প্রণোদনা বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে, বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও এসএমই ঋণদানে আরও অবদান রাখতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর বলেন, অগ্রগতির পথে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে পদার্পণ করেছে বাংলাদেশ। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শক্ত ভূমিকা রাখতে হবে ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. এস এম মাহফুজুর রহমান বলেন, আমরা সব দিক থেকে ভালো অবস্থানে নেই, তবে এখন সবগুলো ওভারকাম করতে চাই। বলতে দ্বিধা নেই, আমরা খেলাপি ওক্ষুদ্র ঋণে অনেক পিছিয়ে আছি। গত এক বছরে কোভিড-১৯ আমাদের কাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, প্রত্যেকটা সেক্টরে বঙ্গবন্ধু কাজ করে গেছেন। তবে আর্থিক খাতে বঙ্গবন্ধুর সংশ্লিষ্টতা ছিল সবচেয়ে বেশি। রাস্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকের নামকরণও করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। প্রত্যেকটি ব্যাংকের নামও দেন চমৎকার। জনতা ব্যাংকে মুজিব কর্নার স্থাপনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, মুজিব কর্নার শুধু নামেই না, এটাকে ধারণ করতে হবে। এটা আমাদের অনুপ্রানিত করবে।
জনতা ব্যাংকের এমডি ও সিইও মো. আব্দুছ ছালাম আজাদ বলেন, বঙ্গবন্ধু নিজেই জনতা ব্যাংকের নামকরণ করেন। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরবের। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।