পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : কেন্দ্রের নির্দেশে জামায়াতের ডাকা অযৌক্তিক হরতাল এবং দেশজুড়ে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসের প্রতিবাদে রাজধানীজুড়ে মিছিল ও সমাবেশ করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। এ সময় সমাবেশে উপস্থিত নেতাকর্মীরা বলেছেন, ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায় কার্যকর করায় দেশবাসীর মতো আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা উচ্ছ্বসিত। একইভাবে দলের সহযোগি সংগঠন স্বেচ্ছাসেবকলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও আনন্দিত-উৎফুল্ল। গতকাল সোমবার সকালে রাজধানীর প্রায় ১৬টি পয়েন্টে সমাবেশ করে নেতাকর্মীরা এসব কথা বলেন।
হরতালবিরোধী সমাবেশের অংশ হিসেবে রাজধানীর জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন খদ্দর বাজার শপিং কমপ্লেক্সের সামনে গতকাল সোমবার দুপুরে শাহবাগ থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ঢাকাবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, হরতাল আহ্বানকারীদের আজ দেশে দূরবীণ ও মাইক্রোস্কোপ দিয়েও খুঁজে পাওয়া যায় না। আমরাও একসময় হরতাল করেছি। আমাদের হরতালে জনগণের অকুন্ঠ সমর্থন ছিল।
তিনি পাকিস্তানের সঙ্গে বিরাজমান বর্তমান কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃমূল্যায়ন করার আহ্বান জানিয়েছেন বলেন, সরকারের উচিত দেশটির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। তিনি বলেন, আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবেন না। আপনারা নাক গলালে আপনাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর ক্ষমতা আমাদেরও রয়েছে। পাকিস্তানকে জঙ্গিদের বংশ বিস্তারের দেশ হিসেবেও উল্লেখ করেন তিনি।
শাহবাগ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম আতিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ। কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী আল বদর কমান্ডার মীর কাসেম আলীর ফাঁসির দ-াদেশ কার্যকর করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আদালত ও আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের এই বিচার কার্যে সম্পৃক্ত সকলকে ধন্যবাদ জানান মো: শাহে আলম মুরাদ।
মুরাদ বলেন, যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-শিবির চক্র খালেদা-তারেকের সঙ্গে মিশে পাকিস্তানের আদলে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ বেঁচে থাকবে। আওয়ামী লীগ বেঁচে থাকবে, দেশের উন্নয়ণের ধারা অব্যাহত থাকবে। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য জীবনপণ লড়াই করে যাবো।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেনÑ কামাল চৌধুরী, দিলীপ রায়, হেদায়েতুল ইসলাম, কাজী মোর্শেদ কামাল, আকতার হোসেন, মিরাজ হোসেন, অ্যাড. এমএ হামিদ খান, এমএ করিম, মনোয়ার হোসেন, আব্দুর রব, অরুন সরকার রানা, জোবায়দুল হক রাসেল, সংরক্ষিত কাউন্সিলর সৈয়দা রোকশানা ইসলাম, আনিসুর রহমান প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন- ২০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা খায়রুজ্জামান ফারুক।
এছাড়াও আওয়ামী ওলামা লীগের একাংশের সভাপতি মাওলানা ইলিয়াছ হোসাইন বিন হেলালী এবং সাধারণ সম্পাদক মাওলানা দেলোওয়ার হোসেনের নেতৃত্বে সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেইটের সামনে হরতাল ও সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদবিরোধী সমাবেশ হয়েছে।
এদিকে রাজধানীর প্রায় ১৬টি পয়েন্টে সমাবেশ করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। ডেমরা থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল¬া সজলের নেতৃত্বে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় মিছিল ও মিছিল শেষে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শ্যামপুর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো: তোফাজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে মাজার গেইট থেকে ঘুন্টিঘর পর্যন্ত মিছিল ও মিছিল শেষে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কদমতলী থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. নাছিম মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেনের নেতৃত্বে বিক্রমপুর প¬াজার সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ মুন্নার নেতৃত্বে যাত্রাবাড়ী মোড়ে প্রায় ৫ শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ৪৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাঈদ মিলন, ইসমাইল হোসেন খান। সূত্রাপুর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি হাজী মো. সাহিদ ও সাধারণ সম্পাদক গাজী আবু সাঈদের নেতৃত্বে ধোলাইপাড় ট্রাকস্ট্যান্ডের সামনে মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি চৌধুরী আশিকুর রহমান লাভলুর নেতৃত্বে কাপ্তান বাজার মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বংশাল থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন বাদলের নেতৃত্বে নর্থ সাউথ রোডে অবস্থান কর্মসূচী পালন। পল্টন থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোস্তবা জামান পপি ও ১৩নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে শান্তিনগর মোড়ে অবস্থান কর্মসূচী পালন করা হয়। মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি বশির উদ্দিন বাবুল ও সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. সাব্বির হোসেনের নেতৃত্বে মতিঝিল শাপলা চত্বরের সামনে অবস্থান কর্মসূচী পালন। রমনা থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও ১৯নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে মগবাজার মোড়ে অবস্থান কর্মসূচী পালন। অপরদিকে ১৯নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন পেট্রোল বোমা বহনকারী তিন জামায়াত শিবির কর্মীকে গাড়ীসহ আটক করে রমনা থানায় সোপর্দ করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।