পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিশিষ্ট আইনজীবী সংবিধান প্রণেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, রাষ্ট্রযন্ত্রের মধ্যে গলদ আছে, প্রাতিষ্ঠানিকভাবেই দুর্নীতি আছে, শাসন ব্যবস্থার মধ্যে দুর্নীতি আছে। দুর্নীতি থেকে মুক্ত হতে আগে দুর্নীতি চিহ্নিত করতে হবে। জবাবদিহিতা নিশ্চিতের জন্য আমাদের সোচ্চার হতে হবে, গুম-হত্যার ভয়ে নিষ্ক্রিয় হওয়া যাবে না। নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলে সমাজকে দুর্নীতিমুক্ত করা যাবে না। গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘দুর্নীতি জাতীয় অগ্রগতির প্রধান অন্তরায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কামাল হোসেন এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া নামের একটি সংগঠন।
কামাল হোসেন বলেন, সব প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হলে সমাজকে দুর্নীতিমুক্ত ঘোষণা নিশ্চিন্ত করা সম্ভব। আমাদের সোচ্চার হতে হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে, সবাই ঐক্যবদ্ধ হলে দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করা সম্ভব। তিনি আরো বলেন, গুম-খুনের বিরুদ্ধে, কুশাসনের বিরুদ্ধে আমাদের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ভয় থেকে নিজেকে মুক্ত হতে হবে, স্বাধীন দেশে প্রজাতন্ত্রের ক্ষমতার মালিক হচ্ছে জনগণ। আমাদের সংবিধান আছে, সেখানে আছে আমার জানমালের নিরাপত্তা দেবে সরকার। আইনের শাসনের অর্থ হচ্ছে, আইন সঠিকভাবে প্রয়োগ করা।
দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে মন্তব্য করে প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, ‘ব্রিটিশ আমল থেকে দেখে আসছি আমরা সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। এজন্য আমরা কখনও পরাজিত হইনি। এসময় তিনি বলেন, দেশের মানুষকে অসৎ বলায় আমার ঘোর আপত্তি আছে। ৯০ ভাগ মানুষ দেশকে দিয়ে যাচ্ছে বিভিন্নভাবে। কৃষক উৎপাদন না করলে কি দেশ চলত? এখানে চিহ্নিত করতে হবে, কোথায় দুর্নীতি হচ্ছে। জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে যে কি শক্তি হয়, এর প্রমাণ বাঁশের লাঠি দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি। বাঙালি অন্যায়ের কাছে মাথা নত করে না। তিনি বলেন, ‘ছোটবেলায় আমাদের বাবা-মা শিক্ষা দিয়েছিল মানুষ হও, এটা আমাদের ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্যের কারণেই আমরা অন্যায়ের সঙ্গে আপস করি না। আশির দশকে সেটা প্রমাণ করেছি। তখনকার শাসক আমাদের অনেককে কেনার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তিনি সফল হননি। আর এমনটাই স্বৈরশাসকের চরিত্র হয়, যেমন আইয়ুব খান করেছিল। আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্য সুলতান মনসুর, ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্য লে. কর্নেল (অব.) জোবায়ের উল্লাহ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।