পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সুনামগঞ্জের শাল্লার নোয়াগাঁওয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে হামলার ঘটনার বিচার দাবি করে দেশ থেকে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি প্রতিরোধের আহবান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ১০ বিশিষ্ট নাগরিক।
শিক্ষাবিদ, লেখক, নাট্যব্যক্তিত্বসহ এই ১০ নাগরিক বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশের জনগণ যখন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ পালন করছে, তখন শাল্লায় যে অমানবিক সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটেছে, তা আমাদের ক্ষুব্ধ করেছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন এ ধরনের সাম্প্রদায়িক ঘটনা আমাদের বিস্মিত করেছে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম মারফত জানা গেছে, হেফাজতের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল হকের উসকানিতে ও হেফাজতের অনুসারীরা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে এ বীভৎস সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটায়। সংবাদপত্র অনুসারে, স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সম্ভাব্য হামলা সম্পর্কে জেনেও ব্যবস্থা নেয়নি।
তারা আরো বলেন, গত বেশ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন মহলের প্রশ্রয়ে সাম্প্রদায়িক হেফাজত-জামায়াতিরা দেশের বিভিন্নস্থানে এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর সাহস পাচ্ছে। পাশাপাশি এই সাম্প্রদায়িক শক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশের অনেক প্রগতিশীল ব্যক্তিদের নামে কুৎসা রটনা করছে। অথচ বিটিআরসি এই কুৎসা রটনাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বিবৃতিদাতারা বলেন, অতীতে আমরা দেখেছি যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের বিচারকার্য এখনো সম্পন্ন হয়নি। আমদের আশঙ্কা এ ধরনের সাম্প্রদায়িক ঘটনা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে না, পিছিয়ে যাবে এবং এতদিনের সব অর্জন ভুলুণ্ঠিত হবে।
অবিলম্বে মোমিনুল হক ও শাল্লার নিরীহ মানুষের ওপর আক্রমণকারী, অগ্নিসংযোগকারী ও লুণ্ঠনকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানান তারা। বিবৃতিদাতারা হলেন আবদুল গাফফার চৌধুরী, হাসান আজিজুল হক, শামসুজ্জামান খান, সারোয়ার আলী, মফিদুল হক, মামুনুর রশীদ, মুনতাসীর মামুন, শাহরিয়ার কবীর, আবদুস সেলিম ও নাসির উদ্দীন ইউসুফ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।