পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রমজানের প্রায় মাসখানেক আগেই নিত্যপণ্যের বাজার অস্থিতিশীল হতে শুরু করেছে। বিভিন্ন অজুহাতে এরইমধ্যে ব্যবসায়ীরা ভোজ্যতেল, ছোলা, ডাল ও চিনিসহ বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়ে ভোক্তার পকেট থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন অতিরিক্ত টাকা। পণ্যের সরবরাহ ঠিক না থাকলে আগামীতে নিত্য পণ্যের দাম আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। এমন পরিস্থিতিতে লাগামহীন দাম নিয়ন্ত্রণ ও পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিতে প্রতিদিন ন্যায্যমূল্যে চার লাখ লিটার ভোজ্যতেল বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। সারাদেশে চারশ ট্রাকের প্রতিটিতে এক হাজার লিটার করে তেল সাধারণ ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করবে সংস্থাটি। শুধু তেলই নয়, রমজানে দাম নিয়ন্ত্রণে চিনি, মসুর ডাল ও পেঁয়াজ বিক্রিও দ্বিগুণ করছে তারা।
এ বিষয়ে টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির বলেন, বরাবরের মতো এবারও রমজান উপলক্ষে আগে থেকেই প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে টিসিবি। ইতোমধ্যে রমজানপূর্ব বিক্রয় ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এখন চারশ ট্রাকের মাধ্যমে তেল, চিনি, মসুর ডাল ও পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয়েছে। আজ রোববার থেকে বিক্রি দ্বিগুণ করা হবে। অর্থাৎ এখন প্রতি ট্রাকে পাঁচশ লিটার তেল বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। রোববার থেকে প্রতি ট্রাকে এক হাজার লিটার করে তেল বরাদ্দ দেওয়া হবে। অন্যান্য পণ্য- চিনি, মসুর ডাল ও পেঁয়াজ সরবরাহও দ্বিগুণ করা হবে। রোজায় নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আগামী ৬ মে পর্যন্ত সারাদেশে ধারাবাহিক এ বিক্রয় কার্যক্রম চলবে বলেও জানান তিনি। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, ট্রাক থেকে একজন ক্রেতা দিনে ৫০ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ চার কেজি চিনি, ৫৫ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ দুই কেজি মসুর ডাল, ৯০ টাকা দরে পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল এবং ১৫ টাকা দরে পাঁচ কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারেন।
এদিকে বিশ্ববাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে রমজানের আগে দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত ১৫ মার্চ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এখন থেকে মিল গেটে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম হবে ১১৩ টাকা, আর খুচরা বাজারে বিক্রি হবে ১১৭ টাকা দরে। আগে এই তেলের দাম মিল গেটে ১০৭ টাকা এবং খুচরা ১১৫ টাকা নির্ধারণ করা ছিল। বর্তমানে মিল গেটে বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১২৭ টাকা, ডিলার পর্যায়ে ১৩১ টাকা এবং খুচরায় ১৩৯ টাকা ঠিক করা হয়েছে। আর পাঁচ লিটারের বোতল মিল গেটে ৬২০ টাকা, ডিলার পর্যায়ে ৬৪০ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৬৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। এছাড়া মিল গেটে প্রতি লিটার খোলা পাম তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৪ টাকা, ডিলার পর্যায়ে ১০৬ টাকা এবং খুচরা ১০৯ টাকা। তবে রাজধানীর বেশিরভাগ বাজারে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে ভোজ্যতেল বিক্রি করতে দেখা গেছে।
গতকাল শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেল কোম্পানিভেদে বিক্রি হয়েছে বিভিন্ন মূল্যে। এক লিটারের বোতল ১৩৫ টাকা থেকে ১৪০ টাকা এবং পাঁচ লিটারের বোতল ৬২০ টাকা থেকে ৬৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন তেল ১৩২ টাকা থেকে ১৩৫ টাকা আর পাম ওয়েল ১১০ টাকা থেকে ১১৫ টাকা খুচরায় বিক্রি হয়েছে।
টিসিবির হিসাবে, এক বছর আগের তুলনায় বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৩৫ শতাংশ। চিনির দাম বেড়েছে ২ দশমিক ২২ শতাংশ। খুচরা বাজারে এখন প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬৮ থেকে ৭৫ টাকায়। এর মধ্যে দেশি মোটা দানার চিনির কেজি ৭২ টাকা থেকে ৭৫ টাকা। মসুর ডাল (বড় দানা) প্রতি কেজি ৭০ টাকা, মাঝারি দানা ৮০ থেকে ৯০ টাকা এবং ছোট দানা (ভালো মানের) বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। মুগডাল (মানভেদে) ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, মটর ডাল ৯০ থেকে ১১০ টাকা, অ্যাংকর ডাল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, ছোলা ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টিসিবির হিসাবে, এক বছর আগের তুলনায় বাজারে এখন ডালের দাম বেড়েছে ৩ থেকে ১৩ শতাংশ। গত বছর টিসিবি পবিত্র রমজান উপলক্ষে দেশব্যাপী ৩৫০টি ট্রাকের মাধ্যমে মসুর ডাল, চিনি ও সয়াবিন তেল বিক্রি করেছিল। রমজান উপলক্ষে এবার পণ্য বিক্রির জন্য ট্রাকের সংখ্যা বাড়িয়েছে সংস্থাটি। প্রথম ধাপে সারাদেশে চারশ ট্রাকে পণ্য বিক্রি করবে এটি। আর দ্বিতীয় ধাপে ১ এপ্রিল থেকে ৬ মে পর্যন্ত পর্যন্ত আরও একশ ট্রাক বাড়িয়ে অর্থাৎ পাঁচশ ট্রাকে সারাদেশে পণ্য বিক্রি করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।