পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আবাসিক গ্রাহকদের কাছ থেকে জমা নেয়া ডিমান্ড নোটের টাকা ফেরত দিতে জ্বালানি বিভাগ থেকে আদেশ জারি করেছে গত বছর ডিসেম্বর মাসে। দীর্ঘ আড়াই মাসেও গ্রাহকের টাকা ফেরত দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেনি তিতাস গ্যাস বিতরণ কোম্পানি। এছাড়া তিতাসে গ্রাহক হয়রানি বন্ধ হয়নি। গ্রাহকের টাকা ফেরত দেয়া হবে কি-না, তা নির্দিষ্ট করতে পারেনি তিতাসের কর্মকর্তারা। ৫৬ হাজার আবাসিক গ্রাহকের ডিমান্ড নোটের বিপরীতে ৪০ কোটি টাকা তিতাসের কাছে জমা রয়েছে। জ্বালানি বিভাগের আদেশের পর তিতাস থেকে স্থানীয় অফিসের জিএমদের সঙ্গে বৈঠক করে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু কী প্রক্রিয়ায় টাকা ফেরত দেয়া হবে, সে সিদ্ধান্ত তা ঠিক করতে পারেনি তিতাস।
এ বিষয়ে জ্বালানি ও খানিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনিছুর রহমান ফোনে ইনকিলাবকে বলেন, আমরা তিতাসকে বলেছি, যারা টাকা জমা দেননি তাদের ডিমান্ড নোট বাতিল করতে। আর যারা টাকা জমা দিয়েছেন, তাদের টাকা অনলাইনে ফেরত দিতে। তার পরও আমরা গ্রাহকের টাকা ফেরতে নির্দেশনা দিয়েছি।
তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী ইকবাল নুরুল্লাহ ইনকিলাবকে বলেন, ডিমান্ড নোটের বিপরীতে যারা টাকা জমা দেননি, তাদের ডিমান্ড নোট আইন অনুযায়ী বাতিল করা হয়েছে। আর যারা টাকা জমা দিয়েছিলেন, তাদের টাকা অনলাইনে ফেরত দেয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা জ্বালানি বিভাগের আদেশের অপেক্ষায় ছিলাম।
জ্বালানি বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, আমরা তো গ্রাহকের টাকা ফেরত দেয়ার জন্য নির্দেশনাসহ আদেশ দিয়েছি। এরপরও আমাদের দিকে কিভাবে তাকিয়ে আছে তা জানা নেই। অন্যদিকে তিতাসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আমরা এখনও জ্বালানি বিভাগের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছি।
তিতাসের গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যারা ডিমান্ড নোট জমা দিয়েছিলেন, কিন্তু টাকা জমা দেননি, তাদের ডিমান্ড নোট বাতিল হয়ে যাবে। কিন্তু যেসব গ্রাহক ডিমান্ড নোটের টাকা জমা দিয়েছিলেন, তাদের কী হবে, সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি তিতাস। অথচ জ্বালানি বিভাগ বলছে, একসঙ্গে দুটো বিষয়েই সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছিল। যারা ডিমান্ট নোটের টাকা জমা দেননি তাদেরটি বাতিল করা। আর যারা ডিমান্ট নোটের টাকা জমা দিয়েছেন, তাদের টাকা ফেরত দেয়া। কিন্তু তিতাস অর্ধেক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে পারেনি। ডিমান্ড বাতিলের বিষয়ে পাঠানো গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তিতাস গ্যাস অধিভুক্ত এলাকায় আবাসিক শ্রেণিতে গ্যাস সংযোগ দেয়ার জন্য যেসব আবেদনকারী ডিমান্ড নোট ইস্যুর বিপরীতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টাকা জমা দেননি, তাদের ডিমান্ড নোট স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল বলে গণ্য হবে।
জানা গেছে, ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর আওয়ামী লীগ সরকার দেশে গ্যাস সংকটের কথা বলে আবাসিক সংযোগ বন্ধ করে দেয়। এরপর ২০১৩ সালের শেষের দিকে ফের আবাসিকের সংযোগ চালু করে। কিন্তু ২০১৪সালের নির্বাচনের পর আবারও জ্বালানি বিভাগ থেকে অলিখিতভাবে বিতরণ কোম্পানিকে আবাসিকের নতুন আবেদন নিতে নিষেধ করে দেয়া হয়। পরে ২০১৯ সালে লিখিতভাবে আবাসিক সংযোগ স্থগিত রাখার আদেশ জারি করা হয়। যদিও ২০১৩ থেকে ২০১৯ অবধি ডিমান্ড নোটের টাকা জমা নিয়েছে তিতাস।
২০১৯ সালের ২১ মে আবাসিক, সিএনজি ও বাণিজ্যিকে ক্ষেত্রে নতুন করে আর কোনো গ্যাস সংযোগ না দেয়ার জন্য আদেশ জারি করে সরকার। কিন্তু গ্রাহকের কাছ থেকে নেয়া ডিমান্ড নোটের টাকার কী হবে, সে বিষয়ে তখন মন্ত্রণালয়ের কোনও সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। এর ১৯ মাস পর গত ২৪ ডিসেম্বর জ্বালানি বিভাগ থেকে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।