পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বুড়িগঙ্গার দুই তীরে গড়ে ওঠা ৭৪ অবৈধ স্থাপনা তিন মাসের মধ্যে উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর এবং বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ তথ্য জানান, রিটকারী সংস্থার আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
তিনি আরও জানান, ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশ’ (এইচআরপিবি)র রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর একই বেঞ্চ বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল (হাজারিবাগ ও কামরাঙ্গির চর) এলাকায় নদীর জায়গা দখলকারীদের চিহ্নিত করতে জরিপ পরিচালনার নির্দেশনা দেন। বুড়িগঙ্গা নদীর আদি চ্যানেলের সিএস/আর এস অনুসারে জরিপ করে অবৈধ দখলদারদের তালিকা করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেন আদালত।
জরিপ অধিদফতরের মহাপরিচালক এই নির্দেশনা অনুসারে ১০ সদস্যের জরিপ কমিটি গঠন করেন। কয়েক মাস জরিপ শেষে নদীর অবৈধ দখলদারদের তালিকা এফিডেভিট করে আদালতে দাখিল করা করেন তিনি। প্রতিবেদন অনুযায়ী নদীর জায়গাজুড়ে গড়ে উঠেছে টিনশেড বাড়ি, চার তলা ভবন, মাটি ভরাট, মসজিদের আংশিক স্থাপনাসহ ব্যক্তি মালিকানাধীন বাড়ি, সরকারি হাসপাতাল,শিল্প-প্রতিষ্ঠান এবং সুপার মার্কেটসহ ৭৪টি প্রতিষ্ঠান। শুনানিতে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন,(এইচআরপিবি)র রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৯ সালে বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক এবং বিচারপতি মো. মমতাজ উদ্দিন আহমেদের তৎকালিন ডিভিশন বেঞ্চ নদীর সীমানা জরিপ ও দখলদারদের উচ্ছেদসহ ৯ দফা নির্দেশনা দেন। এ আদেশ অনুসারে জরিপের সময় হাজারিবাগ ও কামরাঙ্গিরচর এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর অংশ ‘আদি চ্যানেল’ জরিপের বাইরে ছিলো। তাই পরবর্তীতে আদি চ্যানেল চিহ্নিতকরণে আবারও জরিপের আবেদন জানানো হয়।
দ্বিতীয়োক্ত জরিপ প্রতিবেদনে দেখা যায়,অন্তত: ৭৪টি প্রতিষ্ঠান বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলের জায়গা দখল করে রেখেছে। হাইকোর্টের এ আদেশ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। শুনানি শেষে আদালত ৩ মাসের মধ্যে হাজারিবাগ ও কামরাঙ্গির চর এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর আদি চ্যানেল থেকে ভরাটকৃত মাটি এবং দখল উচ্ছেদ করার নির্দেশ দেন। ঢাকার জেলা প্রশাসক, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান এ আদেশ বাস্তবায়ন করবেন। ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), ঢাকার পুলিশ কমিশনার এবং র্যাবের মহাপরিচালককে অভিযান পরিচালনায় সব ধরণের সহযোগিতা দিতে নির্দেশ দেন আদালত। শুনানিকালে সরকারপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দু রায় এবং পরিবেশ অধিদফতরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আমাতুল করিম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।