পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিমের সঙ্গে মালদ্বীপের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী ফায়াজ ইসমাইল সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) ফায়াজ ইসমাইল মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহর সাথে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ঢাকা সফর করছেন।
সভার আলোচনায় কোভিড-১৯ মহামারী দ্বারা সৃষ্ট চ্যালেঞ্জগুলির পাশাপাশি এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের বেসরকারী খাতের সুযোগ, ভ‚মিকা এবং সক্ষমতা সম্পর্কে আর্থ-সামাজিক দিক থেকে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থানের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
শেখ ফজলে ফাহিম ২০২০ সালে অর্থনীতির চাকা সচল রাখা এবং ২০২১ ও ২০২২ সালে পুনরুদ্ধারের দিকে অগ্রসর হওয়ার জন্য সাপ্লাই চেইন, পরিবহন, সরবরাহ, উৎপাদন, রফতানি-আমদানি, খুচরা, কৃষি, তারল্য ও অর্থ সরবরাহ উন্নতকরণ, এমএসএমইদের জন্য অনুদান, খাদ্য সহায়তা, নগদ সহায়তায় বাংলাদেশ সরকারের বেসরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগসমূহ সম্পর্কে ফায়াজ ইসমাইলকে অবহিত করেন।
শেখ ফজলে ফাহিম বাংলাদেশের উৎপাদন সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ-মালদ্বীপের যৌথ উদ্দ্যোগে টুনা মাছ প্রক্রিয়াকরন করার উপর জোর দেন। তিনি ইউরোপ, ভারত, চীন, কানাডা, চিলি, নিউজিল্যান্ড ইত্যাদি দেশে বাংলাদেশের শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত মার্কেট এক্সেসেসের কথা উল্লেখ করেন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন সমগ্র জাতির জন্য অনুপ্রেরণামূলক এবং ৫ বছরের এই ট্রানজিশন পিরিওডে বৈদেশিক সহায়তার মাধ্যমে অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সকল মন্ত্রনালয় ও উন্নয়ন অংশীদারদের সাথে এফবিসিসিআই সকল চেম্বার ও এসোসিয়েশনকে সাথে নিয়ে সম্মিলিতভাবে কাজ করবে।
এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফাহিম বলেন, বাংলাদেশী নির্মাণ সামগ্রী, ইপিসি কোম্পানিজ্ মালদ্বীপের রিয়েল এস্টেট ও নির্মাণ খাতে রফতানি এবং বিনিয়োগের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে যেহেতু দেশটি মেগা উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু করছে। সিমেন্ট এবং স্টিলের মতো নির্মাণ সামগ্রীও বাংলাদেশ থেকে রফতানি করা যায়।
বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও সম্প্রসারণের জন্য বাংলাদেশ-মালদ্বীপ শিপিং লাইন স্থাপনে এফবিসিসিআই’র চলমান এডভোকেসি উল্লেখ করে শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, বাংলাদেশ অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক বাজারমূল্যে প্রিমিয়াম পণ্যগুলি যেমন এফএমসিজি, টেকসই ভোগ্যপণ্য, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, হিমায়িত খাদ্য, ভেজিটেবলস্, লাইভস্টক্, পোল্ট্রি, হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস, ফার্মাসিউটিক্যালস, মোবিলিটি মোটরবাইক ইত্যাদি মালদ্বীপে রফতানির সম্ভাবনা রয়েছে।
এফবিসিসিআই সভাপতি বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশকে দক্ষতা তৈরি ও পর্যটকদের গন্তব্য হিসাবে ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য আতিথেয়তা খাতে বাংলাদেশে মালদ্বীপের প্রযুক্তি ও জ্ঞান হস্তান্তরের অনুরোধ করেন।
মালদ্বীপের অর্থনৈতিক উন্নয়ন মন্ত্রী ফায়াজ ইসমাইল দ্বিপক্ষীয় স্বার্থের জন্য আরও বেশি সরকারি খাতে সহযোগিতা এবং দু'দেশের বৈশ্বিক সংযুক্ততার জন্য সরকারী-বেসরকারী খাতে একসাথে যৌথভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এবং আরও শক্তিশালী সহযোগিতার জন্য সামনের মাসগুলোতে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের নিয়ে আবার বাংলাদেশ সফর করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। এসময়ে মালদ্বীপে নবনিযুক্ত বাংলাদেশ হাই কমিশনার রিয়ার অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসানও উপস্থাতি ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।