পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দাড়ি থাকার কারণে রিটেইল ব্র্যান্ড আড়ংয়ে এক যুবকের চাকরি প্রত্যাখ্যান করায় প্রতিবাদের ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আল্লাহর রাসূল সা:-এর সুন্নতের প্রতি এমন ধৃষ্ঠতা দেখানোর ঘটনায় ক্ষোভে তোলপাড় নেটদুনিয়া। এই ঘটনার প্রতিবাদে ফেসবুকে 'বয়কট আড়ং' হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে পোস্ট দিয়েছেন অসংখ্য মানুষ। ফেসবুকে জনপ্রিয় বিভিন্ন গ্রুপ থেকেও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। মুহুর্তের মধ্যে এসব পোস্ট কমেন্ট, লাইক, শেয়ারে ভাইরাল হয়ে পড়ে।
এদিকে, দাড়ি থাকায় চাকরি প্রত্যাখ্যানের বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে সিলেটে আড়ংয়ের সংশ্লিষ্ট বিক্রয়কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ করেন স্থানীয় একদল বাসিন্দা। পরে অবশ্য আড়ং এক বিবৃতি দিয়ে ওই যুবকের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেছে।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া আট মিনিটের একটি ভিডিওতে দেখা যায় এক যুবক, নিজেকে ইমরান হোসেন ইমন নামে পরিচয় দিয়ে বলছেন, সাক্ষাৎকারগ্রহীতারা তার সাথে সন্তুষ্ট বলে তার মনে হয়েছিল। কিন্তু এক পর্যায়ে সাক্ষাৎকারগ্রহীতারা তাকে বলেন, তাদের নীতিমালা অনুযায়ী তারা দাড়িওয়ালা ব্যক্তিদের বিক্রয়কর্মী হিসেবে নিয়োগ দিতে পারেন না। ক্লিন শেভ করতে পারলে তার চাকরিটা কনফার্ম করা হবে। '
বহু মানুষ আজ দিনভর এটিকে ফেসবুকে শেয়ার করেছেন এবং তারা 'বয়কট আড়ং' হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করছেন। এছাড়া আল্লাহর রাসূল সা:-এর সুন্নত ‘অবমূল্যায়ন’ করার অভিযোগে আড়ংয়ের সব পণ্য বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশসহ কয়েকটি ইসলামি দল।
ফেসবুকে মোহাম্মাদ তারেক প্রতিবাদ জানিয়ে লিখেছেন, ‘‘আড়ং যা করেছে সেটা অনেকের কাছে খারাপ লাগলেও, এটাই তাদের নীতি, এটাই তাদের আসল রূপ, এটাই তাদের প্রোপাগান্ডা। আবেগে না গিয়ে গভীরভাবে ভেবে দেখুন। দাড়ি রাখলে কোন সেক্টরে হ্যারাস করা হয় না বরং সেটা দেখুন। ইউনিভার্সিটির ভাইবা থেকে সমাজ জীবনের সর্বত্র রয়েছে এই হ্যারাসমেন্ট। যদি কথা বলতেই হয়, তাহলে সকল সেক্টরে এই হ্যারাসম্যান্ট বন্ধ করার দাবী তুলুন।’’
সাফায়েত চুক্কু মিয়া লিখেছেন, ‘‘দাড়ি মুসলিমের মুখমন্ডলের অন্যতম ঐতিহ্য তথা সুন্নত।একইভাবে ঈদ ও মুসলিম সম্প্রদায়ের সংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য।সুতারাং দাড়িওয়ালা মুসলিম সম্প্রদায়কে আড়ং বয়কট করিলে। মুসলমানেরাও আড়ং বয়কট করুন।যেহেতু ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক কোন কিছুকে ইসলাম অনুমোদন করে না, তাই আড়ং পরিত্যাগ করা আমাদের জন্য ফরজ।’’
আবু সালেহ্ লিখেছেন, ‘‘এদেশে ইসলাম বিদ্বেষীদের প্রতিষ্ঠানের বয়কটের ডাক দিলেই হবেনা শুধু তাদের ব্যবসার বিকল্প ব্যবসা তাদের প্রতিষ্ঠানের বিকল্প প্রতিষ্ঠান দাড় করাতে হবে, তাদের পুঁজিবাদী অর্থ ব্যবস্থাকে ভেঙে দিতে হবে।তাহলে চূড়ান্ত সফলতা আসবে না হয় দুদিন পরে যা তাই হবে আগের মতন চলতে থাকবে।একদল তরুনকে এগিয়ে আসতে হবে, সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে। তা হলেই ইসলামের বিরুদ্ধে উচ্চারণকারীরা গর্তে লুকিয়ে পরবে।’’
হাফিজ আল-মুতাসিম লিখেছেন, ‘‘দাঁড়িতে আড়ংয়ের সমস্যা। মুসলমান হিসেবে আড়ংয়ের পন্যে আমাদেরও ঘৃণা থাকা উচিত। রাষ্ট্রে নাগরিকের ধর্মীয় অধিকার স্বীকৃত। আড়ং এই অধিকার কাইড়া নেয়ার সাহস পায় কেমনে। এইগুলা শ্রেণী বিদ্বেষ না? স্পষ্ট শ্রেণী বিদ্বেষ। নাকি দাঁড়িওয়ালা বইলা তার কোন অধিকার নাই। জাতীয় বোদ্ধা মহলের কারো মুখে কোন রা নাই কেন? এদেশের সুশীলতার হিপোক্রেসি দিনকে দিন উন্মোচিত হইতাছে।আড়ংয়ের গ্রাহকবৃন্দ একটু সচেতন হইতে পারেন। একটু মনুষ্যত্বের কথা ভাবতে পারেন।পোষাকের রং ঢংয়ের খোলস ছাড়লে আমরা সবাই একই অবয়বের সমান মানুষ।’’
মিজান রহমান লিখেছেন, ‘‘আড়ঙের এমন দুঃসাহস খুবই অবজ্ঞেয় ও অপমানকর। দাঁড়িতে তাদের সমস্যাটা কোথায় তা বোধগম্য নয়। মুসলিম বিদ্বেষী হিসেবে আড়ঙের প্রোডাক্টস বর্জন করার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে জোরদার আন্দোলনের দাবি করছি।’’
অরোরা খান লিখেছেন, ‘‘তারাই আবার পাঞ্জাবি বিক্রি করে। আবার পাঞ্জাবির মডেলরা দাড়ি ওয়ালা। আবার দাড়ি আছে এমন লোকদের চাকরি দিতে অনীহা। আজব ব্যাপার।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।