পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কক্সবাজারের চকরিয়ায় সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় এক গৃহবধূকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অসহায় ওই নারীর প্রতি নৃশংস এই নির্যাতনের ঘটনায় ক্ষোভে উত্তাল নেটদুনিয়া। অভিযুক্ত সুদ কারবারির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দায় ফেটে পড়েন নেটিজেনরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শওকত ওসমান নামের এক যুবক ওই নারীকে পাশবিক নির্যাতন চালান। গত মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) দুপুরে চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের মোরাপাড়ার হাপানিয়াকাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ফেসবুকে বহু মানুষ ভিডিওটি শেয়ার করে কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, ওই নারীকে পরনের শাড়ির আঁচল দিয়ে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন সুদ কারবারি শওকত ওসমান। এ সময় তিনি বাঁধন খুলে দিতে বলেন। শওকত উল্টো কিল-ঘুষি মারেন। আরেকজন বয়স্ক নারী এসে একটি লাঠি দিয়ে ওই নারীকে খোঁচা দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে শওকত গৃহবধূর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন এবং চুলের মুটি ধরে গাছের সঙ্গে বাঁধেন। এ সময় স্থানীয় বেশ কয়েকজন নারী তাকে উদ্ধার করতে গেলে তাদেরকেও ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন শওকত ওসমান।
ফেসবুকে প্রতিবাদ জানিয়ে মাসুদ পারভেজ লিখেছেন, ‘‘টাকা পেলেই কি একজন নারী অথবা এজন মাকে এভাবে জামাকাপড় টানাটানি করে বেপর্দা করে শ্রীলতাহানি করে নির্যাতন করতে পারে? দেশের এইসব কুলাঙ্গার হারামখুর সুদখুরদেরকে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির জোর দাবি করছি..।’’
মোঃ রতন মাহমুদ লিখেছেন, ‘‘সুদ এবং ঘুস দুইটাই আল্লাহ পাক হারাম করেছেন, সুদখুরের লজ্জা সরম কমিই থাকে, সমাজ এবং ইউপি সদস্য যারা আছেন তাদেরকে আমি অনুরোধ করব এই হারামিকে আইনের আওতায় নিয়ে আসুন।দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেন।’’
কাজী জাহাঙ্গীর লিখেছেন, ‘‘পুলিশের কাছে গেলে, যে টাকা দেয় তার মামলা নেয়, এই মহিলা তো টাকা নাই কি করে মামলা করবে, আজকাল টাকা যার মামলা তার পক্ষে চলে যায়, গরিব বিচার পায়না।’’
আরাফাত সিদ্দীকি লিখেছেন, ‘‘আলেমরা এদেরকে নিয়ে কিছু বলতে পারে না। আছে শুধু নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করতে। আইনের আওতায় আনা হোক। এদের মতো মানুষ রুপের পশুগুলোকে মাটিতে পুঁতে পাথর নিক্ষেপ করে মারা দরকার।’’
রামিজ রাজা লিখেছেন, ‘‘এই ঘটনাটির যেখানে ঘটেছে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি উনাকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক, একজন মহিলার ওপর বর্বর হামলা করা হয়েছে।’’
নির্যাতনের এই ঘটনায় বুধবার (১৭ মার্চ) শওকত ওসমানের বাবা জহির আহমদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। একইসঙ্গে ভুক্তভোগী নারীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।