পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের রাজনীতি এখন উল্টো পথে হাঁটছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেছেন, দেশের কিছু সুবিধাবাদী লোক রাজনীতিটাকে পেশা বানিয়ে ফেলেছেন।
গতকার বুধবার জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানের প্রতিপাদ্য ধরা হয়েছে- ‘ভেঙেছ দুয়ার, এসেছ জ্যোতির্ময়’।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ বলেন, আজ আমরা স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পার করছি। এ সময়ে রাজনীতিতে অনেক চড়াই-উৎরাই ঘটেছে। কিন্তু রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন কতটুকু হয়েছে তা ভেবে দেখতে হবে। ব্যক্তির চেয়ে দল, দলের চেয়ে দেশ বড়- এটাই হচ্ছে রাজনীতির মূল আদর্শ। কিন্তু আজকাল যেন দেশের রাজনীতি উল্টো পথে হাঁটছে। কিছু সুবিধাবাদী লোক রাজনীতিটাকে পেশা বানিয়ে ফেলেছে। তিনি আরো বলেন, রাজনীতি আর পেশা এক জিনিস নয়। পেশার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি নিজের এবং পরিবার পরিজনের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করেন। আর রাজনীতি হচ্ছে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করার একটি মহৎ ক্ষেত্র।
দেশের রাজনীতিবিদদের আহ্বান জানিয়ে প্রেসিডেন্ট বলেন, আসুন আমরা বঙ্গবন্ধুর জীবন আদর্শ থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের দেশ ও জনগণের কল্যাণে নিয়োজিত করি। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। দেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ স্বল্প উন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ অর্জন করেছে। আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মাসেতু এখন পুরোপুরি দৃশ্যমান। বাস্তবায়িত হচ্ছে মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতো বহু মেগা প্রকল্প। টেকসই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে ইনশাল্লাহ।
অনুষ্ঠানে এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা এবং প্রেসিডেন্টের স্ত্রী রাশিদা খানম প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করছেন আসাদুজ্জামান নূর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।