পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1720429454](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : ‘খাদ্যবান্ধব’ কর্মসূচির আওতায় আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের ৫০ লাখ পরিবারকে ১০ টাকা কেজিতে মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেবে সরকার। সচিবালয়ে গতকাল রোববার খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা শেষে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, হতদরিদ্রদের জন্য কর্মসূচি নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৭ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রামের চিলমারীতে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন। শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশÑস্লোগানে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় হতদরিদ্র পরিবার প্রতি মাসে (পাঁচ মাস) ৩০ কেজি চাল ১০ টাকা দরে পাবেন। মার্চ, এপ্রিল, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বরÑএই পাঁচ মাস হতদরিদ্র ৫০ লাখ পরিবার ১০ টাকা কেজিতে ৩০ কেজি করে চাল পাবেন বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিধবা ও প্রতিবন্ধী নারীদের প্রাধান্য দেওয়া হবে।
কামরুল বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি কমিটি আছে। সেখানে জনপ্রতিনিধিরাও রয়েছেন। তারাই হতদরিদ্র পরিবারের সংখ্যা ঠিক করে তাদের কার্ড দেবেন। নীতিমালা অনুযায়ী তাদের চাল দেওয়া হবে।
মন্ত্রী জানান, টেস্ট রিলিফ (টিআর) ও কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) কর্মসূচিতে খাদ্যশস্যের পরিবর্তে টাকা দেওয়া হবে। সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, এখন থেকে টিআর এবং কাবিখা, যেটা খাদ্যশস্যের আকৃতিতে যেত সেটা এখন থেকে আর খাদ্যশস্যের আকৃতিতে যাবে না, সেটা টাকায় বিতরণ করা হবে।
টিআর কাবিখা টাকায় রূপান্তরিত কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, টিআর কাবিখাতে আমাদের বছরে প্রায় সাড়ে ৮ লাখ টন চাল ও গম যেত, এটা এখন এ পরিমাণের টাকায় যে মূল্য তা টাকায় যাবে।
টিআর, কাবিখা কেন টাকায় দেওয়া হবেÑএকজন সাংবাদিক জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা তো একটা কর্মসূচিতে (খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি) গেলাম। সেখানে সাড়ে ৭ লাখ টন চাল চলে যাচ্ছে। তাতে আমার কোনো সমস্যা হচ্ছে না। দ্বিতীয়ত টাকা পেলে কাজটা আরও ভাল হয়, পরিষ্কার হয়, সুন্দর হয়। এমপি সাহেবদের বরাদ্দটা চাল বা গমের আকারে নিয়ে আবার সেটা মার্কেটি বিক্রি করা, তারপর আবার সেটা টাকায় পরিণত করে কাজ করানোর চাইতে সরাসরি টাকায় গেলে আরও উপকৃত হয়, আরও সহজে কাজ করানোটা সুবিধাজনক হয়। এজন্য টাকা দেওয়া হচ্ছে।
আমরা যখন হতদরিদ্রদের মধ্যে চাল বিতরণ করব, তখন তো স্বাভাবিকভাবেই চালের দাম একটু কমে যাবে। কাজেই এমপি সাহেবদের সুবিধার জন্যই করা হয়েছে। টাকা দিলে কাজটা আরও ত্বরান্বিত হবে, সুবিধা হবে, আরও গতিশীল হবে’ বলেন কামরুল ইসলাম।
টিআর কাবিখা নিয়ে সংসদ সদস্যদের জড়িতে একজন মন্ত্রী বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন, এজন্য কি টিআর, কাবিখায় খাদ্যশস্য দেওয়া হচ্ছে না? এর খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নো, নো নো। এ সমস্ত কথাবার্তা না। আমি তো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিলাম। অন্য প্রশ্ন আনেন কেন? নতুন একটি কর্মসূচিতে আমাদের সাড়ে সাত লাখ টন বেরিয়ে যাচ্ছে। টিআর, কাবিখার খাদ্য শস্যটা কারা দেবে। টিআর, কাবিখা মঞ্জুর করে খাদ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্যটা তো যায় আমার এখান থেকে। বিদেশ থেকে আমার বেশি গম আমদানি করতে হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।