পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের জায়গা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নয় বলে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক হল ঢাকার কেরানীগঞ্জে নির্মাণের কাজ ২০১৭ সালে শুরু হবে।
গতকাল রোববার সচিবালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক সমিতির নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে মন্ত্রী এ কথা জানান। পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কারাগারের জায়গায় নতুন হল নির্মাণের দাবিতে গত ২ আগস্ট থেকে আন্দোলন করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রতিষ্ঠার সাত বছরেও আবাসিক সুবিধাবঞ্চিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১টি হল দখল করে আছে প্রভাবশালীরা। আবাসিক হলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর শিক্ষক সমিতির নেতাদের সঙ্গে এই বৈঠক করলেন মন্ত্রী। এতে শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. কাজী সাইফুদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। এ সময় শিক্ষা সচিব মো. সোহরাব হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ বলেন, জেলখানার জায়গা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নয়। এ ক্ষেত্রে কিছু করার নেই। কেরানীগঞ্জে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ২৫ বিঘা জমি কেনা আছে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্রদের জন্য ১০তলা একটি আবাসিক হলের ভবন নির্মাণ করা হবে। এ ভবনে এক হাজার ছাত্র থাকার ব্যবস্থা করা যাবে। এ ছাড়া রাজধানীর বাংলাবাজারে ছাত্রীদের জন্য একটি হল নির্মাণের কাজ চলছে। এখানে এক হাজার ছাত্রীর থাকার ব্যবস্থা হবে।
একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য যে পরিমাণ জায়গা প্রয়োজন, সেই পরিমাণ জায়গা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন, ছাত্রছাত্রীদের হল, শিক্ষকদের আবাসিক ভবন, ল্যাবরেটরি, লাইব্রেরি নির্মাণের মতো জায়গা বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পূর্বাচল অথবা ঝিলমিল প্রকল্পে একটি বড় জায়গার সন্ধান করছি। তিনি জানান, ইতোমধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা সমাধানে ২৭৪ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। ২০১৬-২০ সালের মধ্যে তা বাস্তবায়ন হবে। এ প্রকল্পের আওতায় কেরানীগঞ্জে ২৫ বিঘা জমির ওপর দশতলাবিশিষ্ট আবাসিক ছাত্রাবাস, শিক্ষকদের আবাসন প্রকল্প, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান ছাত্রী হোস্টেলকে ১৭তলা ও একাডেমিক ভবনকে ২০তলায় উন্নীত করা হবে। জেলখানার জায়গায় হল নির্মাণে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অন্যান্য দফতরের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নেবে কি না এ প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের মধ্যে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।