পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আগামী দু’বছরে কাতারে তিন লক্ষাধিক কর্মীর কর্মসংস্থান হবে। উন্নয়ন কর্মকা-ে বাংলাদেশে থেকে নামাজি কর্মী চায় কাতার। বাংলাদেশ থেকে অধিক সংখ্যক কর্মী নিতে অগ্রাধিকার দেবে কাতার সরকার। আগামী মার্চ মাসে ঢাকায় উভয় দেশের মধ্যে ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে জনশক্তি রফতানি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
গতকাল প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তিন দিনের কাতার সফর শেষে দেশে ফিরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি একথা বলেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব খন্দকার ইফতেখার হায়দার, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক বেগম শামছুন নাহার, ওয়েজ আনার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক গাজী মোহাম্মদ জুলহাস, মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কাজী আবুল কালাম, আব্দুর রউফ ও প্রবাসী মন্ত্রীর পিএস মো. মোহসীন চৌধুরীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, কাতার সফরকালে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী আব্দুল্লাহ বিন নাসের বিন খলিফা আল থানি এবং প্রশাসনিক উন্নয়ন, শ্রম ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী ড. ঈসা সাদ আল-জাফালি আল নুয়াইমির সঙ্গে অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আগে কাতার সরকার জানত বাংলাদেশ ৭৫ শতাংশ মুসলিমের দেশ। কিন্তু, আমরা তাদের বলেছি, বাংলাদেশের ৯৫ ভাগই মুসলিম। তখন তারা বলেছেন, তোমরা আমাদের ভাই। তোমাদের দেশ থেকে অধিক সংখ্যক দক্ষ ও আধাদক্ষ কর্মী নিতে অর্গাধিকার দেয়া হবে।’ কর্মী নেয়ার ক্ষেত্রে নামাজির প্রশ্নটা আসল কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রবাসী মন্ত্রী বলেন, ‘তারাই আমাদের কাছে জানতে চেয়েছিল তোমাদের দেশের লোক নামাজি কিনা। আমরা তাদের বলেছি, হ্যাঁ অধিকাংশ মানুষই নামাজি। বেতন-ভাতা এবং অভিবাসন ব্যয় কত হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেটা উভয় দেশের যৌথ কমিটি বসেই ঠিক করবে। দেশটিতে বর্তমানে ন্যূনতম বেতন ৭শ’ রিয়াল, তা বৃদ্ধি করে ১২শ’ রিয়াল করারও প্রস্তাব করা হয়েছে। জঙ্গি দমনে বাংলাদেশ জিরো টলারেন্স বলেও কাতারের প্রধানমন্ত্রী এবং প্রশাসনিক উন্নয়ন, শ্রম ও সমাজকল্যাণমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে।
নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, ২০১৫ সালে এক লাখ ২৩ হাজার ৯৬৫ জন কর্মী গেছে কাতারে। ২০২২ সালে কাতারে অনুষ্ঠিতব্য ফুটবল বিশ্বকাপকে ঘিরে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ চলছে। এজন্য দেশটিতে নির্মাণকর্মী, সেবা খাত ও বিভিন্ন সেক্টরে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এমনও হতে পারে চলতি বছরে দুই লক্ষাধিক কর্মী যেতে পারে কাতারে। লিখিত বক্তব্যে প্রবাসী মন্ত্রী বলেন, আগামী দুই বছরে তিন লক্ষাধিক কর্মী যাবে দেশটিতে। এসব কর্মী নিতে আগামী মার্চের প্রথম সপ্তাহে ঢাকায় উভয় দেশের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। দক্ষ ও আধাদক্ষ কর্মী নিতেই দেশটির বেশি আগ্রহ জানিয়ে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, ‘কাতারের প্রশাসনিক উন্নয়ন, শ্রম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আমাদের বলেছেন, তারা বাংলাদেশ থেকে বিক্রয়কর্মী, নার্স, ডাক্তার, প্রকৌশলী ও অফিস কর্মচারীসহ সকল খাতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী চায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।