স্টাফ রিপোর্টার : দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন তথা বিশ্বে বাংলাদেশকে বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যেও হাব হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ঢাকার আশপাশে সর্বাধুনিক আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর’ শীর্ষক নতুন বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা বর্তমান সরকারের রয়েছে বলে জানান বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। রোববার চট্টগ্রাম-১১ আসনের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রকল্পের বিস্তারিত সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পাদনের লক্ষ্যে পরামর্শক নিয়োগে কর্তৃপক্ষের নিজস্ব তহবিলে একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয় অনুমোদন করেছে। ওই প্রকল্পের আওতায় পরামর্শক নিয়োগে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে শর্ট লিসটেড করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে আরএফপি ইস্যু করা হয়েছে। আরএফপি দাখিলের শেষ তারিখ হচ্ছে ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। ২০১৭ সাল নাগাদ বিমানবন্দরের বিস্তারিত সম্ভাব্যতা সমীক্ষা (ডিএফএস) সম্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। পরবর্তীকালে স্থান নির্ধারণ সাপেক্ষে সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক মূল প্রকল্পের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।
মানিকগঞ্জ-২ আসনের মমতাজ বেগমের প্রশ্নোত্তরে মন্ত্রী বলেন, কন্ট্রিবিউশন মার্জিন বিবেচনায় বর্তমানে বাংলাদেশ বিমানের লাভজনক রুটের সংখ্যা ১২টি।
চলতি বছরে নিউ ইয়র্ক-বাংলাদেশ ফ্লাইট
সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর প্রশ্নের উত্তরে রাশেদ খান মেনন বলেন, চলতি বছরের শীতকালীন সময়সূচি থেকে নিউ ইয়র্কে বিমানের ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) ইউএসএ’র সেফটি অডিট অনুযায়ী বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (সিএএবি) বর্তমানে ক্যাটাগরি টু-এর আওতাভুক্ত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে এই মুহূর্তে বিমানের ফ্লাইট পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, সিএএবি চলাচল কর্তৃপক্ষের ক্যাটাগরি-১ এ উন্নীত হওয়ার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে সিগনিফিক্যান্ট সেফটি কনসার্নের (এসএসসি) প্রতিবন্ধকতা থেকে উত্তীর্ণ হয়েছে।
বাংলাদেশ বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ক্যাটাগরি-১ উন্নীত হওয়া ও বাণিজ্যিক সম্ভাব্যতা সাপেক্ষে ২০১৬ সালের শীতকালীন সময়সূচি থেকে নিউ ইয়র্কে বিমানের ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে।