Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সংক্রমণ বাড়বে না কেন

হাট-বাজার, শপিংমল, সড়ক কোথাও নেই সচেতনতা যাত্রীদের অনেকে নিয়ম মানেন না : ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি তদারকি সংস্থা বিষয়গুলো আমলে নিচ্ছে না : যাত্রী কল্যাণ সমিতি প্রক্রিয়া চলমান আছ

মো. জাহিদুল ইসলাম | প্রকাশের সময় : ১৪ মার্চ, ২০২১, ১২:০৫ এএম

রাজধানীর অন্যতম অভিজাত ও ব্যস্ততম এলাকা বনানীতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মানুষের আনাগোণা। বনানী মোড়েই সায়েদাবাদগামী বলাকা বাসের প্রায় সবক’টি আসনই যাত্রীতে ভরা। কয়েকশ’গজ সামনে সৈনিক ক্লাব থেকে আট-দশজন যাত্রী উঠলে কয়েকজন যাত্রীকে দাঁড়িয়ে যেতে হয়। কিছুদূর এগিয়ে চেয়ারম্যান বাড়ি থেকে আরও কয়েকজন যাত্রী যোগ হল বাসটিতে। সেখান থেকে আরেকটু সামনে গেলেই মহাখালী বাস স্টপেজ। আগেই আসন অতিরিক্ত ১০-১৫ জন যাত্রী দাঁড়িয়ে ছিলেন। এবার স্টপেজ থেকে আরো কমপক্ষে ১০-১২জন যোগ হলো। এবার বাসে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। বাসে ওঠা অধিকাংশ যাত্রীর মুখে নেই মাস্ক। ‘যত সিট তত যাত্রী’-সরকারি এই নির্দেশনা এখানে উপেক্ষীত।

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে বাসে ওঠার আগে স্যানিটাইজার দেয়ার কথা ছিল। সে দৃশ্যও ছিল অনুপস্থিত। আর বাসে মাস্ক পরে যাত্রীদের যাতায়াত করার নির্দেশনা থাকলেও তা ছিল না বলেই চলে। এমন দৃশ্য শুধু বাসেই নয়। হাট-বাজার, শপিংমল, সড়ক কোথাও নেই স্বাস্থ্যবিধি। গত বছর (২০২০) জুন মাস থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবকিছু চালু করার নির্দেশনা দিয়েছিল সরকার।
কিন্তু প্রথম এক-দেড় মাস সরকারি নির্দেশনা কিছুটা মানলেও পরবর্তীতে সব স্বাভাবিক হয়ে যায়। করোনা নিয়ে মানুষের ভেতর যে আতঙ্ক ছিল তা অনেকটা উধাও হয়ে যায়। এর সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যায় স্বাস্থ্যবিধি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও জনগনকে আহŸান জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার। কিন্তু কার কথা কে শোনে! কাগজে কলমে ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’।

তবে বাস্তবে এই চিত্র অনেকটা এরকম, ‘নো মাস্ক, গেট সার্ভিস’। এ পরিস্থিতির জন্য প্রশাসনের তৎপরতার অভাবকেই দুষছেন সচেতন নাগরিকরা। তবে মানুষের এই স্বাভাবিক জীবন-যাপন বড় হুমকির কারণ বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, করোনা শেষ হয়ে যায়নি। ঝুঁকি এড়াতে সবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত বলে মত তাদের।

সরজমিনে তুরাগ, অনাবিল, উইনার, অছিম, বিহঙ্গ, ভিআইপি, মক্কা, মনজিল ও প্রচেষ্টা পরিবহন ঘুরে দেখা যায়, নেই যাত্রীদের মুখে মাস্ক। হ্যান্ড স্যানিটাইজ ও স্প্রের ব্যবহার উঠে গেছে অনেক আগে থেকেই। সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলার যে অনুমতি দিয়েছিল, নূন্যতমও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না এসব গণপরিবহনে। শুধু এই গণপরিবহনগুলো নয়, রাজধানীর সব গণপরিবহনের একই চিত্র।

গত কয়েকদিনে রাজধানীতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া ইস্যুতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক রাজধানীর একটি হোটেলে বছরব্যাপী য²া সচেতনতা কর্মস‚চি উদ্বোধনকালে বলেছিলেন, মানুষ যেভাবে কক্সবাজার যাচ্ছে, সিলেটে যাচ্ছে, যেভাবে সামাজিক অনুষ্ঠান হচ্ছে, মাস্ক পরার বালাই নাই, সামাজিক দূরত্বের বালাই নাই সংক্রমণ তো বাড়বেই। হাসপাতালে রোগীর সংখ্যাও বেড়ে গেছে আগের তুলনায়।
কিন্তু গত বছরে সারা দেশেই সরকারি কড়াকড়িতে মানুষজন চাইলেও সেভাবে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করতে পারেনি। এক্ষেত্রে সরকারের দায়িত্বের অভাব ও দায়সারা মনোভাবকেই দায়ী বলে মনে করছেন এ খাতের সংশ্লিষ্টরা।
মনজিল পরিবহনের এক সহকারি চালক বলেন, সকালে মাস্ক নিয়ে বের হয়েছিলাম, কিন্তু কোথায় যেন পড়ে গেছে মনে নেই। গাড়িতে দাঁড়িয়ে যাত্রী নেওয়া নিষেধ এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাদের ছোট গাড়ি। তাই অতিরিক্ত যাত্রী না নিলে তেল গ্যাসের টাকা ওঠে না। কত দিন পর পর গাড়ি জীবাণুনাশক ওষুধ দিয়ে স্প্রে করেন এমন প্রশ্নে তিনি হেসে বলেন, এটা আবার কি কন? গাড়িতে আবার কিসের জীবাণু।

আল-মক্কা পরিবহনের চালক লতিফ বলেন, গাড়িতে অধিকাংশ যাত্রীর মুখে মাস্ক নেই। যাত্রীদের মাস্ক ব্যবহারের কথা বললে, অপমানসহ মারধর করতে আসেন। ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ এ কথাটি আমিও শুনেছি, তবে আমরা তো গরিব মানুষ, যাত্রী না উঠলে গাড়ি চলবে না। আর গাড়ি না চললে না খেয়ে মরতে হবে। সে জন্য করোনার ঝুঁকি নিয়েই গাড়ি চালাচ্ছি।

বলাকা পরিবহনের সহকারী সিয়াম হোসেনের মুখেও মাস্ক নেই। সেটা কেন ব্যবহার করছেন না কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, সারাদিন মাস্ক পরে থাকাটা অস্বস্তি লাগে। তাই তিনি কিছু সময়ের জন্য খুলে রেখেছেন। আরেক পরিবহন চালক রুহুল আমিন বলেন, যাত্রীরা এখন আর সেটা মানছেন না। বললেও উল্টো ক্ষ্যাপে যান অনেক যাত্রী।
যদিও দেশের সব গণপরিবহনে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ পরিবহন মালিক সমিতি। কিন্তু সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নের চিত্র দেখা যায়নি কোনো গণপরিবহনে। পরিবহনের চালক ও সহকারীরা এ ব্যাপারে অনেকটা উদাসীন থাকায় এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলে অভিযোগ সচেতন যাত্রীদের।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ ইনকিলাবকে বলেন, আমরা কিছুদিন পরপরই সার্কুলার দিচ্ছি। এখন কিন্তু যাত্রীদের মধ্যেও অনেকে নিয়ম মানতে চায় না। দেখা যায়, মাস্ক ছাড়া গাড়িতে যাতায়াত করে। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা আবারও সবাইকে জানাবো। এটা কিন্তু আমরা চলমান প্রক্রিয়ার মধ্যে রেখেছি। করোনার মধ্যে মাস্ক ব্যবহার করার জন্য, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য। জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আমরা আবারও সার্কুলার দিবো।

হাফসা নামের এক যাত্রী বলেন, বাড়ি থেকে মাস্ক আনতে ভুলে গিয়েছি, আর এখন তো করোনায় মানুষ মরে না! অযথা কেন মুখ আটকিয়ে রাখবো। যারা বেশি সচেতন তারাই এ রোগে আক্রান্ত হয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন। মুখে মাস্ক নেই কেন এমন প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন নামের এক যাত্রীর সোজাসাপটা উত্তর, মাস্ক পরে কী হবে, যে পরিমাণ ঘনবসতি, কোনো শারীরিক দূরত্ব মানার উপায় নেই। করোনা হওয়ার হলে এমনিতেই হবে। আবার অনেক যাত্রী টিকা নিয়েছেন বলে নিজেকে নিরাপদ মনে করছেন।

তবে সচেতন যাত্রীরা বলেন, সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেওয়ার পর এবং প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাস্ক ব্যবহারের জরিমানা ও সাজা দেওয়া কমে আসায় মানুষের মধ্যে মাস্ক ব্যবহারের অনীহা দেখা দিয়েছে। এছাড়া সচেতন না হলে করোনার প্রকোপ বাড়বে বলে মনে করেন তারা। তাই চালক-যাত্রী সবাইকে সচেতন হয়ে মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প দেখছেন না তারা।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক ইনকিলাবকে বলেন, আসলে দেশে এখন করোনা আছে কীনা, এই ধরনের মনোভাব নিয়ে চলাচল করছে মানুষ। আর তদারকি সংস্থা যারা, তারাও এই বিষয়গুলো আমলে নিচ্ছেনা। গণপরিবহনের একটা বড় অংশই এখন মাস্ক ব্যবহার করছে না। সেটা যাত্রীর কথা যদি বলেন তারাও আবার চালক শ্রমিক যারা আছেন তাদেরও একটা বড় অংশ কিন্তু মাস্ক ব্যবহার করে না। শুধু যে মাস্ক ব্যবহার করছে না তা নয়। সবচেয়ে বড় সমস্যা যত সিট তত যাত্রী যে নির্দেশনা এটাও কিন্তু অনুসরন করা হচ্ছেনা। আগের মতো মুড়ির টিন হয়ে যাতায়াত করছে। ফলে আমরা বহুবিধ সমস্যার মধ্যে পড়তে যাচ্ছি। এখন যে শনাক্তের হার হাজার পার হয়ে গেল, এটা আমাদেরকে একটা ভয়াবহ ইঙ্গিত দেয়। কারন বাংলাদেশে আমরা যেভাবে করোনা প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছিলাম এখন দ্বিতীয় ঢেউ পার হয়ে তৃতীয় ঢেউয়ের এই সময়কালে যদি স্বাস্থ্যবিধি অনুসরন না করে সবকিছুতে আমরা একাকার হয়ে যাই তাহলে কিন্তু আমাদের জন্য ভয়াবহ একটা সময় অপেক্ষা করছে।

মোজাম্মেল হক আরও বলেন, যাত্রীদের যেমন সচেতনতা প্রয়োজন, তেমনি করে যারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, তাছাড়া এনফোর্সমেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলো তাদেরও তৎপরতা বাড়ানো প্রয়োজন। পাশাপাশি মালিক শ্রমিকদেরও দায়িত্ব নেয়া সময়ের দাবি।
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) এনফোর্সমেন্ট বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক ইনকিলাবকে বলেন, আমাদের বিআরটিএর পক্ষ থেকে মোবাইল কোর্ট আছে, পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া আছে-সেটাতো আগে থেকেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাড়ি চালাতে হবে, যত সিট তত যাত্রী নিতে হবে। মাস্কতো ব্যবহার করতেই হবে।

কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এসবের কিছুই মানা হচ্ছেনা গণপরিবহনে। কবে নাগাদ আবার চালু হবে এই প্রক্রিয়া। এ প্রশ্নের জবাবে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এ প্রক্রিয়া চলমান আছে।
শুধু গণপরিবহনেই নয়, গত কয়েকদিনে ঢাকার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, সাধারণ মানুষের চলাচল করোনা পূর্ববর্তী সময়ের মতোই স্বাভাবিক। হাটবাজারে গেলেই এ দৃশ্য আরো ভয়াবহ। খুব কম সংখ্যক মানুষই মুখে মাস্ক ব্যবহার করছেন। কাওরান বাজার এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, বাজারে কেনাকাটা করতে আসা অনেকেই ঘেঁষাঘেঁষি করে অবস্থান করছেন। মুখে মাস্ক নেই। নেই সামাজিক দূরত্বের বালাই। বিক্রেতাদের মধ্যেও নেই সচেতনতা। মাহফুজ নামের এক সবজি বিক্রেতাকে মাস্ক নেই কেন জানতে চাইলে বলেন, করোনাই তো নাই। মাস্ক পইরা কি হবে।

এদিকে করোনার ঝুঁকি উপেক্ষা করে রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতেও মানুষের মধ্যে সামাজিক দ‚রত্ব বজায় রাখার চিত্র দেখা যায়নি। সবাই একে-অন্যের সঙ্গে ঘেঁষাঘেঁষি করে চলাচল করতে দেখা গেছে। এমনকি বেশির ভাগ মানুষ মাস্ক ব্যবহার ছেড়ে দিয়েছেন।

রাজধানীর কয়েকটি শপিং মল ঘুরে দেখা যায়, বাইরের ফটকে নির্দেশনা অনুযায়ী মাস্ক পরে ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করে ভেতরে প্রবেশ করছেন ক্রেতারা। কিন্তু ভেতরে ঢুকলেই দৃশ্য বদলে যায়। অনেকেরই মাস্ক নেমে যায় থুতনির নিচে। এমনও দেখা গেছে, ছোট একটি দোকানে ছয় থেকে সাতজন পর্যন্ত ক্রেতা ভিড় করছেন। যেখানে কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। নিউমার্কেট, গাউছিয়া মার্কেট, চাঁদনী চক, বঙ্গবাজারে মানুষের উপচে পড়া ভীড়। কিন্তু নেই স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই।

অন্যদিকে করোনা সংক্রমণের কারণে সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা পুরোপুরি উঠে গেছে। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের এলাকা, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় নানা সংগঠনের সভা-সমাবেশ হচ্ছে নিয়মিত।
শনাক্তের সংখ্যা মাঝে কম থাকলেও সম্প্রতি তা আবারও বাড়ছে। করোনা শেষ হয়ে গেছে-এমনটা ভাবা ভুল মনে করেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. এবিএম আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, মানুষ সভা-সমাবেশ, হাট-বাজারে যেভাবে চলাফেরা করছেন তা মোটেও ঠিক নয়। জনসমাবেশও করছেন অনেকে। সবমিলিয়ে সবার মধ্যে ঢিলেঢালাভাব চলে এসেছে। যা সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ। তিনি আরো বলেন, একবার করোনা হয়েছে কিংবা টিকা নিয়েছেন বলে নিরাপদ হয়ে গেছেন-তাও ভাবা ঠিক নয়। টিকা নেয়ার পরও করোনা হওয়ার ঝুঁকি থাকে। পৃথিবীর অনেক দেশে প্রচুর আক্রান্ত হচ্ছে করোনায়। এসব দেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত সবার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সংক্রমণ. বাড়বে না কেন

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ