পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রতারণা মামলায় মডেল ও অভিনেত্রী রোমানা ইসলাম স্বর্ণা (৪০), তার মা ও ছেলের রিমান্ড নামঞ্জুর করে জেলগেটে একদিনের জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল শুক্রবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মাহমুদা আক্তারের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। অন্যরা হলেন- তার মা আশরাফি ইসলাম শেইলি (৬০) ও ছেলে আন্নাফিকে (২০)।
আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মনির আহমেদ জানান, গতকাল মোহাম্মদপুর থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. দুলাল হোসেন আসামিদের আদালতে হাজির করেন। একই সঙ্গে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে প্রত্যেকের ৫ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক রিমান্ড নামঞ্জুর করে জেলগেটে একদিনের জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অভিনেত্রী রোমানা ইসলাম স্বর্ণা, তার মা আশরাফি ইসলাম শেইলি (৬০) ও ছেলে আন্নাফিকে (২০) গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে গতকাল বিকেলে তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের ডিসি হারুন অর রশিদ বলেন, এক সউদী প্রবাসী মোহাম্মদপুর থানায় রোমানা ইসলাম স্বর্ণার বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন- প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ে করে তার কাছ থেকে বিভিন্ন সময় নানা অজুহাতে কোটি টাকারও বেশি হাতিয়ে নিয়েছেন স্বর্ণা। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ স্বর্ণাকে গ্রেফতার করে।
তিনি আরও বলেন, স্বর্ণার সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় ওই সউদী প্রবাসীর। এরপর বিভিন্ন সময় হোয়াটসঅ্যাপ-ম্যাসেঞ্জারে তারা যোগাযোগ করতেন। এক পর্যায়ে ২০১৮ সালে তারা বিয়েও করেছিলেন। পরে তাদের বিয়ে ভেঙে যায়। বিয়ে ভেঙ্গে গেলেও তাদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল।
তিনি আরো বলেন, ভুক্তভোগী সউদী প্রবাসী কামরুল হাসান জুয়েল বিদেশ থেকে আসার পর মডেল, অভিনেত্রী রোমানার বাড়িতে যান। সেসময় এই প্রতারকচক্র করল কি, তাকে আরো প্রতারণা করার জন্য উলঙ্গ করে ছবি তুলল। এরপর তাকে বলল তুমি যদি আরও টাকা না দাও তাহলে এই ছবি ফেসবুক ও ইন্টারনেটে ছেড়ে দিব। সেই ভয়ে ভুক্তভোগী আরো কিছু টাকা দিলেন। অনেকেই প্রেমের ফাঁদে পড়ে টাকা খোয়াচ্ছেন। এ সব বিষয় আমরা তদন্ত করে দেখছি।
কামরুল হাসান জুয়েল সাংবাদিকদের বলেন, আমার খালাতো ভাইয়ের মাধ্যমে রোমানার সঙ্গে পরিচয় হয়। পরিচয় হওয়ার এক পর্যায়ে সে ফেসবুকে আমাকে অ্যাড করে। সে অসহায়ত্ব প্রকাশ করে। সে বলে আমার মাকে নিয়ে আমি অসহায় অবস্থায় আছি। আমার একটা ছেলে আছে, লেখাপড়া করাতে পারি না। মিডিয়াতে কাজ হয় না। এক কাজ করো আমাকে তুমি একটা উবার কিনে দাও, যেটা দিয়ে আমি চলতে পারব। আমি ১৮ লাখ টাকা দিয়ে উবার কিনে দেই। আমার সর্বমোট দুই কোটি টাকার মতো নিয়েছে।
ঢাকা মহানগর তিনি আরো বলেন, সে (রোমানা স্বর্ণা) আমার সঙ্গে প্রথমে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলে। এরপর লালমাটিয়ায় ফ্ল্যাট কেনার নাম করে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা নেয়। আমি দেশে আসার পর আমাকে বাসায় ডাকে। আমি যাই। তারা আমাকে কিছু একটা খাইয়ে অজ্ঞান করে ফেলে। এরপর আমার খারাপ ছবি তুলে নেয় এবং আমাকে দিয়ে স্ট্যাম্পে সই করিয়ে নেয়। এভাবেই সে আমাকে জোর করে বিয়ে করে। আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে বললেও তা মিথ্যা। তাই আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি।
পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের এডিসি মৃত্যুঞ্জয় দে সজল জানান, রোমানা স্বর্ণা একাই নয়, পুরো পরিবার একটি প্রতারক চক্র। সম্মিলিতভাবে এই চক্র প্রতারণা করে আসছে। মামলা তদন্তের সাথে জড়িত পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, শুধু সউদী প্রবাসী কামরুল ইসলাম জুয়েল নয়, আপত্তিকরভাবে ছবি তুলে এরপর ব্ল্যাকমেল করে গুনে গুনে ২৮ জনকে বিয়ে করেছেন মডেল-অভিনেত্রী রোমানা স্বর্ণা। সবার কাছ থেকেই হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। শুধু স্বর্ণা একা নন, তার এই কাজে পরিবারের প্রতিটি সদস্যই জড়িত বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য পাওয়া গেছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।