পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণমাধ্যমে সরকারের জন্য ‘অস্বস্তিকর’ বক্তব্য প্রকাশিত হওয়ায় আলোচিত অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুব কবীরকে লঘুদন্ড দেয়া হয়েছে। তাকে ‘সরকারি কর্মচারী (আপিল ও শৃঙ্খলা) বিধিমালা, ২০১৮’ অনুযায়ী লঘুদন্ড ‘তিরস্কার’ করে গত ১ মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
সর্বশেষ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ছিলেন মাহবুব কবীর। রেল বিভাগের নানা অনিয়ম দূর করতে নতুন নতুন উদ্যোগ নিচ্ছিলেন। গত বছরের ৬ আগস্ট তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়। মাহবুব কবীর এর আগে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কিছু সময়ের জন্য ছিলেন কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও। এ সময় তিনি ভেজাল ও নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়ে আলোচিত হন।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ে থাকার সময় গত বছরের ২৯ জুলাই মাহবুব কবীরের বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করে ৩ মাসে দুর্নীতি দূর করতে ১০ কর্মকর্তার উইং চান অতিরিক্ত সচিব’ শিরোনামে বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপরই তিনি ওএসডি হন। শুরু হয় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া। সেই প্রক্রিয়া শেষে ১ মার্চ তাকে শাস্তি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত ও প্রকৃত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্র ব্যতীত পত্রিকায় প্রকাশিত এ লেখায় তার মনগড়া, ভিত্তিহীন ও সরকারের জন্য অস্বস্তিকর বক্তব্য প্রকাশিত হওয়া সরকারি কর্মচারী হিসেবে তার আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল হওয়ায় এবং তিনি সরকারের অতিরিক্ত সচিব পদের কর্মকর্তা বিধায় প্রেসিডেন্টর অনুমোদনক্রমে তার বিরুদ্ধে ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮’ এর বিধি ৩(খ) অনুযায়ী অসদাচরণের অভিযোগে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়।
বিভাগীয় মামলা রুজুর পর গত ৫ নভেম্বর তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। মাহবুব কবীর ১৫ নভেম্বর লিখিত জবাব দাখিল করে ব্যক্তিগত শুনানির অনুমতি চান। গত ২৭ জানুয়ারি ব্যক্তিগত শুনানি শেষে মামলার অভিযোগ, উভয় পক্ষের বক্তব্য, দাখিল করা কাগজপত্র ও প্রাসঙ্গিক সকল বিষয়ে পর্যালোচনায় তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর বিধি ৩(খ) অনুযায়ী অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হয় বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
আদেশে বলা হয়, অভিযোগের গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিক প্রশাসনিক বিষয়টি বিবেচনায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী তাকে ‘তিরস্কার’ নামের লঘুদন্ড দেয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়, প্রেসিডেন্টও এই শাস্তি দেয়ার বিষয়ে সম্মতি দেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে মাহবুব কবীরকে ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৪(২)(ক) বিধি অনুযায়ী ‘তিরস্কার’ নামের লঘুদন্ড দেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।