পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
উদ্যোগ নেওয়ার তিন বছর পরও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা (ইজিবাইক) ও অন্যান্য গণপরিবহন নীতিমালার আওতায় না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী। গতকাল বৃহস্পতিবার এর অংশ হিসেবে সরকারি-বেসরকারি অংশীজন ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি ভার্চুয়াল সেমিনারের আয়োজন করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান জাকিয়া সুলতানা। এখন নতুন আরেকটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিল-বিইপিআরসি।
অনুষ্ঠানে তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বলেন, ২/৩ মাসের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের মাধ্যমে প্রাথমিক নিবন্ধনটা শুরু করা যায়। বিআরটিএ কাজটি করবে বলেও করেনি। তারা বড় বড় যানবাহন নিয়ে কাজ করে। তাই এটা স্থানীয় সরকার বিভাগও চাইলে করতে পারবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে একটি প্রাথমিক নীতিমালা চ‚ড়ান্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে ব্যাটারিচালিত এসব যানবাহনের নিবন্ধন শুরু করতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করেছেন তিনি। খনিজ জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির বিপরীতে বিদ্যুৎ সহজলভ্য হওয়ায় ইজিবাইকের ব্যবহার বাড়তে থাকলেও এটি সড়কে দুর্ঘটনার কারণও হয়ে দাঁড়ায়। দেশে ১৫ থেকে ২০ লাখ ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশা, ভ্যান রয়েছে বলে ধারণা করা হলেও সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। যদিও প্রতিবেশি দেশে দুই দশক আগেই এ ধরনের যানবাহন নিয়ে একটি নীতিমালা চালু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের উদ্যোগে অংশীজন ও সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রকদের সমন্বয়ে একটি উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা বেশি দূর এগোয়নি। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআরটিএ একটি নীতিমালা প্রণয়ন ও লাইসেন্স দেওয়ার উদ্যোগ নেবে বললেও তা আর হয়নি। ব্যাটারিচালিত তিন চাকার গাড়ির ডিজাইন কেমন হবে, আসন কতটি হবে এসব নিয়ে গবেষণা চলতে পারে। কিন্তু এখন যে ১৫/২০ লাখ গাড়ি রাস্তায় চলছে সেগুলোর সাময়িক নীতিমালা করে নিবন্ধনটা করে ফেলা উচিত। তাহলে চাঁদাবাজিটা বন্ধ হবে, কত গাড়ি আছে তা জানা যাবে। কারণ এর সঙ্গে লাখ লাখ মানুষের জীবনজীবিকা জড়িত।
জিবাইকের নিবন্ধন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি না হওয়ায় বিআরটিএর সমালোচনা করে উপদেষ্টা বলেন, ২০১৮ সালে একবার লম্বা আলোচনা হল, তিন বছর পার হয়ে গেল, কোনো সিদ্ধান্ত আসল না। দেশে এখন ইজিবাইক নিয়ে স্থানীয় মাস্তানরা টোকেন বাণিজ্য করছে। সুলভ মূল্যের এ বাহনে মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থায় স্বস্তি আসলেও চাঁদাবাজির কারণে ভোগান্তি কমছে না। টোকেনের কথা বলে সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে। সরকার তো আর বসে থাকতে পারে না। আমি দুঃখের সাথে বলছি- এ নিয়ে কেউ কোনো উদ্যোগ নিল না। এটা লজ্জার ব্যাপার।
বিইপিআরসির চেয়ারম্যান জাকিয়া সুলতানা বলেন, সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে সঙ্গে নিয়ে আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই আমরা নীতিমালা ও সংজ্ঞায়ন করে ফেলব। আগামী তিন মাসের মধ্যেই ইজিবাইকের নিবন্ধন শুরু হবে। এই কাজটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনেই করার চেষ্টা করা হবে।
বিআরটিএর পরিচালক শীতাংশু শেখর বিশ্বাস বলেন, তিন বছর আগে এই ইজিবাইক নিয়ে আলোচনা উঠলেও শেষ পর্যন্ত আমরা এগুলোকে রেজিস্ট্রেশন দেইনি। পরিবেশ, ব্যাটারির নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন উদ্বেগ এখানে রয়েছে। ইজিবাইককে বৈজ্ঞানিক, নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব করতে হবে।
হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি আতিকা ইসলাম বলেন, ২০২০ সালে মহাসড়কে ৬৪০টি ইজিবাইক সংক্রান্ত দুর্ঘটনায় প্রায় ৯০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গত দুই মাসে ৬২টি দুর্ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। ইজিবাইকে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করলে হয়তো এর ভালো ফলাফল পাওয়ায় যাবে। মহাসড়কে ইজিবাইক চলাচল নিষিদ্ধ। আমরা আইন অনুযায়ী মহাসড়কে ইজিবাইক দেখলেই জব্দ করছি।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুস্তাকিম বিল্লাহ ফারুকী বলেন, ইজিবাইকের মান ঠিক করা প্রয়োজন। তাহলে নিবন্ধন দেওয়ার জটিলতা কমে যাবে। সেমিনারে ব্যাটারি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, ইজিবাইক নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান, আমদানিকারক ও সড়ক নিরাপত্তা সংক্রান্ত নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।