পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজশাহী ব্যুরো : বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক বলেছেন, দেশে যারা জঙ্গিবাদ করছে তাদের স্থান বাংলার মাটিতে হবে না। এখনও সময় আছে ফিরে আসুন। একজন মুসলমান কখনও আরেকজন মুসলমানকে হত্যা করতে পারে না। এটা মুসলমানদের কাজ নয়।
যারা জঙ্গিবাদের সাথে থেকে কাজ করছেন অথচ এষনও কোনো হত্যাকা-ের সাথে জড়িত হননি তারা আবার সমাজে ফিরে আসুন। আমরা তাদের নিরাপত্তা দিব। সব বিষয়ে বিরোধিতা করলে হবে না। আগে দেশ ও প্রিয় জন্মভূমিকে বাঁচাতে হবে, জনগণকে বাঁচাতে হবে। তারপর রাজনীতি। দেশের স্বার্থেই রাজনীতি, জনগণের স্বার্থেই রাজনীতি। অনেকেই মানবাধিকারের প্রশ্ন তোলেন কিন্তু যারা মানুষের অধিকার রক্ষা করে না তাদের আবার মানবাধিকার কিসের? গতকাল দুপুরে পুলিশ লাইন্স মাঠে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কমিউনিটি পুলিশিং এবং জঙ্গিবাদবিরোধী মহাসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেন, কল্যাণপুর ও নারায়ণগঞ্জে আমরা জঙ্গিদের অনেক সময় দিয়েছি। কিন্তু তারা আত্মসমর্থন করেননি। উল্টো পুলিশকে বোমা মেরেছে, গুলি করেছে। পরে বাধ্য হয়ে তাদের বিরুদ্ধে অপারেশন চালাতে হয়েছে। এতে পুলিশেরও ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
তিনি বলেন, জঙ্গিদেও গ্রেফতার করা সহজ বিষয় না। তারা আত্মঘাতী, তারা মেন্টালি মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকে। তারা নিজেরাই বলে, আমরা মরবো, জান্নাতে যাব, যাদের মারবো, তারা জাহান্নামে যাবে। তারা কখনও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে নিজেকে ধরা দিতে চান না। তাদের কাছে বোমা আছে, আগ্নেয়াস্ত্র আছে, ধারালো অস্ত্র আছে। তাদের আদর দিয়ে গ্রেফতার করা যায় না। ‘জঙ্গিরা দেশের অগ্রগতিতে বাধা দেয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা সফল হবে না, আমরা জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন পাচ্ছি। এ দেশকে জঙ্গিদের দেশ করতে দেয়া হবে না, অকার্যকর করতে দেয়া হবে না। এই দেশকে নিরাপদ, উন্নত বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব।’
তিনি বলেন, এটা আফগানিস্তান কিংবা ইরাক নয় যে জঙ্গিবাদ চালানো যাবে। এখানে জঙ্গিবাদ চালানো যাবে না। স্বমূলে নির্মূল করা হবে জঙ্গিবাদকে। এ জন্য যা যা করা দরকার পুলিশ তার সবকিছুই করবে। রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেনÑ রাজশাহী সদর আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা, সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল হান্নান, জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দীন, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) খোরশেদ হোসেন, র্যাব-৫’র অধিনায়ক লে.কর্নেল মাহবুব আলম, রাজশাহীর বিজিবি-১ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার (সিও) লে. কর্নেল শাহজাহান সিরাজ, মহানগর কমিউনিটি পুলিশিংয়ের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. আব্দুল খালেক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।
পরে পুলিশ প্রধান রাজশাহীতে জঙ্গিবাদবিরোধী শোভাযাত্রায় অংশ নেন। এর আগে, মহানগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা এলাকা থেকে খ- খ-ভাবে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হন কমিউনিটি পুলিশের সদস্যরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।