পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর গুলশান থানায় হত্যাচেষ্টা মামলায় সিকদার গ্রুপ অব কোম্পানিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রন হক সিকদারের জামিনের মেয়াদ ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তার জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন গতকাল বুধবার মঞ্জুর করেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ আবেদন মঞ্জুর করেন। গতকাল আদালতে শুনানিকালে আসামি রন হক সিকদার উপস্থিত ছিলেন। শুনানি শেষে সাংবাদিকেরা রন হক সিকদারের ছবি তুলতে গেলে তার সঙ্গে থাকা লোকজন বাধা দেন।
এর আগে বাদীপক্ষ আদালতে লিখিত আবেদন জমা দিয়ে আসামি রন হক সিকদারের জামিন বাতিল চায়। জামিন বাতিল চেয়ে বাদীপক্ষের করা আবেদনে বলা হয়, আসামি রন হক সিকদার করোনা মহামারির মধ্যে ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে করে বিদেশে পালিয়ে যান। তিনি বিদেশে বসে উচ্চ আদালতে জামিন চান। এ নিয়ে উচ্চ আদালত বিস্ময় প্রকাশ করেন। আদালতের সময় নষ্ট করার জন্য আসামির জরিমানা করা হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী কাউসার আলম আদালতে বলেন, আসামি রন হক সিকদার দেশের আইন ও আদালতকে তোয়াক্কা না করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার দুঃসাহস দেখিয়েছিলেন। তিনি স্বেচ্ছায় আদালতে আসেননি। বাবার মৃত্যুর কারণে গত ১২ ফেব্রুয়ারি তিনি দেশে ফিরলে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তখন মানবিক কারণে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেছিলেন। এখন নতুন করে বিষয়টি দেখা দরকার। মামলার তদন্ত চলমান। মামলার আরেক আসামি রন হক সিকদারের ভাই বিদেশে পলাতক। অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনা করে আসামি রন হক সিকদারের জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানো হোক।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, রন হক সিকদার জামিনের অপব্যবহার করেননি। তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করা হোক। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে রন হক সিকদারের জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি হওয়ার পর প্রায় ৯ মাস দুবাইয়ে পলাতক ছিলেন রন হক সিকদার। বাবার মৃত্যুর কারণে ১২ ফেব্রুয়ারি দুবাই থেকে ঢাকার হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে এসে পৌঁছানোর পর গ্রেফতার হন তিনি। বিমানবন্দর থেকে বেরোনোর পরপরই গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল রনকে গ্রেফতার করে। এদিন দুপুরে তাকে আদালতে তোলা হলে ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন পান তিনি। তাকে ১০ মার্চ পর্যন্ত জামিন দেয়া হয়।
গুলশান থানায় এক্সিম ব্যাংকের করা অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি রন হক সিকদার। এ মামলায় তার ভাই দিপু সিকদারও আসামি। দিপু এখনো বিদেশে পলাতক।
গুলশান থানায় করা মামলায় বলা হয়, রন হক সিকদার গত বছরের ৭ মে সকালে ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডিসহ গুলশানে এক্সিম ব্যাংকে যান। তারা তাদের প্রস্তাবিত ৫০০ কোটি টাকা ঋণের টাকার বিপরীতে ‘কো-লেটারেল’ হিসেবে সিকদার গ্রুপের রূপগঞ্জ কাঞ্চন প্রস্তাবিত আদি নওয়াব আসকারী জুট মিলটি পরিদর্শনের জন্য নিয়ে যান এমডি হায়দার আলী ও অতিরিক্ত এমডি মোহাম্মদ ফিরোজকে। ওই স্থান পরিদর্শন করে জায়গাটির বর্তমান বাজারদরের সঙ্গে রন হকদের বন্ধকি মূল্যের বিশাল ব্যবধান হওয়ায় এমডি ও এএমডি ঋণ দিতে দ্বিমত পোষণ করেন। এর জের ধরে ‘কৌশলে’ এক্সিম ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের পূর্বাচলে নিয়ে ‘হত্যার উদ্দেশ্যে গুলিবর্ষণ’ এবং অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সেখান থেকে বনানী ১১ নম্বরে সিকদার হাউসে নিয়ে ‘হেনস্তা করা হয়’।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, জমির দাম কম বলায় রন ও দিপু এক্সিম ব্যাংকের এএমডি ফিরোজকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করেন। অস্ত্র তাক করে জোর করে একটি সাদা কাগজে তাদের স্বাক্ষর করিয়ে নেন। ৫ ঘণ্টা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রেখে পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।