পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জিনের বাদশা পরিচয় দিয়ে প্রতারণাকারী একটি চক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার করেছে সিআইডি। মাগুরা ও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এমনকি তারা প্রতারণা করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। গতকাল মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক।
গ্রেফতার প্রতারকরা হলেন- জিনের বাদশা তারিকুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ বিশ্বাস, আল মাসুম ও সাইদুল ইসলাম রাজু। এ সময় তাদের কাছ থেকে তাদের কাছ থেকে একটি প্রাইভেটকার, নগদ ১৫ লাখ ৪৯ হাজার টাকা, দু’টি ভেকু, ও টাকা তৈরির সাদা কাগজসহ বাক্স, মাজারের মাটি, লাল কালিতে আরবি লেখা কাগজ জব্দ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ওমর ফারুক বলেন, গ্রেফতার আসামিরা জিনের মাধ্যমে অসুস্থ মানুষকে সুস্থ করা, সাদা কাগজ দিয়ে কার্টন ভর্তি কোটি কোটি টাকা তৈরি করতে সক্ষম বলে বিশ্বাস জন্মায়। সবই জিনের অভিনয় এবং ম্যাজিকের সাহায্যে চোখের সামনে টাকা তৈরি করে দেখায়। প্রলোভন দেখিয়ে মানুষকে ফাঁদে ফেলে এবং হুমকি দিয়ে অর্থ আত্মসাত করে আসছিলেন। এরপর প্রচারকদের কথা অনুযায়ী কাজ না করলে প্রিয়জনের ক্ষতি হবে এমন ভায় দেখিয়ে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছিলেন।
তিনি আরো বলেন, ভুক্তভোগী মো. আব্দুল খালেক খান সিআইডি কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে অভিযোগ দিলে কার্যক্রর ব্যাবস্থা নেয়া হয়। অভিযানে চক্রের মূলহোতা জিনের বাদশাসহ তার ৩ সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়।
সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে এই চক্রটি প্রায় ১ কোটি, ৬৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। এরপর গত ৯ মার্চে ভুক্তভোগী আব্দুল খালেক বাদী হয় রাজধানীর হাজারীবাগ থানার একটি মামলা (নং-১৭) দায়ের করেন। গ্রেফতার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।