পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সোহাগ খান : ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত ব্যাংকের বিতরণকৃত ঋণের বিপরীতে এক লাখ ৩৬ হাজার ৫১৪ জন উদ্যোক্তা সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে নতুন ১০ হাজার উদ্যোক্তা ১৬ হাজার ৬০৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পঋণ প্রকল্পের আওতায় দেশের ৮৭টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই ঋণ দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যমতে, দেশে ৮৭টি ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক ছয়টি, বিশেষায়িত দুইটি, বিদেশী নয়টি, বেসরকারি ৩১টি, ইসলামী আটটি ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৩১টি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব মতে, ২০১৫ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচটি প্রতিষ্ঠান ১৬ হাজার ৮২০ জন নতুন উদ্যোক্তাকে ঋণ দিয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট ঋণের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৯৪৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আর জুন ২০১৬ পর্যন্ত ৬টি বাণিজ্যক ব্যাংক নতুন প্রায় ৭৫০০ জন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি করেছে। কিন্তু ঋণের পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকায়। এর মধ্যে রুপালী ব্যাংক ৩ হাজার ৭৯৫ জন নতুন উদ্যোক্তাকে ঋণ দিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে। আর বরাবরের মতো ৩০৭ জনকে ৭১ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করে নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ ডেভলেপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (বিডিবিএল)।
বিশেষায়িত দু’টি ব্যাংক ১ হাজার ২০০ জন নতুন উদ্যোক্তাকে বিতরণ করেছে ২৩৬ কোটি পাঁচ লাখ টাকা।
অন্যদিকে নয়টি বিদেশী ব্যাংকের মধ্যে তিনটি কোনো নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে পারেনি। বাকি ছয়টি ব্যাংক ৭২৫ জন নতুন উদ্যোক্তার মধ্যে ১২ কোটি ৮০ লাখ টাকা বিতরণ করেছে। বেসরকারি ৩১টি ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণে উদ্যোক্তা বেড়েছে ২৩ হাজার ১৪৭ জন। এর মধ্যে নতুন উদ্যোক্তা ১ হাজার ৭৫ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি উদ্যোক্তা সৃষ্টি করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। আর সবচেয়ে পিছিয়ে আছে মধুমতি ব্যাংক।
এ ছাড়া ইসলামী আটটি ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ চার হাজার ১৫৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। এর বিপরীতে নতুন উদ্যোক্তা বেড়েছে ২ হাজার ৪৯০ জন। ইসলামী ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ। ব্যাংকটি ১ হাজার ৪১৪ জন নতুন উদ্যোক্তাকে ৯১৮ কোটি ২৫ লাখ টাকার ঋণ বিতরণ করেছে। পিছিয়ে আছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক।
৩১টি নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তা বেড়েছে ৯ হাজার ৬৩ জন। ১ হাজার ২১ জন হচ্ছে নতুন উদ্যোক্তা। বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ এক হাজার ৩৩৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে চারটি প্রতিষ্ঠান কোনো ঋণ বিতরণ করেনি।
এ সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস বিভাগের মহাব্যবস্থাপক স্বপন কুমার রায় বলেন, ‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ঋণ বিতরণে অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় ইসলামী ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে আছে। পিছিয়ে আছে বিদেশী ব্যাংকগুলো। বিদেশী ব্যাংকগুলো এখন করপোরেট ব্যাংকিংয়ের দিকে ঝুঁকছে। অন্যদিকে রিটেইল ব্যাংকিং খাতে এসএমই ঋণ বিতরণের পরিমাণ বেড়েছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।