পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আদালত নিয়ে মন্তব্য করে অবমাননার দায়ে দ-িত মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, সংবিধান রক্ষার শপথ ভেঙেছেন বলে আপিল বিভাগ রায় দিলেও তিনি ‘জেনেশুনে’ তা করেননি। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের ‘জঙ্গি সন্ত্রাস দমনে প্রয়োজন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় রায়ের বিষয়ে তিনি নিজের প্রতিক্রিয়া জানান। সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ হওয়ার দুই দিনের মাথায় মুক্তযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া জানা গেলেও একই অপরাধে দ-িত খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের কোনো প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।
মোজাম্মেল হক বলেন, সংবিধান লঙ্ঘনের ব্যাপারে মহামান্য আদালত যে কথা বলেছে আমি জেনেশুনে সংবিধান লঙ্ঘন করতে পারি না, করি নাই। কারণ এই সংবিধান মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তে লেখা সংবিধান, যা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচনা করে গেছেন। আমি বলতে চাই, সংবিধান লঙ্ঘন করেছি, সেটা পাকিস্তানের সংবিধান। যে সংবিধান আমি লাথি মেরে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিতে চাই।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বলেন, বাহাত্তরের সংবিধানকে জিয়া, এরশাদ ও খালেদা ৩০ বছর পদদলিত করেছিল। আমরা এই সংবিধানকে সমুন্নত রেখেছি, রক্ষা করেছি। যে কোনো মূল্যে এই সংবিধানকে সমুন্নত রাখার চেষ্টা করে যাব।
আদালতের রায়ের বিষয়ে এখন আর কোনো মন্তব্য করতে চান না জানিয়ে মোজাম্মেল বলেন, রায়ের কপি হাতে পেয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করে তারপর কথা বলব।
তিনি বলেন, নিড়ানি দিয়ে যেমন আগাছা পারিষ্কার করা হয়, তেমনি বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিদের চিরদিনের মতো বিতাড়িত করতে হবে। স্বাধীনতাবিরোধীরা বিভিন্ন নামে ও বিভিন্নভাবে জঙ্গিবাদ লালন করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ থাকলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন হবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে দেশ থেকে জঙ্গিদের উচ্ছেদ করা হবে।
সংগঠনের সভাপতি লায়ন মো. গনি মিয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য হোসনে আরা বেগম বাবলী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় কমান্ডের ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত কাদির গামা, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পীরজাদা শহীদুল হারুন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত: যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর চূড়ান্ত রায়ের আগে সর্বোচ্চ আদালতকে নিয়ে করা মন্তব্যের জন্য খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের নিঃশর্ত ক্ষমার আবেদন প্রত্যাখ্যান করে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন আট সদস্যের আপিল বিভাগ গত ২৭ মার্চ ওই রায় দেয়। সেই রায় বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। রায়ে বলা হয়, সংবিধানে বর্ণিত আইনের শাসন রক্ষার যে শপথ বিবাদীরা নিয়েছেন, সেই দায়িত্বের প্রতি তারা অবহেলা করেছেন। তারা আইন লঙ্ঘন করেছেন এবং সংবিধান রক্ষা ও সংরক্ষণে তাদের শপথ ভঙ্গ করেছেন।
আদালতের রায়ে শপথ ভঙ্গ হওয়ায় দুই মন্ত্রী পদে থাকার অধিকার হারিয়েছেন বলে ইতোমধ্যে মত দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী শাহদীন মালিক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।