Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

বিএনপির ৭ মার্চ পালন অসৎ উদ্দেশ্য

আলোচনা সভায় তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ মার্চ, ২০২১, ১২:০০ এএম

একটি অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে বিএনপি’র তারা ৭ই মার্চ পালন করেছেন’ বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি’র উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদেরকে অনুরোধ জানাবো যে, আপনারা এতোদিন ধরে যে ইতিহাসবিকৃতি করেছেন সেটার জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চান। আর নতুন করে ইতিহাস বিকৃত করার জন্য কোনো দিবস পালন করার ভন্ডামি দয়া করে করবেন না। হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি যখন ঘোষণা দিলো যে তারা ৭ই মার্চ পালন করবে, আমি আশা করেছিলাম ইতিহাসকে মেনে নেয়ার শর্তে এবং এতোদিন ধরে তারা যে ইতিহাসবিকৃতি ঘটিয়েছে, সেই কলঙ্কমোচনের স্বার্থে তারা ৭ই মার্চ পালন করবে। কিন্তু ৭ই মার্চ পালন করতে গিয়ে যে বক্তৃতাগুলো তারা করেছেন, যেভাবে ভাষণ দিয়েছেন, তা বরং ৭ই মার্চের বক্তব্যের সারমর্মকে খাটো করার জন্যই। অর্থাৎ একটি অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে তারা ৭ই মার্চ পালন করেছেন।
বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের পর জনগণ স্বাধীনতার পক্ষে যুদ্ধ করার জন্য মিছিল করতে করতে রাস্তায় বেরিয়ে গেল এবং যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিল, অথচ বিএনপি নেতারা বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণকে কটাক্ষ করে বক্তব্য রাখলেন’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো, এ ধরণের কটাক্ষ করার উদ্দেশ্য নিয়ে আপনারা দয়া করে এই সমস্ত দিবস পালন করবেন না। আপনারা ক্রমাগতভাবে ইতিহাস বিকৃত করেছেন, এই ৭ই মার্চের ভাষণ ২১ বছর বাজাতে দেননি, বিএনপি এবং এরশাদ সাহেবও যতদিন ক্ষমতায় ছিল বাংলাদেশের রেডিও টেলিভিশনে ৭ই মার্চের ভাষণ বাজানো নিষিদ্ধ ছিল, বাজাতে দেয়নি, কিন্তু এই ভাষণকে আজকে বিশ্বস্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। জাতিসংঘের দলিল হিসেবে এই ভাষণ স্থান পেয়েছে। স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠের জন্য যদি কৃতিত্ব দিতে হয় তাহলে নূরুল হকের কৃতিত্ব জিয়াউর রহমানের চেয়ে অনেক বেশি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ অফিসের প্রয়াত নূরুল হক, তিনি বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা দেয়ার পর ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঘোষণাটি রিক্সা করে সমগ্র চট্টগ্রাম শহরে মাইকিং করেছিলেন। চট্টগ্রাম শহরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তখন হত্যাকান্ড চালাচ্ছে, যেকোনো মুহূর্তে তার বুকে গুলি হতে পারে সেটা জেনেও সেদিনকার তরুণ নূরুল হক মানুষকে ঘোষণাটি শুনিয়েছিলেন। আর ২৬ মার্চ সকাল থেকে তৎকালীন চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান। স্বাধীন বাংলা বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা বঙ্গবন্ধুর পক্ষে পাঠ করে শুনিয়েছিলেন। আর জিয়াউর রহমান পাঠ করেছিল ২৭ মার্চ। স্বাধীনতা ঘোষণা পাঠ করার জন্য যদি কাউকে বাহবা দিতে হয়, চার দেয়ালের মধ্য থেকে পাঠকারী জিয়াউর রহমানের চেয়ে নিজের জীবনটাকে হাতের মুঠোয় নিয়ে মাইকিং করা নূরুল হকের কৃতিত্ব অনেক বেশি। বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো এই সত্যগুলো মেনে নেয়ার। স্কুলের দপ্তরিকে হেডমাস্টার বানানোর চেষ্টা করবেন না, ইতিহাসকে মেনে নিয়েই রাজনীতিটা করুন, ক্রমাগতভাবে ইতিহাসকে বিকৃত করবেন না।
ঢাকা মহানগর শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের সভাপতি কে এম শহিদ উল্যা’র সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের উপদেষ্টা সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, নাজমুল হক, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সচিব মো. মাসুদ করিমসহ প্রমুখ। সভাশেষে শিক্ষার্থীদের হাতে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থটি তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী।
##



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তথ্যমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ