পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
রাজধানীর ব্যস্ত নগরীতে গ্রাম বাংলার সংস্কৃতি পিঠাপুলিতে মেতে উঠতে পিঠানন্দ উৎসবের আয়োজন করে দেশের জনপ্রিয় ব্লেন্ডার ব্র্যান্ড ‘ভিশন বেøন্ডার’। সোমবার রাজধানীর মহাখালীতে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে নিজেদের বানানো বিভিন্ন স্বাদের মজাদার পিঠা প্রদর্শন করে নয়জন নারী জিতে নিয়েছেন পিঠানন্দিনী পুরস্কার-২০২১।
অনুষ্ঠানে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে অংশগ্রহনকারীরা তিনটি ক্যাটাগরিতে বাড়ি থেকে তৈরি করে আনা বিভিন্ন ধরনের পিঠা প্রদর্শন করেন। স্টিম ও শুকনা পিঠা ক্যাটাগরিতে চিতই, ভাপা, পুলি, পাটিসাপটা, পানতোয়াসহ বিভিন্ন ধরনের পিঠা, জুস বা ভেজা পিঠা ক্যাটাগরিতে দুধ পুলি, দুধ চিতই, খেজুরের পিঠা, ক্ষীর পুলি পিঠা এবং তেলে ভাঁজা পিঠা ক্যাটাগরিতে মালপোয়া পিঠা, নারকেল পিঠা, কুলশি পিঠা, চুই পিঠাসহ বিভিন্ন ধরনের পিঠা প্রর্দশন করেন তারা। অনুষ্ঠানে আগতদের জন্য বিভিন্ন ধরনের পিঠা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
নির্বাচকরা প্রতিটি ক্যাটাগরি থেকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হিসেবে নয়জনকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। বিচারক প্যানেলে ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন রন্ধনশিল্পী টনি খান, রন্ধন বিশেষজ্ঞ নাজমা হুদা, কল্পনা রহমান, তানিয়া শারমিন এবং পুস্টি বিশেষজ্ঞ ইসরাত জাহান।
পুরস্কার হিসেবে প্রথম ও দ্বিতীয় বিজয়ীরা পেয়েছেন ভিশন ওয়াশিং মেশিন। এছাড়া তৃতীয় বিজয়ীরা পেয়েছেন ভিশন মাইক্রোওয়েভ ওভেন। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রাণ-আরএফএল পাবলিক স্কুলের উপদেষ্টা সুপ্রিতা পাল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভিশন ইলেকট্রনিকস এর চিফ অপারেটিং অফিসার মাহবুবুর রহমান।
অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে ভিশন ইলেকট্রনিকস এর মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) মাহবুবুল ওয়াহিদ বলেন, বাংলার ঐতিহ্যের সাথে পিঠাপুলি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। শীতের সময় এবং নবান্নে নতুন ধান উঠলে ঢেঁকি ছাটা চাল দিয়ে গ্রাম বাংলায় পিঠা তৈরির ধুম পরে। এখন শহরেও মা-বোনেরা পিঠা তৈরির জন্য চালের গুড়া করার কাজটি ব্লেন্ডার দিয়ে করতে পারেন। ভিশন ব্লেন্ডারে ২০ ধরনের পিঠা তৈরির জন্য চালের গুড়া করা যায়। এর ফলে একসময়কার যাতা, ঢেঁকি ও পরিবর্তে ভিশন ব্লেন্ডার জীবনকে আরও সহজ করে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ব্লেন্ডারের মাধ্যমে ঘরে বসে পরিবারকে নিয়ে পিঠা তৈরির উৎসবে মেতে উঠতে সমাজকে উৎসাহ দিয়েছি এবং তাদের তৈরি পিঠা নিয়ে আমাদের আয়োজনে অংশ নিতে বলেছি। এই আয়োজনে আমরা অংশগ্রহনকারীদের খুব ভাল সাড়া পেয়েছি। আগামী বছর এই অনুষ্ঠানটি আরও বড় পরিসরে করার জন্য আমরা সবধরনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।