পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নাজমা খানমের হত্যায় সংবাদ সম্মেলনে ল্যাটিশিয়া জেমস
নিউইয়র্ক থেকে এনা : মাত্র ১৭ দিন আগে দিনে-দুপুরে বাংলাদেশী অধ্যুষিত ওজনপার্কে খুন হয়েছিলেন আল ফোরকান মসজিদের ইমাম মাওলানা আলাউদ্দিন আকুঞ্জি ও তার সহকারী তারাউদ্দিন মিয়া। সেই হত্যাকা-ের বিচার শেষ হতে না হাতেই গত ৩১ আগস্ট রাত ৯টা ৩০ মিনিটে নিজ বাসার মাত্র এক ব্লক দূরে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হন বাংলাদেশী নাজমা খানম (৬০)। রাজধানী ঢাকার নবাবপুর হাই স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা নাজমা খানম তার স্বামী তিতুমির কলেজের সাবেক প্রফেসর শামসুল আলম ঘটনার দিন রাত ৯টা ৩০ মিনিটের সময় জ্যামাইকার পার্সন ব্লুবার্ড থেকে বাজার করে হেঁটে হেঁটে বাসায় যাচ্ছিলেন। শারীরিক অসুস্থতার জন্য শামসুল আলম স্ত্রীকে বললেন, তুমি হাঁটো, আমি আসছি। এ কথা বলেই তিনি পাশে বসে পড়েন। কিছুক্ষণ পর মহিলার আর্তচিৎকারে তিনি ছুটে যান সামনে। গিয়ে দেখতে পান যে তার স্ত্রী দাঁড়িয়ে আছেন, তার ঠোট কাঁপছে। স্বামী শামসুল আলম বলতে থাকেন কী হয়েছে তোমার, আমাকে বলো। স্বামীকে দেখেই নাজমা খানম বলতে থাকেন, ওরা আমাকে বাঁচতে দিলো না, ওরা আমাকে মেরে ফেললো। স্ত্রীর হত্যাকা-ের বর্ণনা এভাবেই দিলেন স্বামী শামসুল আলম জানাজার পূর্বে। ঘটনার পর পুলিশকে কল করার ২ মিনিটের মধ্যেই পুলিশ এসে নাজমা খানমকে জ্যামাইকা হাসপাতালে নেয় এবং সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
নাজমা খানমের নামাজে জানাজা গত ২ সেপ্টেম্বর বাদ জুমা জ্যামাইকা বাংলাদেশ মুসলিম সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে লাশ দেশে পাঠানো হয়।
জ্যামাইকাতে এ ধরনের বর্বর হত্যাকা- কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না কম্যুনিটি। জানাজার পর সংবাদ সম্মেলনে তারা এই হত্যাকা-ের সুষ্ঠু বিচার দাবি করে এবং খুনিকে গ্রেফতারের দাবি জানান। জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেনের পরিচালনায় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মুসলিম সেন্টারের প্রেসিডেন্ট ডা. ওয়াহিদুর রহমান, নিউইয়র্ক সিটির পাবলিক অ্যাডভোকেট ল্যাটিশিয়া জেমস, নাজমা খানমের ছেলে মঈনুল আলম খান, নাজমা খানমের আত্মীয় নিউইয়র্ক পুলিশের কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর, নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের প্রতিনিধি মার্কো প্রমুখ।
ল্যাটিশিয়া জেমস ক্ষোভের সাথে বলেন, এই ধরনের খুন মেনে নেয়া যায় না। আমরা একের পর এক মুসলিম কম্যুনিটিকে টার্গেট হতে দেখছি। একজন মুসলমানকে হত্যা করা মানেই আমার মতো একজন নিউইয়র্কারকে হত্যা করা। আমি এই খুনের বিচার চাই, খুনির গ্রেফতার চাই। আমরা মুসলিম কম্যুনিটির নিরাপত্তা চাই, শান্তি চাই, হেজাব ব্যবহারের নিশ্চয়তা চাই। তিনি আরো বলেন, রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প আমাদের আবারো অন্ধকার যুগে নিয়ে যাবার চেষ্টা করছেন। তার বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের কারণেই এসব হামলা বাড়ছে। নিউইয়র্কে হেইট ক্রাইম বাড়ছে। তা না হলে একজন শিক্ষিকাকে এভাবে হত্যা করা হতো না।
নাজমা খনমের ছেলে নাঈমুল আলম তার মায়ের খুনিকে অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।